ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মোহামেডানের কষ্টার্জিত জয়

প্রকাশিত: ০৬:৫৬, ২৭ জুলাই ২০১৫

মোহামেডানের কষ্টার্জিত জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রতিপক্ষ হিসেবে তেমন বড় কোন দল না হলেও জিততে ফেনী সকার ক্লাবের বিরুদ্ধে ঘাম ঝরাতে হয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডকে। চলতি মান্যবর প্রিমিয়ার ফুটবল লীগে দুর্দান্ত খেলে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে অবস্থান করছে সাদা-কালো জার্সিধারী ক্লাবটি। কিন্তু রবিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফেনী সকারকে হারানোর জন্য ৮৪ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। গিনির ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরার হেডে করা গোলে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান। ১৭ ম্যাচে এটি তাদের দশম জয়। ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানটাও পাকাপোক্তভাবে ধরে রেখেছে তারা। সমান ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে এখনও ভালভাবেই শীর্ষে আছে শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেড এক ম্যাচ কম খেলে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে মোহামেডান থেকে খুব বেশি দূরে নেই। অপরদিকে, ১৬ ম্যাচে এটি ছিল ফেনী সকারের অষ্টম পরাজয়। ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান সাত নম্বরে। প্রথম লেগের খেলায় তারা মোহামেডানকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছিল। ম্যাচের শুরু থেকেই দুর্বল ফেনী সকারকে চেপে ধরেছিল মোহামেডান। আর ফেনী সকার ঠেকিয়ে যাচ্ছিল আক্রমণ। তবে ম্যাচের ১০ মিনিটেই এগিয়ে যায় সাদা-কালো জার্সিধারীরা। গিনির ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা দুর্দান্ত খেলছিলেন। বক্সের কাছাকাছি থেকে মাটি ঘেঁষে এক জোরালো শট নিয়েছিলেন তিনি। তবে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেটা ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক আহসান হাবিব বিপু। বলটি প্রতিহত হয়ে ফিরে আসার সময় তা পেয়ে যান ফাঁকায় দাঁড়ানো ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড বেলিঙ্গা আমাবারা। তিনি কোনাকুনি শটে পরাস্ত করেন ফেনী সকার গোলরক্ষককে (১-০)। গোল হজম করার পরই যেন কিছুটা মাথাঝাড়া দিয়ে ওঠে ফেনী সকার। এরপর তারাও দুয়েকটি আক্রমণ শানাতে শুরু করে মোহামেডান শিবিরে। ২১ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ এসেছিল তাদের সমতায় ফেরার। তাদের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড দাওদা সিজে বল তুলে মারলে সেটা ওপরের জালে গিয়ে পড়ে। সে যাত্রায় গোল থেকে বেঁচে যায় মোহামেডান। এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা এগিয়ে গেছে। তবে গোল পায়নি আর কেউ। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়ে মোহামেডান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই কিছুটা বেপরোয়া ছিল ফেনী সকার। গোল পরিশোধের জন্য প্রচেষ্টা চালাতে থাকে। প্রচেষ্টার সুফল পেতে ৫ মিনিটের বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। বদলি হিসেবে নেমেছিলেন ফরোয়ার্ড সোহেল মিয়া। তিনি দলকে সমতায় ফেরান ৫১ মিনিটের সময়। জাটা মোস্তফার নেয়া কর্নার ডি বক্সের মাঝামাঝি এসে পড়েছিল। সুযোগের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা সোহেল বল পেয়েই তা আলতো টোকা দিয়ে মোহামেডানের জালে জড়িয়ে দেন (১-১)। ম্যাচে সমতা আসার পর থেকেই আবার আক্রমণের ধার বাড়াতে শুরু করে মোহামেডান। একের পর এক আক্রমণে কোণঠাসা করে ফেলে প্রতিপক্ষকে। তবে ফেনী সকার সেসব বেশ ভালভাবেই সামাল দিয়ে যায়। কিন্তু ৮২ মিনিটের সময় দুর্বল হয়ে পড়ে ফেনী সকার। মোহামেডান উইঙ্গার মোবারক হোসেনকে ফাউল করার জন্য সরাসরি লালকার্ড দেখেন ফেনী সকার ডিফেন্ডার শাহরান হালদার। এর দুই মিনিট পরই (৮৪ মিনিট) জুয়েল রানার ক্রস থেকে দারুণ হেডে মোহামেডানের জন্য জয়সূচক গোলটি করেন (২-১) ইসমাইল বাঙ্গুরা। শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা।
×