স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, মুক্তিকামী মানুষদের বিরুদ্ধে নরঘাতকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। চট্টগ্রাম শহরের তার পৈত্রিক বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন টর্চার সেল। গ্রামের বাড়ি রাউজানে চালিয়েছেন গণহত্যা। তিনি যুদ্ধাপরাধী বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। সাকা নামেই অধিক পরিচিতি তার। এই সাকা বাঁকা কথার ওস্তাদেরও ওস্তাদ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীদের শীর্ষ তালিকাভুক্ত। মুক্তিযুদ্ধের এ চিহ্নিত নরঘাতককে স্বৈরাচারী সরকার মন্ত্রী বানিয়ে তার হাতে তুলে দিয়েছিল বাঙালীর অহঙ্কারের জাতীয় পতাকাটি। শুধু তাই নয়, বিএনপি সরকারও তাকে মন্ত্রীর মর্যাদায় উপদেষ্টার পদ দিয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছিল।
সে সাকা, বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গনে এক কাগুজে বাঘ। উল্টাপাল্টা কথা বলে খবরের শিরোনাম হতে যার বেশি পছন্দ। স্বৈরাচারী সরকার ও পরবর্তীতে বিএনপি সরকার তাকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার দুর্লভ সুযোগ দিয়েছিল। আর এ সুযোগকে তিনি ঠিক আগের মতোই কাজে লাগিয়েছেন। অগ্রহণযোগ্য হেন কথা নেই যা তিনি বলেননি। প্রথমে মন্ত্রিত্ব ও পরবর্তীতে মন্ত্রীর মর্যাদায় উপদেষ্টার পদ পেয়ে তিনি ধরাকে সরাজ্ঞান করতেও ভুল করেননি। কিন্তু তিনি জানতেন না স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ধরা খেয়ে যাবেন। স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে এ পর্যন্ত যারা মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে ফাঁসি ও যাবজ্জীবন কারাদ-ে দ-িত হয়েছেন তিনি তাদের একজন। তাকে বাঁচানোর আকুতি নিয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে যে আপীল করা হয়েছে সে আপীলের চূড়ান্ত রায় আজ। যে রায়ের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে পুরো চট্টগ্রামবাসী। এ রায়কে কেন্দ্র করে তার নিজ গ্রাম চট্টগ্রামের রাউজান এবং পার্শ¦বর্তী রাঙ্গুনীয়া উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতোমধ্যে যে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশের পক্ষে তা রেড এলার্ট হিসেবে বলা হচ্ছে। চট্টগ্রাম শহর ও এর আশপাশ আরও কয়েকটি উপজেলায়ও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে।