নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর, ১৪ জুলাই ॥ গাজীপুরে এক পিতা তার মেয়ের প্রেমিককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার পাঁচ দিন পর আত্মহত্যা করেছে প্রেমিকা পারভীন আক্তার (১৫)। সে গাজীপুর মহানগরের হাতিমারা স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। পারভীনের পিতা হামিদুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় পলাতক রয়েছে।
জানা গেছে, পারভীন আক্তারের সঙ্গে একই এলাকার বাসিন্দা বাদশা মিয়ার ছেলে ও একই স্কুলের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র তারেক রহমানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের টানে গত জুন মাসের প্রথম দিকে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা হামিদুল ইসলাম জয়দেবপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ তারেকের বড় ভাইকে গ্রেফতার করে। ভাইকে গ্রেফতারের খবর পেয়ে তারেক ওই ছাত্রীকে তার বাবার কাছে পৌঁছে দেয়। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে একটি আপোস মিমাংসার প্রক্রিয়া চলছিল। ৮ জুলাই রাত বারটার দিকে হামিদুল তার মেয়েকে দিয়ে মোবাইল ফোনে তারেককে বাড়িতে ডেকে আনতে বলে। এক পর্যায়ে পারভীন ফোন করে তারেককে রাত সাড়ে ১২টার তাদের বাড়িতে ডেকে আনে। রাতে তারেক পারভীনদের বাড়িতে আসার পর পারভীন ও তার মাকে পাশের একটি রুমে আটকে রেখে পারভীনের বাবা ও তার সহযোগীরা তারেককে রাতভর বেধড়ক মারধর করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে তারেক ঘটনাস্থলেই মারা যায়।