ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২৮ জুলাই ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

কালের গতি কালের গতি অবিরাম। সে চলছে এগিয়ে, মানুষ পড়ছে পিছিয়ে। আশা করা গিয়েছিল, কালের অগ্রগতির সঙ্গে মানুষের ক্রমোন্নতি হবে, সভ্য মানুষ সভ্যতর হবে। তা হয়নি। বরং উল্টোটাই হয়েছে। আগের তুলনায় আজকের মানুষকে আচার-ব্যবহারে রুচিতে একটু অসভ্য বলে মনে হয়। স্বভাবটা হয়েছে স্থূল, চোখের সামনে নানা অবাঞ্ছিত অসহনীয় ব্যাপার ঘটতে দেখেও দিব্যি নির্বিকার থাকতে পারে। একাত্তর সালে এত প্রাণহানি, এত সম্পদ নানা মানুষের অশেষ দুঃখ-দুর্দশা দেখে-শুনে অমানুষিক কার্যকলাপ মানুষের গাসহা এবং মনসহা হয়ে গেছে। মানুষের মধ্যে এক ধরনের অসহ্য নির্বিকারত্বের জন্ম দিয়েছে। তাই স্বাধীনতার পর থেকে কোন হত্যাকা-ই বুঝি আলোড়ন তোলে না আর। সাময়িক জান্তারা নির্বিচারে হত্যাকা- চালিয়েছে। কিন্তু সেসব হত্যাকা-ের বিচারের আয়োজন গণতান্ত্রিক আমলে হয়নি, হওয়ার সম্ভাবনাও নেই আর। ফলে হত্যা আরও হত্যা ডেকে এনেছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ ধরনের হত্যাকা- বন্ধ করায় সচেষ্ট, এটাই দলের কৃতিত্ব। এলমা ওয়াজেদ বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা জালনোট থেকে সাবধান নোট জাল করা, জালনোটের ক্রয়-বিক্রয়, পাচার বা ব্যবহার গুরুতর অপরাধ, পেনাল কোড ও বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-। সম্প্রতি উচ্চতর মূল্যের ১০০০-৫০০ টাকা ও ১০০ টাকা ব্যাংক নোটের, বিশেষ করে প্রতিকৃতি সংবলিত জালনোট একটি চক্র বাজারে ছেড়েছে যেগুলোর জলছাপের অনুরূপ ছাপ ও এবং হলোগ্রাম নিরাপত্তা সুতার অনুরূপ জাল নিরাপত্তা সুতাও রয়েছে। এ ধরনের জালনোট দ্বারা প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা এড়াবার জন্য জনসাধারণকে উচ্চমূল্যের নোট গ্রহণকালে নিম্নোক্ত দিকগুলো সতর্কভাবে পরীক্ষা করতে বাংলাদেশ ব্যাংক পরামর্শ দিয়েছে। আসল ৫০০ টাকার নোটের উভয় দিকের এবং আসল ১০০ টাকার নোটের সামনের দিকের ছাপা অমসৃণ যা স্পর্শ করলে উঁচু-নিচু অনুভূত হবে। অন্যদিকে জালনোটের মুদ্রণ সাধারণ অফসেটের মতো মসৃণ, সর্বাংশে একই উচ্চতার। নতুন প্রমিত (অপেক্ষাকৃত ছোট) আকারের ১০০ ও ৫০০ টাকার নোটগুলোর সামনের দিকের বাঁয়ে ওপরের অংশে ইংরেজীতে মুদ্রিত মূল্যমানের ওপরের অর্ধেকের রং নোটটি তির্যক নড়াচড়ায় পরিবর্তিত হবে যা জালনোটের বেলায় হবে না। প্রমিত আকারের এই নোটগুলোর একপিঠের সেলাইয়ের আকারের হলোগ্রাম নিরাপত্তা সুতা আলোর বিপরীতে ধরে অন্য পিঠ থেকে ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি পাঠ করা যাবে। জালনোটের হলোগ্রামের মতো মুদ্রিত নিরাপত্তা সুতায় ওই শব্দ বিপরীত দিক থেকে পাঠে স্পষ্ট হবে না। উপরোক্ত দুটি দিক ছাড়াও আসল নোটগুলোয় মাইক্রোপ্রিন্ট, মূল্যমানের অতিবেগুনী আলোয় ঔজ্জ্বল্যসহ বহুবিধ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেগুলো সূক্ষ্মতর পরীক্ষায় জালনোট পাওয়া যাবে না। সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা করে আসল নোট চিনে নিন। সুমিত্র বিকাশ বড়ুয়া নন্দনকানন, চট্টগ্রাম
×