ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রামের অর্জন ঢাকা টেস্টে আত্মবিশ্বাস যোগাবে দাবি টাইগার অধিনায়কের

জেতার ভাল সুযোগ ছিল ॥ মুশফিক

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ২৬ জুলাই ২০১৫

জেতার ভাল সুযোগ ছিল ॥ মুশফিক

স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে ॥ চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টে টানা দুু’দিন বৃষ্টির কারণে খেলা হয়নি। তবে তার আগে পর্যন্ত তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ১৭ রানে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ দল। সেজন্য জয়ের যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম দাবি করলেন তার ক্যারিয়ারে এত ভাল সুযোগ এর আগে কখনও বাংলাদেশ পায়নি। এছাড়া তিনি মনে করেন সাগরিকা টেস্টে বৃষ্টির দাপট থাকলেও বাংলাদেশ দলের অনেক অর্জন ছিল। আর সেসব অর্জনই বাংলাদেশের জন্য বাড়তি আত্মবিশ্বাস। সেই আত্মবিশ্বাস ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্টে কাজে লাগাতে চান তিনি। শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মুশফিক। দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল। তাদের বিরুদ্ধে এই প্রথম তিন শতাধিক রানের ইনিংস গড়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ৩৪৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৭৮ রানের লিড নিয়েছে প্রথম ইনিংস শেষে। এ কারণে বৃষ্টিবিঘিœত সাগরিকা টেস্টে বাংলাদেশের জন্য অনেক অনুপ্রেরণার বিষয় দেখতে পাচ্ছেন মুশফিক। তিনি বলেন, ‘এই প্রথম তাদের বিপক্ষে তিন শ’ রান করা, ওদের কম রানে অলআউট করা, প্রথম ইনিংসে লিড নেয়া, টপ ও লেট অর্ডাররাও ভাল খেলেছে। বড় রান না করলেও যার যার পজিশন থেকে অবদান রেখেছে। তরুণরা সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভাল খেলেছে। সার্বিকভাবে দলগত পারফর্মেন্স হয়েছে। ঢাকা টেস্টে এই আত্মবিশ্বাস কাজে দেবে।’ তৃতীয় দিন শেষেও ১৭ রানে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। পুরোপুরি খেলা হলে তাই জয়ের ভাল সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। এমন দাবিই জানালেন মুশফিক। তিনি বলেন, ‘এক নম্বর টেস্ট দলের সঙ্গে যখন প্রথম ইনিংসে ৭৮ রানের লিড, তখন এমনটা ভাবা খুব স্বাভাবিক। হয়ত আমাদের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ঘণ্টাটা বোলিং খুব বেশি ভাল হয়নি। আমরা যদি ২-১ উইকেট তুলে নিতে পারতাম সেক্ষেত্রে চাপটা পুরোপুরি ওদের ওপরই থাকত। তারপরও ৬০ রান করেও যে তারা চাপে ছিল না, তা কিন্তু নয়। তাছাড়া সবাই জানেন দক্ষিণ আফ্রিকা চাপে পড়লে কী করতে পারে। এমন সুযোগ সব সময় আসে না; এটা আমাদের দল খুব ভালভাবেই জানে। আমি যতগুলো টেস্ট খেলেছি এমন ভাল সুযোগ পাওয়া হয়ে উঠেনি। আমরা খুব উদ্দীপ্ত ছিলাম, আমরা যদি আমাদের দক্ষতাটা আরও ভাল করতে পারি, তাহলে আমরা আমাদের এই ফলাফলটা আমাদের পক্ষে আনতে পারব।’ খেলা না হওয়াতে দারুণ হতাশ মুশফিক। কারণ অনেক বেশি ইতিবাচক দিক ছিল যেগুলো দিয়ে বাংলাদেশ আরও বেশি চেপে বসতে পারত প্রতিপক্ষের ওপর। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হতাশা তো অবশ্যই। টেস্টের নাম্বার ওয়ান দলের সঙ্গে লিড নেয়া আমাদের জন্য ইতিবাচক দিক ছিল। খেলা হলে ফলাফল ভিন্ন হতে পারত। আবহাওয়ার ওপর আমাদের কারও হাত নেই।’ যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হাশিম আমলাও দাবি করেছিলেন এ টেস্টে তাদের দারুণ সুযোগ ছিল জয় তুলে নেয়ার। এ বিষয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘এটা সে তার চিন্তা থেকে বলেছে। এরপর দ্বিতীয় টেস্ট মিরপুরে। সেখানে উইকেটে থাকবে ভিন্নতা। সে বিষয়ে মুশফিক বলেন, ‘মিরপুরের উইকেটও একটু ভিন্ন হবে। আশা করব সামনে থেকে যেন ভালভাবে পরিকল্পনাগুলো করতে পারি এবং তা বাস্তবায়ন করতে পারি। এই টেস্টে বেশিরভাগ দিকই ভাল হয়েছে। আশা করছি এই ভালটা যেন সামনে আরও ভাল হয়। এটাই আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ।’ মুশফিক মনে করেন, ৭ ব্যাটসম্যান ও ৪ বোলার নিয়ে সাজানো সমন্বয়টাই সবচেয়ে ভাল। বিশ্বের বড় বড় দলগুলোও এভাবে একাদশ সাজায়। ফতুল্লায় ভারতের বিরুদ্ধে টেস্টে বোলারদের নৈপুণ্য নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেও এবার সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুশফিক। তাই একটা আত্মবিশ্বাস নিয়েই ঢাকা যাবে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আত্মবিশ্বাসতো অবশ্যই। দলে অনেক পরিবর্তন এসেছে। জুনিয়র খেলোয়াড় যারা এসেছে এখানে অবদান রাখছে। সেই সঙ্গে সিনিয়র খেলোয়াড়রা ভাল করলে এটা আরও বড় টিম কম্বিনেশন হয়। আশা করি এই কম্বিনেশনটা থাকবে।’
×