ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গফরগাঁওয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ১২ কিশোরের পলায়ন

ভবঘুরে আশ্রয় কেন্দ্রে নোংরা খাবার ও নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৭:৩৫, ১৬ জুলাই ২০১৫

ভবঘুরে আশ্রয় কেন্দ্রে নোংরা খাবার ও নির্যাতন

নিজস্ব সংবাদদাতা, গফরগাঁও ১৫ জুলাই ॥ ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের পার্শ্ববর্তী ধলা ভবঘুরে আশ্রয় কেন্দ্রে নিম্নমানের খাবার, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, নোংরা পরিবেশে জীবনযাপন এবং ভবঘুরে কেন্দ্র থেকে ভবঘুরেদের জোরপূর্বক কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের বাসায় কাজ করতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনায় অতিষ্ট হয়ে ভবঘুরে আশ্রয় কেন্দ্রের ১২ শিশুর গত সোমবার রাতে রান্নাঘরের চালার টিন কেটে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ময়মনসিংহের এডিসি জেনারেলকে প্রধান করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পাঁচ আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। জানা যায়, ধলার ভবঘুরে আশ্রয় কেন্দ্রটি ত্রিশাল সমাজসেবা অধিদফতরের আওতায় পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে আশ্রয় কেন্দ্রে ২৩০ জন ভবঘুরে রয়েছে। এদের মধ্যে গত সোমবার রাতে ১২ জন রান্নাঘরের টিনের চালা কেটে পালিয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে- নিম্নমানের খাবার, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, নোংরা পরিবেশে জীবনযাপন এবং ভবঘুরে কেন্দ্র থেকে ভবঘুরেদের জোরপূর্বক কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের বাসায় কাজ করতে বাধ্য করা হয়। এ অবস্থায় অতিষ্ঠ হয়ে সোমবার ১০টার দিকে রান্না ঘরের টিনের চালা কেটে ১২ ভবঘুরে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ত্রিশাল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান সাহিন ও গফরগাঁও সার্কেলের সিনিয়র এএসপি বিল্লাল হোসেন ওই দিন রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ভবঘুরে আশ্রয় কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক ও ত্রিশাল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলী হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, পত্রিকায় লিখে কী হবে? এ ঘটনায় পাঁচ আনসার সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি আশ্রয় কেন্দ্রে নোংরা পরিবেশের কথা স্বীকার করে বলেন, এখন খাবারের মান বেশ ভাল। আমি কখনই কোন ভবঘুরেকে নিয়ে আমার বাসায় কাজ করাইনি। তবে ঠিকাদার বাড়িতে নিয়ে ভবঘুরেদের দিয়ে কাজ করায় কিনা, তা আমার জানা নেই। ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান সাহিন বলেন, এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। তদন্ত কমিটির প্রধান ময়মনসিংহের এডিসি জেনারেল আব্দুল আহাদ জনকণ্ঠকে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে জমা দিতে হবে। ধলার আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পালিয়ে যাওয়া শিশুদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।
×