ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

অভিষেকে জয় পিরলোর

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ২৮ জুলাই ২০১৫

অভিষেকে জয় পিরলোর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লীগের দল নিউইয়র্ক সিটির হয়ে অভিষেক হয়েছে ইতালিয়ান মিডফিল্ডার আন্দ্রে পিরলোর। আর অভিষেক ম্যাচেই জয়ের স্বাদ পেয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী এই তারকা। পিরলোর অভিষেক ম্যাচে তার দল নিউইয়র্ক সিটি ৫-৩ গোলে পরাজিত করে অরল্যান্ডোকে। সিটির জয়ে জোড়া গোল করেন স্প্যানিশ তারকা ডেভিড ভিয়া। চলতি বছরই জুভেন্টাস থেকে মেজর লী সকার ক্লাব নিউইয়র্ক সিটিতে এসেছেন পিরলো। সোমবার ইয়াঙ্কি স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ভিয়ার গোলে এগিয়ে যায় নিউইয়র্ক। বিরতির পর সমতায় ফেরে অরল্যান্ডো। গোল করেছেন লারিন। তিন মিনিট পর কাল্লের গোলে আবারও এগিয়ে যায় সিটি। ৬১ মিনিট ফের দলকে সমতায় ফিরিয়েছেন লারিন। ম্যাচে লারিন দারুণ খেললেও জয়ের মুখ দেখেনি তার দল অরল্যান্ড। ৮৫ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। কারণ ৬৭ মিনিটে ভিয়া নিজের দ্বিতীয় গোল, ৭১ মিনিটে ম্যাকনামারা ও অতিরিক্ত সময় (৯৩ মিনিট) ডিস্কেরুডের গোলে জয় নিশ্চিত করে নিউইয়র্ক। ম্যাচে প্রথমার্ধে মাঠে না নামলেও দ্বিতীয়ার্ধে খেলেন পিরলো। অভিষেক ম্যাচে গোল না পেলেও তার পারফর্মেন্স সবার নজর কেড়েছে। ২০১১ সালে এসি মিলান ছেড়ে জুভেন্টাসে যোগ দেন পিরলো। ইতালি জাতীয় দলের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ১১৫ ম্যাচ খেলা তারকা এই মিডফিল্ডার এখানে থেকেই ক্যারিয়ার শেষ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মায়াজাল ছেদ করে চলতি বছর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন। অথচ তারকা এই মিডফিল্ডারের রিয়াল মাদ্রিদ, চেলসি অথবা বার্সিলোনায় খেলারও অফার ছিল। দশ বছরের মায়াজাল ত্যাগ করে মিলান ছেড়েছিলেন পিরলো। গুঞ্জন ছিল, ক্লাব প্রেসিডেন্ট সিলভিও বার্লুসকোনির কারণেই সানসিরো ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। মিলান প্রেসিডেন্ট কিছুতেই চাননি পিরলো সেখানে থাক। সাবেক ইন্টার মিলান তারকা আপসোসের সুরে বলেন, আমি একবার চেলসির সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলাম। সে সময় বার্লুসকোনি আমাকে মিলানে থেকে যেতে বলেন। আমি ফ্যাবিও কাপেলোর রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়ার কাছাকাছি পৌঁছে ছিলাম ২০০৬ সালে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। ২০১১ সালে বার্সিলোনার তৎকালীন কোচ পেপ গার্ডিওলা পিরলোকে ন্যুক্যাম্পে নিতে চেয়েছিলেন। সেবারও মিলান প্রেসিডেন্ট বার্লুসকোনি থামিয়ে দেন বলে জানান পিরলো। কিন্তু মিলান প্রেসিডেন্টই পরবর্তীতে পিরলোর সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করেন বলে জানা যায়। যে কারণে সানসিরো ছাড়তে হয় তাকে। এ প্রসঙ্গে পিরলো বলেন, নিশ্চিত করেই বলব, জুভেন্টাসে আসা আমার ক্যারিয়ারের সেরা সিদ্ধান্ত। মিলান ছাড়তে আমি বাধ্য হয়েছি। এই পরিবর্তন প্রয়োজন ছিল। অবশেষে চার বছর টুরিনে থেকে প্রিয় জুভেন্টাসও ছেড়েছেন পিরলো।
×