ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান চতুর্থ ওয়ানডে আজ

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ২২ জুলাই ২০১৫

শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান চতুর্থ ওয়ানডে আজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান চতুর্থ ওয়ানডে আজ। প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের একদিবসীয় দ্বৈরথে দুই মেরুতে দাঁড়িয়ে উপমহাদেশের দুই ক্রিকেট পরাশক্তি। টেস্ট সিরিজ হাতছাড়া করার পর ওয়ানডে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে যেখানে জয়ের বিকল্প নেই স্বাগতিক লঙ্কানদের। অন্যদিকে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করতে আত্মবিশ্বাসী ২-১এ এগিয়ে থাকা পাকিরা। অতিথি অধিনায়ক আজহার আলির কণ্ঠে প্রত্যয়ের সুর। যদিও মোহাম্মদ হাফিজের পুরো সার্ভিস পাচ্ছে না দল। দ্বিতীয়বারের মতো অবৈধ এ্যাকশনের দায়ে বোলিং করতে পারছেন না বিশ্বের অন্যতমসেরা এই অলরাউন্ডার, বল হাতে নিষিদ্ধ হয়েছেন এক বছরের জন্য। অবশ্য তার বোলিং ছাড়াই আগের ম্যাচে ১৩৫ রানের বিশাল জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। ‘জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবছি না। ক্ষুদ্র কিছু ভুল বাইরে রাখলে আমরা প্রত্যাশিত ক্রিকেট খেলছি। প্রমাণ করেছি যে কোন ম্যাচে জয় সম্ভব। লক্ষ্য এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করা, সে লক্ষ্যেই মাঠে নামব।’ বলেন পাকিস্তান ওয়ানডে অধিনায়ক আজহার। অবশ্য নির্ভার না হয়ে সতীর্থদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি আরও যোগ করেন, ‘অতি আত্মবিশ্বাসে ভোগার সুযোগ নেই। কারণ নিজেদের মাটিতে শ্রীলঙ্কা ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য রাখে। আমাদের অলআউট ক্রিকেট খেলতে হবে। যেমনটা প্রথম ও তৃতীয় ম্যাচে খেলেছি।’ জয় পাওয়া দুই ম্যাচে পাকিরা আসলেই অলআউট ক্রিকেট খেলেছে। প্রথমে ডাম্বুলার প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটের বিশাল জয়ে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। বল হাতে ৪ উইকেট নেয়ার পর ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ম্যাচসেরা হন হাফিজ। সেটি ১১ তারিখের ঘটনা। কিন্তু ১৭ জুলাই পুনরায় নিষিদ্ধ হওয়ায় তৃতীয় ম্যাচে বোলিং করতে পারেননি। রবিবার তৃতীয় ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে খেলেন ৫৪ রানের কার্যকর ইনিংস। সরফরাজ আহমেদের নৈপুণ্যে (৭৪ বলে ৭৭) ভাস্বর ম্যাচে ৩১৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়া পাকিস্তান প্রতিপক্ষকে গুড়িয়ে দেয় ১৮১ রানে। তুলে নেয় ১৩৫ রানের বড় জয়। যদিও দর্শকদের বাজে আচরণ ক্রিকেট বিশ্বকে হতাশ করে। গ্যালারিতে দুই গ্রুপ উচ্ছৃঙ্খলের মধ্যে ইট পাটকেল ছোড়ার কারণে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ের সময় ২০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে অবশ্য জয় পেতে কষ্ট হয়নি পাকিদের। ভদ্র বলে উপমহাদেশীয় দর্শকের মধ্যে শ্রীলঙ্কানদের দারুণ একটা ইমেজ ছিল, তাতে কিছুটা হলেও কালিমা পড়ে। পাল্লেকেলের দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য ২ উইকেটের নাটকীয় জয় পেয়েছিল স্বাগতিকরা। আজহারের আত্মবিশ্বাস বাস্তবায়ন করে এই সিরিজে জয়টা পাকিস্তানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে সিরিজটি নিরঙ্কুশ (৩-২) ব্যবধানে জিততে হবে পাকিদের! ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দলই কেবল সেখানে খেলতে পারবে। বাংলাদেশ সফরে টাইগারদের কাছে ‘হোয়াইটওয়াশ’ হয়ে ‘নয়’ নম্বরে নেমে গিয়েছিল পাকিরা। দুই ম্যাচ জয়ে অবশ্য ফিরে এসেছে ‘আট’ নম্বরে। লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আজহার বাহিনী। তবে দুটি দলই যেহেতু সমশক্তির তাই তাদের মাথায় রাখতে হবে ২-১এ এগিয়ে যাওয়ার পরও সিরিজ হারের সম্ভাবনা থাকবে, দলটি যেহেতু পাকিস্তান তাই সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না! অন্যদিকে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার থেকে বিদায় নেয়া শ্রীলঙ্কার সময়টাও যে ভাল যাচ্ছে না। অবসরে যাওয়া দুই বড় তারকা কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনের অভাবটা হারে হারে টের পাচ্ছে তারা। নেতৃত্বে-ব্যাটিংয়ে যথারীতি ভরসা এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। অধিনায়কের হতাশ কণ্ঠ, ‘ঘুরে দাঁড়াতে আমাদের আসলে নিজেদের খেলাটা খেলতে হবে। প্রতি ম্যাচে যে ভুল হচ্ছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আশা করছি সতীর্থরা সেটি বুঝবে।’ ব্যাট হাতে উপুল থারাঙ্গা-লাহিরু থিরিমান্নের সঙ্গে আছেন অভিজ্ঞ তিলকারতেœ দিলশান। পেস আক্রমণে বড় তারকা লাসিথ মালিঙ্গা অবশ্য একদমই ফর্মে নেই। ভরসা তাই নুয়ান প্রদীপ ও থিসারা পেরেরা।
×