ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তালতলীতে শিক্ষককে পেটালেন উপজেলা চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২৫ জুলাই ২০১৫

তালতলীতে শিক্ষককে পেটালেন উপজেলা চেয়ারম্যান

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ২৪ জুলাই ॥ তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান মিন্টু বৃহস্পতিবার রাতে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ সুন্দর আলী গাজীকে পিটিয়ে ও চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে বেধরক মারধর করেছে। আহত শিক্ষক বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, ১৯৬৩ সালে রাখাইন মংফ্রুর ২৫.৮১ একর জমি নিলাম হয়। এ জমির নিলাম ক্রয় করে তালতলী উপজেলার ছোট ভাইজোড়া গ্রামের করিম উদ্দিন তহসিলদার। ওই জমি থেকে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুন্দর আলী গাজী ২০০৩ সালে ৫ একর জমি ক্রয় করে বসতবাড়ী নির্মাণ করে। এদিকে তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টু রাখাইন মংফ্রুর ওয়ারিশ দেখিয়ে সদ্য বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী তোফায়েল আহম্মেদের কাছ থেকে জমি বিক্রির অনুমতি নেয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি শেষে মংফ্রুর ওয়ারিশের কাছ থেকে চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টুর গাড়ির চালক মোঃ কালুসহ ৫ সহযোগীর নামে পাওয়ার অব এ্যাটর্নি রাখে। পরে চেয়ারম্যান নিজের জমি দাবি করে ওই জমিতে বসবাসরত সকলের কাছ থেকে শতাংশ প্রতি ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন। এ টাকা দিতে শিক্ষক সুন্দর আলী অস্বীকার করায় বৃহস্পতিবার রাতে তালতলী বন্দরের মায়ের দোয়া হোটেলে একা পেয়ে হোটেলের চাপাতি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। ওই সময় চেয়ারম্যানের সঙ্গে থাকা ইলিয়াস জোমাদ্দার তাকে হোটেল থেকে হেনেহিঁচরে নামিয়ে আবারও মারধর করে। পরে প্রধান শিক্ষক হাসপাতালে যাওয়ার পথে চেয়ারম্যানের আরএক সহযোগী মাওলানা আনোয়ার ও তার লোকজন আবারও মারধর করে উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিসে নিয়ে যায়। অফিসে নিয়ে চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে পুনরায় বেধরক পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম করে। পরে তিন শত টাকার সাদা স্ট্যাম্পে সই রেখে তাকে পাঠিয়ে দেয়। অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুন্দর আলী গাজী জানান, আমাকে দফায় দফায় মারধর করেছে। তিনি আরও জানান চেয়ারম্যানের অফিসে নিয়ে চেয়ারের সাথে বেঁধে বেধরক মারধর করার পর তিন শত টাকার সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে আমাকে পাঠিয়ে দিয়েছে। তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান মিন্টু জানান, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নামে ১০০ কানি জমি রয়েছে। তিনি আরও জানান, ওই শিক্ষক রাখাইনদের ৫ একর জমি গোপনে অনুমতি নিয়ে ৪ জনের মাঝে দলিল করে দিয়েছে। এ কথা জিজ্ঞাসা করার তিনি আমাকে কটূক্তি করায় একটি চড় মেরেছি। তালতলী থানার ওসি বাবুল আখতার জানান, রাখাইনদের বিরোধীয় জমি অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোপনে দলিল করে।
×