ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রিজ ভেঙ্গে রড লুট ॥ ১০ গ্রামে যোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ২৭ জুলাই ২০১৫

ব্রিজ ভেঙ্গে রড লুট ॥ ১০ গ্রামে যোগাযোগ বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ২৬ জুলাই ॥ রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা-মাছিমপুর রাস্তা দিয়ে ১০ গ্রামের মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কোনপ্রকার অনুমতি ছাড়াই এ রাস্তার ওপর নির্মিত একটি পুরান ব্রিজ ভেঙ্গে ফেলায় গত দুই মাস ধরে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা কোনপ্রকার অনুমতি না নিয়েই ব্রিজ ভেঙ্গে রড লুট করে নিয়ে গেছে। ব্রিজে থাকা প্রায় ১০ লাখ টাকার রড লুট করে বিক্রি করে দিয়ে তা ভাগভাটোয়ারা করে নিয়ে যাওয়া হয়। শুধু তাই নয় ব্রিজ ভেঙ্গে ফেলার কারণে তিতাস গ্যাসের ২ ইঞ্জি ব্যাসের একটি মূল পাইপ ভেসে গেছে। এতে করে গ্যাসের পাইপ লাইনটি রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে। যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। জানা গেছে, মীরকুটিরছেও এলাকার মৃত কেরামত আলীর ছেলে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক মুকুল মিয়াসহ তার লোকজন কোনপ্রকার অনুমতি না নিয়েই ভুলতা-মাছিমপুর রাস্তার মীরকুটিরছেও এলাকায় অবস্থিত একটি ব্রিজ ভেঙ্গে তা লুট করে নিয়ে যায়। লুটকারীরা এলাকাবাসীকে জানিয়েছেন, নতুন ব্রিজ নির্মাণ করার উদ্দেশ্যেই এ ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এছাড়া ভেঙ্গে ফেলা ব্রিজের পুরাতন রড বিক্রি করে এ অর্থ নতুন ব্রিজ করার সময় কাজে লাগানো হবে। অথচ ব্রিজে থাকা প্রায় ১০ লাখ টাকার রড বিক্রি করে তা ভাগভাটোয়ারা করে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুকুল মিয়া জানান, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ ও উপজেলা প্রকৌশলী নাসির উদ্দিনের অনুমতি নিয়েই ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এছাড়া ব্রিজ ভেঙ্গে রড বিক্রির বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন। তবে, ব্রিজ ভেঙ্গে ফেলার অনুমতি প্রসঙ্গে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ ও উপজেলা প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন জানান, অনুমতির প্রশ্নই উঠে না। তবে, ব্রিজটি উঁচু হওয়ায় তা ভেঙ্গে নিচু ব্রিজ নির্মাণের বিষয়ে আলাপ হয়েছিল। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন, ব্রিজ ভেঙ্গে ফেলার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যেহেতু জেনেছি গ্রামের মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণ করতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
×