ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে সবজির দাম বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২১ জুলাই ২০১৫

রাজধানীতে সবজির দাম বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা বর্ষণ ও ঈদের ছুটিতে দোকানপাট বন্ধ থাকায় রাজধানীর বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। কেজিপ্রতি সবজির দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তবে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে দাম আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের, কেজিপ্রতি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা। ঈদের আগেও যা ছিল ১০০-১২০ টাকা। এছাড়া চাল, ডাল, পেঁয়াজ, চিনি ও আটার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সরবরাহ না থাকায় বেড়েছে সব ধরনের তরল দুধের দাম। আড়ং ও মিল্কভিটা প্রতি লিটার দুধের দাম রাখা হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকায়। কোন কোন দোকানদার এ দামের চেয়ে বেশি রাখছেন বলে অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদে সরবরাহ কম, সেই সঙ্গে বৃষ্টির কারণে মরিচের দাম বেড়েছে সব থেকে বেশি। এছাড়া বেগুনের চাহিদা কমলেও সরবরাহ কম থাকায় দাম কমেনি। এখনও ৬০-৮০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে বেগুন। এছাড়া ঝিঙ্গা ৪০, কাকরোল ৫০ এবং করলা ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে, ঢেঁড়সের দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০-২০ টাকা। দাম বাড়া বিষয়ে কাপ্তান বাজারের সবজি বিক্রেতা বোরহান জনকণ্ঠকে বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। এছাড়া ঈদের ছুটিতে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা ছুটিতে গ্রামের বাড়ি গেছেন। বাজারে ক্রেতাও কম। সবমিলিয়ে বাজারে ঈদের ছুটির আমেজ বিরাজ করছে। এ কারণে সবজির দাম বাড়তি। তবে দু’একদিনের মধ্যে সবজির সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে বলে জানালেন তিনি। ফকিরাপুল বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেল অধিকাংশ দোকান বন্ধ অবস্থায় দেখা গেল। দু’একটি দোকান খুললেও বেশি পরিমাণ সবজি রাখা হয়নি। শুধু বেশি প্রয়োজনীয় সবজিগুলো নিয়ে বসেছেন তাঁরা। অনেককে দোকান বন্ধ রেখে খোশগল্প করে সময় পার করছেন। আমিরাতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশী তরুণ নিহত বাংলানিউজ ॥ সংযুক্ত আরব আমিরাতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোহাম্মদ সোলাইমান (২৮) নামে এক বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। ঈদের ছুটিতে শারজাহ থেকে আল আইন যাওয়ার পথে রাস আল খাইমাহ রোডে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। রবিবার ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তার মরদেহ স্থানীয় একটি হাসপাতালে রাখা হয়েছে। দেশে পাঠানোর বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। জানা যায়, নিহত মোহাম্মদ সোলাইমান চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মির্জাপুর মুহুরীহাট বটতলের আবদুল হাফেজের তৃতীয় সন্তান। এ বিষয়ে দুবাই কনস্যুলেটের লেবার কনসাল এএসএম জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এ দুর্ঘটনার বিষয়ে কেউ আমাকে অবহিত করেনি, তবে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।
×