ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শেখ জামাল ৫-১ ব্রাদার্স ইউনিয়ন

ল্যান্ডিংয়ের হ্যাটট্রিকে শেখ জামালের উৎসব

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ২৬ জুলাই ২০১৫

ল্যান্ডিংয়ের হ্যাটট্রিকে শেখ জামালের উৎসব

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথম পর্বে গোলশূন্যভাবে শেখ জামাল ধানম-ি লিমিটেডকে রুখে দিয়েছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিমিটেড। তবে দ্বিতীয় পর্বে গোপীবাগের ‘দ্য অরেঞ্জ ব্রিগেড’ খ্যাত ব্রাদার্সকে ৫-১ গোলে রীতিমতো বিধ্বস্ত করে ‘মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’ ফুটবলে শিরোপা অক্ষুণœ রাখার আরও সন্নিকটে পৌঁছে গেল ‘বেঙ্গল ইয়োলোস’ খ্যাত শেখ জামাল। শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত রাতের এই ম্যাচে প্রথমার্ধে জামাল এগিয়ে ছিল ৪-১ গোলে। এই ম্যাচে জামালের জয়ে হ্যাটট্রিক করেন গাম্বিয়ান মিডফিল্ডার ল্যান্ডিং ডার্বোয়ে। এছাড়া জোড়া গোল করেন নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকা ডার্লিংটন। ব্রাদার্সের একমাত্র গোলদাতা হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড অগাস্টিন ওয়ালসন। নিজেদের সপ্তদশ ম্যাচে এটা জামালের ত্রয়োদশ জয়। ৪২ পয়েন্ট নিয়ে অন্য দলগুলোর চেয়ে অনেকটাই ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেল বর্তমান শিরোপাধারী শেখ জামাল। জামালের এটা টানা পঞ্চম ম্যাচে জয়। পক্ষান্তরে, নিজেদের সপ্তদশ ম্যাচে এটা ব্রাদার্সের চতুর্থ হার। ২৯ পয়েন্ট নিয়ে আগের চতুর্থ স্থানেই রয়ে গেল তারা। এ ম্যাচে জিতলে লীগে রানার্সআপ হওয়ার একটা সুযোগ ছিল সৈয়দ নঈমউদ্দিনের শিষ্যদের। কিন্তু সেটা এখন তাদের জন্য সুদূর পরাহত! চার ম্যাচ পর আবারও হারের তেতো স্বাদ পেল দলটি। ম্যাচের ১৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জামালের ল্যান্ডিং ডার্বোয়ের ডান পায়ের তীব্র শট ঝাঁপিয়ে পড়েও আটকাতে পারেননি ব্রাদার্স গোলরক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্য্য। লিড নেয় জামাল (১-০)। ১৮ মিনিটে বাঁ পায়ের তীব্র শটে আগুয়ান গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল জালে পাঠিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমেকা ডার্লিংটন (২-০)। ৩১ মিনিটে ফ্রি কিকে গোল করে ব্যবধান কিছুটা কমান ব্রাদার্সের অগাস্টিন ওয়ালসন (১-২)। ৪৫ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে জামালের হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড ওয়েডসন এ্যানসেলমের ব্যাক পাসে পা ছুঁইয়ে ব্রাদার্সের জাল কাঁপান আবারও ডার্লিংটন (৩-১)। লীগে এটা তার পঞ্চদশ গোল। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে আরও এক গোল করেন ল্যান্ডিং ডার্বোয়ে (৪-১)। ৫৬ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেন ল্যান্ডিং ডার্বোয়ে (৫-১)। লীগে এটা তার একাদশ গোল। শেষ পর্যন্ত ৫-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে জামাল। এ ম্যাচে জামাল হেরে গেলে তাদের নিচে থাকা চার দল- মোহামেডান, ঢাকা আবাহনী, ব্রাদার্স ও শেখ রাসেলের শিরোপা জয়ের আশা কিছুটা হলেও বেঁচে থাকত। জামাল জেতায় তাদের পয়েন্ট এখন ৪২। জামালের এরপর বাকি থাকবে আরও তিন ম্যাচ। প্রতিপক্ষ হলো- মোহামেডান, মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা আবাহনী। ওই তিন ম্যাচে যদি জামাল হেরে যায় এবং মোহামেডান ও ঢাকা আবাহনী যদি তাদের বাকি সব ম্যাচে জেতে, তাহলে তাদের জামালের চেয়ে এক পয়েন্ট (৪৩) বেশি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। মোহামেডান-আবাহনীর চেয়েও এক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে ‘বেঙ্গল ব্লুজ’ খ্যাত শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেড। কেননা তারা খেলেছে এক ম্যাচ কম (১৫ ম্যাচে পয়েন্ট ২৯)। সেক্ষেত্রে বাকি পাঁচ ম্যাচের সবটিতে জিততে পারলে তাদের পয়েন্ট হবে সবার চেয়ে বেশি (৪৪ পয়েন্ট)। মোট কথা- গাণিতিক হিসেবে এখনও মোহামেডান, ঢাকা আবাহনী ও শেখ রাসেলেরও সুযোগ আছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। তবে বাস্তবতা হলো সেটা প্রায় অসম্ভব। তাই শনিবারের ম্যাচে ব্রাদার্সকে হারিয়ে জামাল শিরোপা উৎসবের প্রস্তুতি শুরু করে দিল- এটা বলাই যায়।
×