ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ক্রান্তিকাল কাটিয়ে অশ্বিন!

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ১৭ জুলাই ২০১৫

ক্রান্তিকাল কাটিয়ে অশ্বিন!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত বছর নবেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় দল চরম দুর্গতির মধ্যে পড়েছিল। দুরবস্থার শিকার ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররাও। এমনকি দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য স্পিনার হয়ে ওঠা রবিচন্দ্রন অশ্বিনও হয়ে পড়েছিলেন নখ-দন্তহীন। অশ্বিন নিজেও মনে মনে চিন্তা করেছিলেন এই ক্রান্তিকাল থেকে বেরিয়ে আর ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে পারবেন না। কারণ চার টেস্টের সিরিজে একটি খেলার সুযোগ পাননি। বাকি তিন টেস্টে ১২ উইকেট নিতে পেরেছিলেন ৪৮.৬৬ গড়ে। এ জন্য অশ্বিন মনে করেন ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় দুঃসময়টা কাটিয়ে উঠেছেন তিনি। সম্প্রতিই এক সাক্ষাতকারে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলার সময় এসব মন্তব্য করেন অশ্বিন। ২০১১ সালে টেস্ট অভিষেক হওয়ার পর উপমহাদেশে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়েছেন অশ্বিন। উপমহাদেশের বাইরে যে পারফর্মেন্স দেখিয়েছেন তা তেমন আকর্ষণীয় কিছু নয়। তিনি এশিয়াতে ১৬ টেস্টে ২৩.৮৭ গড়ে নিয়েছেন ১০০ উইকেট। অথচ এশিয়ার বাইরে ৯ টেস্টে ২৪ উইকেট নিতে পেরেছেন। গড় ৫৬.৫৮! তবে আগামীতে এশিয়ার বাইরে নিজের নৈপুণ্যটা অনেক ভাল হবে বলে আত্মবিশ্বাসী অশ্বিন। তিনি বলেন, ‘আমি বলতে পারি যে সময় পার করেছি আগামীতে অনেক ভাল করতে সক্ষম হব। আমি মনে করি যখন অস্ট্রেলিয়ায় খেলেছি তখনই সবচেয়ে কঠিন সময়টা পার করে ফেলেছি। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে আমি মনে করি উইকেট নেয়ার অসংখ্য সুযোগ তৈরি করতে পারি এবং ব্যাটসম্যানদের ওপর প্রচুর চাপ প্রয়োগ করতে পারি। আমার জানা মতে যেকোন স্পিনারের জন্য অস্ট্রেলিয়াতে গিয়ে একদিনে ৩০ ওভার বোলিং করতে পারা খুবই স্বার্থকতার একটি কাজ। এখন যদি কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করে তুমি কি ২৫ উইকেট নিতে পারবে? আমি বলব-অবশ্যই।’ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলে সেখানে কিভাবে বোলিং করতে হবে বুঝে গেছেন অশ্বিন। এখন আর স্বাভাবিক নৈপুণ্য প্রদর্শনে সমস্যা হবে না তার। এ বিষয়ে নিজেই আত্মপ্রত্যয়ী কণ্ঠে বললেন, ‘আমি হয় তো এখন ৬ উইকেট নিয়েই দিন শেষ করতে পারি। আমি বলতে চাই সেভাবেই আমি আসলে নৈপুণ্য দেখাতে চাই। আমি দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি এবং ইংল্যান্ডে দুটি টেস্ট খেলেছি। আমি যদি ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলি সেক্ষেত্রে হয়তো মুহূর্তেই পাঁচ উইকেট নিতে পারি। কিন্তু ইংল্যান্ড বা দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে সেটা করতে হলে তৃতীয় অথবা চতুর্থ টেস্টে নামতে হবে। এটা এখনও ঘটেনি কিন্তু অতি সত্বর ঘটবে।’ এশিয়ার বাইরে দলের নৈপুণ্য ভাল করার ক্ষেত্রে অশ্বিন আরও দায়িত্ব নিতে চান। ২০১৩ সালে ওয়ান্ডারার্স টেস্টে উইকেটশূন্য থেকে শেষ করেছিলেন তিনি। অথচ অশ্বিন কতটা কার্যকরী সেটা প্রমাণের জন্য ওই টেস্টে উইকেট প্রয়োজন ছিল। এ বিষয়ে অশ্বিন বলেন, ‘ভাল বোলার হয়ে ওঠার জন্য ওই ম্যাচে আমার দারুণ কিছু করা জরুরী ছিল। কারণ তখন পর্যন্ত আমি ১৮ ম্যাচ খেলে ফেলেছিলাম তেমন কোন খারাপ ম্যাচ ছাড়াই। ২০১২ সালে সিডনিতে ছাড়া আমি ওই টেস্টের আগে আর কোন ম্যাচেই উইকেটশূন্য থাকিনি। সে কারণেই আমি পরের টেস্টে দল থেকে বাদ পড়েছিলাম। সুতরাং যখনই এসব ঘটে আমি পেছন ফিরে তাকাই না এবং বলি না যে আমি দুর্ভাগা।’ সম্প্রতিই বাংলাদেশ সফরে এক টেস্ট খেলার পর ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি দাবি করেছিলেন অশ্বিন অমূল্য সম্পদ।
×