ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনায় ইউএনওর হাতে কলেজ শিক্ষক লাঞ্ছিত

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ১৭ জুলাই ২০১৫

খুলনায় ইউএনওর হাতে কলেজ শিক্ষক লাঞ্ছিত

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এক কলেজ শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে বটিয়াঘাটা বাজার এলাকার নতুন বাস স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ওই শিক্ষক স্থানীয সংসদ সদস্যের কাছে অভিযোগ করেছেন। ইউএনও বেল্লাল হোসেন খান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার কথা অস্বীকার করেছেন। বটিয়াঘাটা এলকার বাসিন্দা পাইকগাছা উপজেলার কালিনগর কলেজের প্রভাষক অনুপ কুমার ম-ল বলেন, তিনি তার অসুস্থ বাবার ওষুধ কেনার জন্য বৃহস্পতিবার খুলনা শহরে গিয়েছিলেন। ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বেলা আড়াইটার দিকে ক্ষুধা অনুভব করায় তিনি বটিয়াঘাটা বাজার এলাকার নতুন বাসস্ট্যান্ডে চায়ের দোকানে বসেন। সেখানে পাউরুটি খাওয়ার সময় বটিয়াঘাটা উপজেলার ইউএনও পুলিশ নিয়ে হাজির হন। রোজার দিনে প্রকাশ্যে কেন খাওয়া হচ্ছে তিনি জানতে চান। শিক্ষক অনুপ বলেন, এটাতো পর্দা দিয়ে ঘিরে রাখা দোকান, প্রকাশ্যে কি করে হলো? তিনি খুব রেগে গিয়ে বলেন, আমার সঙ্গে তর্ক করো? আমি কে চিন? এই বলে দোকান থেকে টেনে রাস্তায় নামিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। মোবাইলকোর্ট বসিয়ে শাস্তি দেয়া হবে বলা হয়। তখন উপস্থিত লোকদের সামনে অন্যায় স্বীকার করায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনার পর স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করে তাকে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে অভিযোগ করেন শিক্ষক। এ ব্যাপারে পঞ্চানন বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুপ তাঁর কাছে এসেছিল। ইউএনও তাকে লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে বটিয়াঘাটার ইউএনও বেল্লাল হোসেন খান বলেন, রোজার দিনে প্রকাশ্যে খাবার খাওয়া হচ্ছে এমন খবর পেয়ে তিনি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার উদ্দেশ্যে সেখানে গিয়েছিলেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন একটি লোক রাস্তায় দাঁড়িয়ে রুটি খাচ্ছে। প্রকাশ্যে কেন খাচ্ছে এটা বলায় তিনি তার সঙ্গে তর্ক করেন। এর পর স্থানীয় লোকজন বলেন ও হিন্দু মানুষ, ওকে ছেড়ে দেন। তাকে লাঞ্ছিত করার কোন ঘটনা ঘটেনি। রাজাকার ফোরকানের ফাঁসি,পটুয়াখালীতে আনন্দের বন্যা নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ১৬ জুলাই ॥ পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জ উপজেলার রাজাকার ফোরকান মল্লিকের ফাঁসির রায় ঘোষণা হওয়ায় খুশি পটুয়াখালীর মুক্তিযোদ্ধাসহ এই অঞ্চলের স্বাধীনতার পক্ষের মানুষরা। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে রায় ঘোষণার পর পটুয়াখালী জেলায় এখন আনন্দের বন্যা বইছে। তবে এখনও জেলায় ফোরকান মল্লিকের থেকেও বড় মাপের রাজাকারদের বিচার কার্য শুরু না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন জেলার মুক্তিযোদ্ধারা। পটুয়াখালী জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ফোরকার মল্লিকের রায়ের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের দাবি পূরণ হলো। এর মধ্য দিয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মা শান্তি পাবে। তবে দেশ থেকে ’৭১ এর ঘাতক, দালাল, রাজাকার, আলবদর আলসামসদের সমূলে উদপাটন করতে এ অঞ্চলের আরও যে সব কাজাকার আছে তাদেরও বিচারের মুখোমুখি করা হয় সে বিষয়ে আরও কঠোর হতে হবে। এর ফলে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধে সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে যেমন জানতে পারবে তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও বাস্তবায়িত হবে।
×