ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হিলারির ই-মেইল এ্যাকাউন্ট নিয়ে ফৌজদারি তদন্ত চাই

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ২৫ জুলাই ২০১৫

হিলারির ই-মেইল এ্যাকাউন্ট নিয়ে ফৌজদারি তদন্ত চাই

হিলারি ক্লিনটন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তার ব্যক্তিগত ই-মেইল এ্যাকাউন্ট সম্পৃক্ততায় স্পর্শকাতর সরকারী তথ্যের অপব্যবহার করেছেন কিনা- সে ব্যাপারে একটি অপরাধ বিষয়ক তদন্ত শুরু করার জন্য বিচার দফতরের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন দুইজন ইন্সপেক্টর জেনারেল। উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছেন। খবর নিউইয়র্ক টাইমস অনলাইনের। ইন্সপেক্টর জেনারেলরা পররাষ্ট্র ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জন্য ২০ জুন একটি মেমোতে বিষয়টি নিরূপণ করার পর এ অনুরোধ জানান। মেমোতে বলা হয়, হিলারির ব্যক্তিগত এ্যাকাউন্টে কয়েক শ’ গোপন ই-মেইল রয়েছে। পররাষ্ট্র দফতরের ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী প্যাট্রিক এফ কেনেডিকে উদ্দেশ করে মেমোটি লেখা হয়। হিলারি ই-মেইলে যে তথ্যগুলো পাঠিয়েছেন বা গ্রহণ করেছেন সেগুলোর কোন একটা পররাষ্ট্র দফতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে কিনাÑ তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু পররাষ্ট্র দফতর বিষয়ক কাজকর্মের জন্য তার ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহারের বিষয়টি মার্চে প্রকাশ হয়ে পড়ার পর থেকে তিনি বারবার বলে এসেছেন যে, এ্যাকাউন্টে তার কোন গোপন তথ্য নেই। তার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থিতার প্রচার অভিযানের প্রথম পর্যায়ে এ তথ্য প্রকাশের বিষয়টি একটা সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। তার জন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বলেছেন, বিচার দফতর তদন্ত শুরু করবে কিনা, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়নি তারা। হিলারির প্রচার অভিযান বিষয়ক এক মুখপাত্র এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। হিলারির ব্যক্তিগত এ্যাকাউন্ট থেকে পররাষ্ট্র দফতরের ই-মেইলের যে হাজার হাজার পৃষ্ঠা রয়েছে সে ব্যাপারে তিনি বলেছেন, তিনি এ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন। কারণ, তা ছিল বেশ সুবিধের। তার এ্যাকাউন্ট ব্যবহারের বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তিনি পরবর্তীতে বলেছেন, তার ই-মেইলগুলো থেকে অবমুক্ত করে দেয়ার জন্য পররাষ্ট্র দফতরের জটিলতার প্রতি তিনি আহ্বান জানাবেন। পররাষ্ট্র দফতর এখন প্রায় ৫৫ হাজার পৃষ্ঠার ই-মেইল পর্যালোচনা করছে। প্রথমে ৩ হাজার পৃষ্ঠার ই-মেইল প্রকাশ করা হয় ৩০ জুন। কেনেডির কাছে ১৭ জুলাই পাঠানো দ্বিতীয় মেমোতে ইন্সপেক্টর জেনারেলরা বলেছেন যে, পররাষ্ট্র দফতর প্রকাশিত অন্তত একটি ই-মেইলে গোপন তথ্য রয়েছে। ইন্সপেক্টর জেনারেলরা ওই ই-মেইলটি শনাক্ত করেননি বা প্রকাশ করেননি। হিলারি মার্চে জোর দিয়ে বলেন, তার ব্যক্তিগত এ্যাকাউন্ট তথ্য ব্যবহারে তিনি সতর্ক ছিলেন। তিনি বলেছেন, আমার ই-মেইলে কারও কাছে কোন গোপন তথ্য সরবরাহ করিনি। সেখানে কোন গোপন তথ্য ছিল না।
×