নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২২ জুলাই ॥ জেএমবি ক্যাডার সদস্য ফজলে রাব্বি ম-লকে জেএমবির কিলিং স্কোয়ার্ড গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাঘাটা উপজেলার জেএমবি অধ্যুষিত এলাকায় আবারও পুলিশ ও র্যাবের ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়েছে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে জেএমবির প্রয়াত নেতা ছিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাইয়ের সাঘাটার শ্বশুর বাড়ির এলাকা আকন্দপাড়া, বসন্তেরপাড়া, শিমুলবাড়ি, বগারভিটা, ছিলমানেরপাড়া, কানাইপাড়া ও হলদিয়াসহ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় আবারও জেএমবির গোপন তৎপরতা শুরু হয়েছে।
এদিকে নিষিদ্ধ ঘোষিত এই জঙ্গী সংগঠনের একটি অংশ সাংগঠনিকভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে এলকাবাসীর পক্ষ থেকে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগও দেয়া হয়েছে। ১৬ জন এলাকাবাসী স্বাক্ষরিত এ অভিযোগে সাঘাটা উপজেলায় উগ্রবাদী জঙ্গীবাদের উত্থান প্রতিরোধ ও জঙ্গী ক্যাডারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন এলাকা থেকে পলাতক সাঘাটার জুমারবাড়ি ইউনিয়নের বসন্তেরপাড়া গ্রামের সাদাক্কাস আলীর ছেলে জেএমবি ক্যাডার গোপনে ঈদ করতে বাড়ি আসে। সে জেএমবির কর্মকা-ের একাধিক মামলার পলাতক আসামি এবং এতদিন ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল। ঈদ করতে গোপনে বাড়িতে এলে সে ২০ জুলাই রাতে নিহত হয়। তার সঙ্গে সে সময় ছিল তার চাচা সাবেক জেএমবি ক্যাডার এনামুল্লাহ মিয়া। তাকে জেএমবির ক্যাডাররা মারপিট করে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় এনামুল্লাহকে পুলিশ আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। সে পুলিশের কাছে এ খুনের সঙ্গে অন্যতম সন্দেহজনক বিবেচিত হলেও নিহত ফজলে রাব্বি ম-লের পিতা সাদাক্কাস আলীর দায়েরকৃত মামলায় তাকে আসামি করা হয়নি। আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী সাজু এবং তার ছেলে রনি বাবু, রাজু মিয়া ও আবু তাহেরকে আসামি করে নির্বাচন সংক্রান্ত গোলযোগে খুন এ অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে জেএমবির সংশ্লিষ্টতা আড়াল করতেই নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ এনে পূর্ব শত্রুতাবশত তাদের নামে এ মামলাটি করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ থেকে আরও জানা গেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর শীর্ষ প্রয়াত নেতা ছিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাইয়ের স্ত্রী ফাহিমা খাতুন বর্তমানে কারাগারে অবস্থান করছেন। জেএমবির সঙ্গে সম্পৃক্ততা, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য নির্মাণের দায়ে উচ্চ আদালত তাকে আজীবন কারাদ- দিয়েছেন। ফাহিমা খাতুন আকন্দপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের দ্বিতীয় মেয়ে। উল্লিখিত এলাকায় গোপনে সংগঠিত হচ্ছে জেএমবি ক্যাডাররা। ফাহিমা খাতুনের পরিবারের লোকজনও এতে সম্পৃক্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যমুনা নদীসংলগ্ন চর এলাকার বিভিন্ন স্থানে মহিলাদের ধর্মীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উগ্র মৌলবাদী চেতনায় দীক্ষিত করে তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগে জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: