ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অর্ণব ভট্টাচার্যের সরোদে মুগ্ধ শ্রোতা

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ২৬ জুলাই ২০১৫

অর্ণব ভট্টাচার্যের সরোদে মুগ্ধ শ্রোতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সঙ্গীত প্রভাকর অর্ণব ভট্টাচার্যের সরোদ বাদনে মুগ্ধ গুলশানের ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শ্রোতা। শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতীয় এই শিল্পীর একক সরোদ বাদন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। রাগ রাগেশ্রী পরিবেশনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। ত্রিতাল সহযোগে তিনি প্রথমে রাগের আলাপ ও বিলম্বিত বাজিয়ে শোনান। পরে দ্রুত লয়ের সঙ্গে বিরল কিছু সুরের মিশ্রণ ঘটান রাগটিতে। শিল্পীর সব শেষ পরিবেশনা ছিল তিলককামোদ রাগের ওপর ভিত্তি করে ধুম। মিলনায়তন ভর্তি শ্রোতা দেড় ঘণ্টা ধরে পিনপতন নীরবতায় শিল্পীর সরদ বাদন শোনেন। শিল্পীকে তবলায় সঙ্গত করেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। শিল্পী অর্ণব ভট্টাচার্য ভারতের এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৯৯ সালে ‘সঙ্গীত প্রভাকর’ উপাধী লাভ করেন। এই যন্ত্রসঙ্গীতশিল্পী ইতোমধ্যে ইউরোপ আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সঙ্গীত পরিবেশন করে খ্যাতি অর্জন করেছেন। অর্ণব ভট্টাচার্য অল্প বয়সেই তাঁর পিতা স্বপন কুমার ভট্টাচার্যের কাছে সরোদে তালিম নিতে শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি সেনিয়া শাহাজাহানপুর ঘরানার প-িত বুদ্ধদেব দাসগুপ্তের কাছে তালিম নেন। তিনি বর্তমানে দূরদর্শন এবং অল ইন্ডিয়া রেডিওর নিয়মিত শিল্পী। বিভিন্ন দেশে সঙ্গীত পরিবেশনার পাশাপাশি তিনি অংশ নিয়েছেন দেশ-বিদেশের সঙ্গীতবিষয়ক বহু সেমিনার ও কর্মশালায়। অর্ণব ভট্টাচার্যের গান ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ঐতিহ্যগত ও আধুনিক ফর্মের মিশ্রণ। ভারতের একাধিক প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে তিনি অনেক পুরস্কার অর্জন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে অরবিন্দ সঙ্গীত উৎসব, অঙ্কিত প্রতিভা অনুসন্ধান প্রতিযোগিতা, সর্ব ভারতীয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতা’ প্রভৃতি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি ২০০৫ সালে উড়িষ্যার ‘সরোদ সুন্দর’, ২০০৭ সালে ‘সরোদ নয়া’ এবং ২০০৯ সালে ‘নবীন সরোদ’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি ভারতীয় রেডিও ও দূরদর্শনের একজন নিয়মিত শিল্পী। তিনি ভারত এবং ভারতের বাইরে একাধিক মর্যাদাপূর্ণ স্টেজ শোতে অংশ নিয়ে সাফল্যের পরিচয় দিয়েছেন। ওইসব স্টেজ শোর মধ্যে সল্ট লেক সাংস্কৃতিক সংগঠন, ভবানীপুর সঙ্গীত সম্মিলনী কলকাতা, বেঙ্গালুর ও ভুবনেশ্বরের রামকৃষ্ণ মিশন, রাজ্য সঙ্গীত একাডেমি, রাজা রানী উৎসব, সর্ব ভারতীয় সঙ্গীত উৎসব, লক্ষেœৗ সঙ্গীত উৎসব, গোয়া সঙ্গীত উৎসব, ওয়ার্ল্ড সঙ্গীত উৎসব, জেনেভা ড্রামস এবং সঙ্গীত উৎসব, টেক্সাসের কোরি সঙ্গীত উৎসব উল্লেখযোগ্য। তিনি অনেক প্রামাণ্যচিত্রের আবহসঙ্গীতেও কণ্ঠ দিয়েছেন।
×