ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ক্লিনিকে হামলা

আল্ট্রাসনোগ্রামের নামে গৃহবধূকে আটকে রাখার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৭:৩৭, ১৬ জুলাই ২০১৫

আল্ট্রাসনোগ্রামের নামে গৃহবধূকে আটকে রাখার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১৫ জুলাই ॥ বুধবার সকাল ১০টার দিকে নওগাঁর মান্দায় রোগীর স্বজনরা হামলা চালিয়ে ক্লিনিক মালিকসহ আয়াকে মারপিট করেছে। আল্ট্রাসনোগ্রাম করার নামে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে ঘণ্টাব্যাপী আটকিয়ে রাখার অভিযোগে এ হামলা চালানো হয়। উপজেলা সদরের ফয়সাল ক্লিনিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। জানা যায়, মামুনুর রশিদের স্ত্রী বিপাশা আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অসাবধানবশত পড়ে গিয়ে পেটে ব্যথা পান। আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য তাকে সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা সদর প্রসাদপুর বাজারের ফয়সাল ক্লিনিকে নেয়া হয়। আল্ট্রাসনোগ্রাম ফি ৩শ’ টাকা পরিশোধের জন্য ৫শ’ টাকার নোট দেয়া হয়েছিল। কিন্তু খুচরা না থাকায় অবশিষ্ট ২শ’ টাকা ফেরত দেননি ক্লিনিক মালিক জিয়াউর রহমান জিয়া। এদিকে বিভিন্ন অজুহাত সৃষ্টি করে তাদের এক ঘণ্টার বেশি সময় আটকিয়ে রাখা হলেও রোগীর আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো হয়নি। পরে টাকা ফেরত ও রোগীকে অন্যত্র নেয়ার চেষ্টা করা হলে ক্লিনিক মালিকসহ অন্যরা বাধা দিয়ে খারাপ আচরণ করেন বলে বুলেট হোসেনের অভিযোগ। এনিয়ে বাগ্বিত-ার এক পর্যায়ে বুলেট হোসেনের মা মাহমুদা বিবিকে লাঞ্ছিত করেন ক্লিনিকের আয়া সেলিনা আক্তার। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে রোগীর স্বজনরা একত্রিত হয়ে ক্লিনিকে হামলা চালিয়ে মালিক জিয়াসহ অন্যদের মারপিট করেন। নাটোরে বিলবোর্ড, পাঁচ তোরণ ভাংচুর সংবাদদাতা, নাটোর, ১৫ জুলাই ॥ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম রমজানের ঈদ শুভেচ্ছার বেশকিছু বিলরবোর্ড ও ৫টি তোরণ ভেঙ্গে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে তার বিলবোর্ড ও তোরণগুলো ভেঙ্গে দেয়া হয়। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান জানান, তিনি ঈদের শভেচ্ছা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত কিছু বিলবোর্ড ও ৫টি তোরণ স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু গতরাতে দুর্বৃত্তরা তার বিলবোর্ড ও তোরণগুলো ভেঙ্গে ফেলে। তিনি অভিযোগ করেন তাঁর জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়ে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। গোপালগঞ্জে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১৫ নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ, ১৫ জুলাই ॥ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার তেলিগাতী গ্রামে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এলাকায় একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণকে কেন্দ্র করে তারা বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। বুধবার সকালে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে নেমে পড়ে। এতে দু’জন ট্যাঁটাবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোঃ জাকির হোসেন মোল্লা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
×