ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ৩৩ বিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ২৭ জুলাই ২০১৫

রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ৩৩ বিলিয়ন ডলার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি অর্থবছরে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা বাড়িয়ে সাড়ে ৩৩ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। রফতানির ক্ষেত্রে প্রধানপণ্যগুলো হচ্ছে-নিটওয়্যার, হোম টেক্সটাইল, জুট, ওভেন, লেদার ও ফুটওয়্যার প্রভৃতি। আর রফতানির জন্য প্রধান দেশগুলো হচ্ছে-যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, কানাডা, বেলজিয়াম, জাপান ও নেদারল্যান্ডস। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭টি দেশে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রফতানি হচ্ছে। রবিবার রাজধানীর রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো কার্যালয়ে (ইপিবি) স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফোয়েল আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন। ওই বৈঠকে জানানো হয়, চলতি অর্থবছরের জন্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩ হাজার ২০০ মিলিয়ন (৩৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন) ডলার। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কমে তা দাঁড়ায় ৩১ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারে। এর মধ্যে আবার তৈরি পোশাক থেকে এসেছে ৮২ শতাংশ। গত অর্থবছরে রফতানির ঘাটতির জন্য বিএনপি-জামায়াত শিবিরের সৃষ্টি রাজনৈতিক অস্থিরতাকে দায়ী করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তবে রফতানি আশানুরূপ হওয়ায় রফতানিকারকদের ধন্যবাদ জানান তিনি। আগামীতে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে যাতে দেশের অর্থনীতি কেউ ভঙ্গুর না করতে পারে সে আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলের, চলতি অর্থবছরে রফতানি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৩৮ ভাগ নির্ধারণ করা হয়েছে। গত অর্থবছর রফতানির পরিমান পূর্বের বছরের তুলনার বেশি হলেও আন্তর্জাতিক মুদ্রার মূল্য কমে যাবার কারণে আয়ের পরিমাণ কমেছে। গত বছর ১ কোটি ইউনিট পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ১ দশমিক ৫৭ কোটি ইউনিট পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। তবে আন্তর্জাতির মুদ্রার মূল্য বিশভাগ কমে যাবার কারনে দেশের আয় কিছু কম হয়েছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের চাহিদা বেড়েই চলছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রার মান বাড়লে এ বছর আমাদের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। সরকারের ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকি পরিকল্পনা মোতাবেক রফতানি পণ্যের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি রফতানি বাজার সম্প্রসারণে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ এখন এর সুফল পেতে শুরু করেছে। সরকার প্রচলিত পণ্যের পাশাপাশি দেশের ওষুধ শিল্প, জাহাজ নির্মাণ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং ফার্নিচার রফতানিতে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদানের পরিকল্পনা নিয়েছে। এসব সেক্টরে রফতানি বেড়েই চলছে। ব্যবসায়ীদের চাহিদা মোতাবেক গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ প্রদানের আশ^াস দিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার। ব্যবসায়ীদের চাহিদা মোতাবেক সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তিতে আগামী ২০২১ সালে দেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সরকার পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ ইতোমধ্যে নি¤œ-মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এ গতিকে দেশে এগিয়ে গেলে আগামী ২০২১ সালের আগেই মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব এটিএম মুর্তজা রেজা চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মোঃ শওকত আলী ওয়ারেছি, ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) অমিতাভ চক্রবর্তী, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসু ওএফবিসিসিআই, ডিসিসিআইর প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
×