নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৩ জুলাই ॥ মেয়ের বিয়ের প্রস্তুতির জন্য পৈত্রিক সম্পত্তি এবং গবাদিপশু বিক্রি করে দুই লাখ ৩৫ হাজার টাকা জমা করেছিলেন মা শামসুন্নাহার। কিন্তু বিয়ে আর দিতে পারেননি। ওই টাকার দিকে নজড় পড়ে আরডিপির কর্মীদের। বলা হয় এ টাকা গচ্ছিত রাখার জন্য। প্রতি মাসে মুনাফা পাবেন এবং যখন খুশি তুলে মেয়ের বিয়েতে খরচ করতে পারবেন। সরল বিশ্বাসে লাভের আশায় এ টাকা কয়েক দফায় জমা করেন শামসুন্নাহার। তাকে কয়েক কিস্তিতে তিন হাজার এক শ’ ৮০ টাকা লাভও দেয়া হয়। কিছুটা বিশ্বাস জন্মায় শামসুন্নাহারের মনে। এভাবে তারই আরেক আত্মীয় নাইম হোসেনও জমা করেন এক লাখ কুড়ি হাজার টাকা। ২০১৪ সালের ২৫ জুন এ টাকা তিনি ফিক্সড ডিপোজিট করেন। তাকে ২০১৫ সালের ২৬ জুন ২২ হাজার টাকা মুনাফা দেয়া হবে এমন রসিদও দেয়া হয়েছে। এভাবে শত শত গ্রাহক বিভিন্ন মেয়াদের ভিত্তিতে লাখ লাখ টাকা জমা করেন। আরডিপি ফাইন্যান্স এ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এমসিএস লিঃ কলাপাড়া শাখা এমন প্রতারণা করে এখন গা ঢাকা দিয়েছে। কলাপাড়া পৌরশহরের কুমারপট্টিতে একটি বহুতল ভবনের দোতলায় এ অফিসটির সাইনবোর্ড কয়েক মাস আগে উধাও হয়ে গেছে। বর্তমানে সেখানে পায়রা ক্ষুদ্রঋণ সমবায় সমিতির একটি সাইনবোর্ড ঝুলছে। জামায়াত নেতা কলাপাড়া মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজের এক শিক্ষকের ভাইয়ের ছেলে আব্দুল মান্নান অফিসটি পরিচালনা করত বলে জানা গেছে। মান্নান বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে। আমতলী থানা পুলিশ তাকে ৩০ জুন গ্রেফতার করে। কিন্তু প্রতারিত গ্রাহকরা এখন ধরনা দিচ্ছেন গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে। একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে আরডিপির এসব গ্রাহকের টাকায় কেনা কুয়াকাটাতে নয় একর ১৫ শতক জমি রয়েছে। যা সরকারী নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বিক্রির মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করার দাবি করেছেন প্রতারিতরা।
ওবায়দুল হক ছিলেন সাংবাদিকতার প্রাণপুরুষ
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর কীর্তিমান সাংবাদিক এম ওবায়দুল হক ছিলেন চট্টগ্রামের প্রাণপুরুষ সাংবাদিকদের অন্যতম। তিনি একাধারে স্পোর্টস, অর্থনীতি, বিনোদনসহ সবক্ষেত্রে কাজ করে গেছেন। যে সময়কালে তিনি সাংবাদিকতায় যুক্ত হয়েছিলেন তখন থেকে যদি তিনি রাজধানী ঢাকায় থাকতেন তাহলে আরও বেশি সমাদৃত হতেন। কিন্তু চট্টগ্রামের প্রতি মমত্ববোধের কারণে চট্টগ্রাম ত্যাগ করেননি। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক ওবায়দুল হকের শোক সভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) এবং চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ারের সভাপতিত্বে শোকসভায় স্মৃতিচারণ করেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এজাজ ইউসুফী, সাংবাদিক আবু সুফিয়ান, আতাউল হাকিম, মরহুম এম ওবায়দুল হকের ছেলে ইব্রাহিম আজাদ প্রমুখ।