ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পার্বতীপুরে রেলের বাসভবন সন্ত্রাসীদের দখলে

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ২৮ জুলাই ২০১৫

পার্বতীপুরে রেলের বাসভবন সন্ত্রাসীদের দখলে

নিজস্ব সংবাদদাতা, পার্বতীপুর, ২৭ জুলাই ॥ সন্ত্রাসীদের উপর্যুপরি হুমকি ও ভয়-ভীতিতে পার্বতীপুরে রেলের কর্মকর্তাগণ কর্মস্থলে থাকতে পারছে না। এ পরিস্থিতির শিকার হয়ে উর্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী তহিদুল ইসলাম পার্বতীপুরের বাসা ত্যাগ করে এখন স্ত্রী-পুত্র কন্যাদের নিয়ে সৈয়দপুর চলে গেছেন। এ ব্যাপারে পার্বতীপুর জি.আর.পি থানায় মামলা হয়েছে কুসুমকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধে কামরুজ্জামান রনী ও কুসুমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রমতে এই রেল কর্মকর্তা (তহিদুল) পার্বতীপুরের রেলের বাসাবাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত। দখলে বাধা দিতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের রোষানলে পড়েন। এক পর্যায়ে প্রাণের ভয়ে সৈয়দপুরে চলে যান। তবে সাংসারিক ব্যবহার্য মালামালসহ পার্বতীপুরের ইপি-৪ বাংলোটি তালাবদ্ধ ছিল। ফাঁকা পেয়ে চিহ্নিত ৩ সন্ত্রাসী তালাভেঙ্গে বাসায় ঢুকে ফ্যান, ফ্রিজ, ওভেন মেশিনসহ অনান্য আসবাবপত্র চুরি করে এবং বাসাটি নিজের দাবি করে বসবাস করতে থাকে। অভিযোগ পাওয়ার পর জিআরপি ঘটনাস্থলে গিয়ে দখল উচ্ছেদ করে বাসাটিতে সিলগালা করে নিয়ন্ত্রণে নেয়। আজ সোমবার সকাল ১১টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় এর (ইপি-৪ বাংলো) পার্শ্বের উর্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) ও সহকারী উপ-সহকারী প্রকৌশলীর যথাক্রমে ইপি-৩ ও ইপি-৫ বাংলো দুটিও সন্ত্রাসীদের দখলে। অনুরূপ এই দুই কর্মকর্তাও সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে কর্মস্থলের বাসা ছেড়ে এখন অন্যত্র বসবাস করেন। রেল থানার (জিআরপি) ওসি হুমায়ন কবির মামলা দায়ের ও ২ আসামি গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সন্ত্রাসীরা পার পাবে না। তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জয়নাল আবেদিন সোমবার জানান, তিনি সদ্য যোগদান করেছেন। পরিস্থিতি অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। যশোরে আলোচিত গৃহবধূ ডলি হত্যা মামলায় চার্জশীট দাখিল স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর উপশহরের গৃহবধূ আঞ্জুমান আরা ডলি হত্যা মামলায় ইউসুফ আল জামিউজ্জামান বাপ্পিকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দিয়েছে পুলিশ। বাপ্পি শহরতলীর বিরামপুরের বাসিন্দা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান শিকদারের ছেলে। মামলার তদন্ত শেষে সোমবার আদালতে চার্জশীট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হিমায়েত হোসেন। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গৃহবধূ ডলির স্বামী ফেনীতে ও দুই ছেলে বিদেশে চাকরি করেন। তিনি উপশহরের ১ নম্বর সেক্টরের বাড়িতে একা থাকতেন। ডলির সুবিধা-অসুবিধা দেখাশোনা করতেন তার বোন শাহিদা বেগম। গত ১৩ জানুয়ারি বিকেলে শাহিদা বেগম বোন ডলির বাসায় যান। সন্ধ্যায় তিনি তার বাসায় ফিরে যান। রাতে শাহিদা বেগম ও ছেলে বিদেশ থেকে ফোন করলে ডলি রিসিভ করেননি। পরদিন সকালে বাসায় কাজ করতে এসে মিস্ত্রি হারুন অর রশীদ ঘরের বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখেন। ডাকাডাকি করে কোন সাড়া না পেয়ে ডলির স্বামীকে হারুন ফোন করে বিষয়টি জানান। এরপর হারুন তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দেখেন ডলির মৃতদেহ বিছানার উপর পড়ে আছে। পরে পুলিশ এসে ডলির লাশ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে নিহতের স্বামী আব্দুর রশীদ বাদী হয়ে ১৬ জানুয়ারি কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকালে পুলিশ হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বাপ্পিকে আটক করে। তার দেয়া তথ্যমতে পুলিশ শহরের সোনাপট্টির শ্যামল কুমার ও অতুলের দোকান থেকে নিহত ডলির ব্যবহৃত সোনর গহনা উদ্ধার করে।
×