ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২৪ জুলাই ২০১৫

উবাচ

সঙ্গে বোতল চাই! স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইয়াবার সঙ্গে বোতলসহ ধরা পড়েছে ছাত্রদলের সভাপতি। সম্প্রতি বেরসিক পুলিশ এই কাজখানা করেছে তার বাড়ি থেকে ফেরার পথে। তার সঙ্গে গুটিকয়েক ইয়াবা আর একটা বোতল পাওয়া গেছে। অনেকেই বলছেন ছাত্রদলের সভাপতির এক বোতল সঙ্গে রাখার দরকার হয়, তিনি যেখানেই যাবেন বললেই বোতল পৌঁছে যাবে সেখানে। দেশে ছাত্র রাজনীতির যে দশা তার সঙ্গে এই কথাখানা ভীষণ যায়। কিন্তু কেউ কেউ আবার বলছেন তিনি যতই ক্ষমতাশালী হোন পেতে হলে তো ঘাটে পৌঁছানো লাগবে। তিনি গাড়ির ভেতরে কী পান করবেন। সংবাদমাধ্যম বিষয়টি একটু স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছিল। এটা কোন বিষয় হলো; কিন্তু ঘটনাটা বিএনপিই বাজাচ্ছে বেশি। খোদ দলীয় চেয়ারপার্সনই বলছেন, না, বোতলসহ তার দলের ছাত্রনেতা ধরা পড়েছেÑ এটা তিনি বিশ্বাস করেন না। এখানে কারসাজি হয়েছে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বেগম জিয়া বলেছেন, বিরোধী রাজনীতিকে দুর্বল করার অপপ্রয়াসে ছাত্রনেতা রাজীবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করে এখন বলা হচ্ছে এসবও আছে। ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসানকেও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই গ্রেফতার করা হয়েছে এবং মাদক উদ্ধারের বিষয়টি একটি ঘৃণ্য প্রচারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু ম্যাডাম যে কেন এটাকে টেক ইজি না করে প্যাঁচাচ্ছেন, তা তিনিই জানেন। খালেদার দল ভাঙ্গা তত্ত্ব! স্টাফ রিপোর্টার ॥ গুটিকয়েক দিন আগে বেগম জিয়া বলেছিলেন- যদি দল ভাঙ্গার ইচ্ছা থাকে দল থেকে সোজা বের হয়ে যান। সংবাদমাধ্যমে খবরও বের হয়েছিল বিএনপি ভেঙ্গে যাচ্ছে বুঝি। বিএনপিতে দল ভাঙ্গা, নতুন দল গড়া আবার সেই দল নিয়ে জোট করা এসব বিষয়কে একটি চলমান প্রক্রিয়া হিসেবেই দেশের মানুষ দেখছে। কেননা এর আগে বিএনপি ভেঙ্গেই তো এলডিপি, বিকল্পধারা, বিএনএফ, আসল বিএনপি হয়েছে। এদের কাউকে কাউকে নিয়ে বেগম জিয়া অগণিত দলের জোট করেছেন। এখন বিএনপি ভাঙলেই কী আর না ভাঙলেই কী। আর যদি ভাঙ্গেও সে দল তো বিএনপির জোটেই থাকবে। দিন শেষে হিসাব তো একই দলের বিএনপি জোটে অথবা জোটের বিএনপি দলে। ভোট তো আর অন্য বাক্সে যাবে না। বরং ওই দলের ইফতার পার্টিতে প্রধান অতিথি খালেদা জিয়াই। তাহলে বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া বলছেন- আমার দল ভেঙ্গে দিল রে, আমার দল ভেঙ্গে দিল। তিনি জামালপুর গিয়ে বলে এসেছেনÑ ‘তারা বিএনপিকে ভয় পায়, এ কারণেই বিএনপিকে ভাঙতে চায়। আর এ কাজে তারা এজেন্সিগুলোকে ব্যবহার করতে চায়।’ তিনি দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তিনি জানেন এসব কাজ এজেন্সিকে দিয়ে করানো যায়। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, আবার ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাই প্রমাণ করে কিভাবে বিএনপি এজেন্সি ব্যবহার করত। সেই তিনি আবার বলছেনÑ ‘আমি সকল সরকারী এজেন্সি সম্পর্কে জানি। আমরাও দেশ পরিচালনা করেছি। কিন্তু এজেন্সিগুলোকে তাদের জুরিসডিকশন মেনে কাজ করতে হবে। কারণ সব কাজের জন্য তাদেরও জবাবদিহি করতে হবে। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।’ আসলে এখনও হচ্ছে না। তারেকই যথেষ্ট স্টাফ রিপোর্টার ॥ শরণার্থী তারেক রহমানকে নিয়ে মোটামুটি বিব্রত বিএনপিও। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায়ও নাকি তারেক ইস্যুটি গুরুত্ব পেয়েছে। দলের মধ্যে নানান লবিং-গ্রুপিং তারেকই তৈরি করে রেখেছেন। এজন্য বিএনপির সিনিয়র নেতারাও বিরক্ত। এ কথার পুরোটাই অবশ্য লোকমুখে শোনা। কিন্তু এবার বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বিষয়টি ধরে ফেলেছেন। তিনি খালেদার দল ভাঙ্গার তত্ত্ব প্রকাশের পর বলেছেন- ‘আমরা না, আমরা না, খালেদা জিয়ার এক ছেলেই যথেষ্ট এই কাজ করার জন্য।’ সুরঞ্জিত বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ভয়, তার দল বুঝি সরকার ভেঙ্গে দেবে। সব সরকারই বিরোধী দল ভাঙ্গার চেষ্টা করে। কিন্তু ইতিহাস বলে, সেটা সম্ভব হয় না। দল ভাঙ্গে ভেতরের লোকজন। বিএনপি ভাঙ্গার জন্য খালেদা জিয়ার এক ছেলেই যথেষ্ট, ঘরের শত্রু বিভীষণ।’ ‘জিয়ার বিএনপি’, ‘মাহবুবুর রহমানের বিএনপি’ ইত্যাদি নামে দলটি বিভক্ত হয়ে যেতে পারেÑ মন্তব্য করে এ জন্য খালেদা জিয়াকে সতর্ক করেন জ্যেষ্ঠ এই আওয়ামী লীগ নেতা। ভবিষ্যতে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতা নিয়ে বিএনপি জোটকে সতর্ক করে সুরঞ্জিত বলেন, ‘খালেদা জিয়া এবার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবেন বলে শোনাচ্ছেন। বিলম্বে হলেও ‘আন্দোলন শান্তিপূর্ণ করতে হবে’ এমন বোধদয়ের জন্য আমি খালেদা জিয়াকে ধন্যবাদ জানাই। বেশি কথায় ভুল বেশি স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেষ পর্যন্ত জানা গেল কেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক কম কথায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শুধু তিনি কথাই কম বলেন না, যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকেন সেখানেও যাওয়া-আসা নেহায়েত হাতে গোনা। শুধু ক্ষণে ক্ষণে নির্দিষ্ট আয়োজনে ছাড়া আওয়ামী লীগ নিজেই তার দলের সাধারণ সম্পাদককে পায় না। স্বাভাবিকভাবেই দলে সভানেত্রীর পরেই তার অবস্থান। দলের তৃণমূল থেকে সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরও তার প্রতি অন্যরকম আকাক্সক্ষা থাকার কথা। তাছাড়া এতবড় নেতা একবাক্যে সবাই বলবেন- এত ভাল মানুষ তার কাছে তো দেশের মানুষের প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তার নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত উজ্জীবিত হয়ে ওঠার ইচ্ছা জাগতে পারে তারুণ্যের। কিন্তু কোথায় সেই নেতা? কোথায় তিনি। তিনি তো খোলস ছেড়ে বেরই হতে চান না। তাকে ওই আমানিশার চাঁদ কিংবা ডুমুরের ফুলও বলা চলে। এবার তিনিই বললেন, কেন তিনি এমন। বৃহস্পতিবারই জাতির পিতার শাহাদাতবার্ষিকী পালন বিষয়ে সাংবাদিকদের মতবিনিময় অনুষ্ঠানে কম কথা বলার ব্যাখ্যা দিলেন তিনি। যে কোন প্রয়োজনে দলের অবস্থান জানার শত চেষ্টা করেও কেন তাকে পাওয়া যায় না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বেশি কথা বললে ভুল বেশি হয় এ জন্য সব সময় তিনি কম কথা বলার চেষ্টা করেন। তাই বলে এত কম! এত কম! যে মানুষের মনে হবেÑ উনি তো সব ক্ষেত্রে আড়ালেই থাকে, এখন এটুকু আর না আসলেই বা কি হতো?
×