ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ জামাল ৪-১ বিজেএমসি

শেখ জামালের গোলবন্যা বিজেএমসির জালে

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ১৫ জুলাই ২০১৫

শেখ জামালের গোলবন্যা বিজেএমসির জালে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথমার্ধে লড়াই হয়েছে সমানতালে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে যতই সময় গড়িয়েছে, ততই একটি দল নিজেদের শাণিত করে আক্রমণ করেছে এবং একাধিক গোল করে সাফল্য কুড়িয়ে ক্রমেই পেছনে ফেলেছে প্রতিপক্ষকে। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’ ফুটবলে সাফল্য পাওয়া দলটির নাম শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব লিমিটেড। তারা অনায়াসে হারিয়েছে টিম বিজেএমসিকে। খেলার প্রথমার্ধে উভয় দলই একটি করে গোল করেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় অর্ধে জামালের আরও তিন গোলের বিপরীতে বিজেএমসি কোন গোল করতে না পারায় পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে ‘বেঙ্গল ইয়োলোস’ খ্যাত জামালের ফুটবলাররা। মঙ্গলবারের ম্যাচে জয়ী জামালের এটা একাদশ জয়। ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে এখনও তারা ধরে রেখেছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থানটি। পক্ষান্তরে নবম হার বিজেএমসির। ১২ পয়েন্ট নিয়ে এখনও তারা সপ্তম অবস্থানেই। ম্যাচের ৩ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায় জামাল। নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকা ডার্লিংটনের ক্রস থেকে বল পেয়ে বিজেএমসির জালে চমৎকারভাবে প্লেসিং করেন ফরোয়ার্ড সোহেল রানা (১-০)। ২৫ মিনিটে বাঁ দিক থেকে জামালের হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড ওয়েডসন এ্যানসেলমে শট নিলেও বল পোস্ট ঘেঁষে চলে যায় মাঠের বাইরে। ৩০ মিনিটে সোহেল রানা ক্রস করেন। ডার্লিংটন লাফিয়ে ওঠে যে হেডটি নেন, তা কোনক্রমে সরিয়ে দেন বিজেএমসির গোলরক্ষক আরিফুল ইসলাম। পরে বক্সে দাঁড়ানো বিজেএমসির একজন ডিফেন্ডার বিপদমুক্ত করতে পাঠিয়ে দেন মাঠের বাইরে। ৩২ মিনিটে বিজেএমসির নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড এলেটা কিংসলে ফাঁকা পোস্টে বল নিয়ে ঢুকে পড়েও গোল করতে পারেননি। তবে ৩৮ মিনিটে ঠিকই সমতা ফিরিয়ে সফলকাম হয় জাকারিয়া বাবুর শিষ্যরা। জামালের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দারুণ শটে বিজেএমসির নাইজিরিয়ান মিডফিল্ডার এবং দলীয় অধিনায়ক স্যামসন ইলিয়াসু বল পাঠান জামালের জালে (১-১)। বলটি আটকাতে পারেননি জামাল গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেল। বরং আহত হয়ে মাঠ ত্যাগ করতে হয় তাকে। তার বদলে মাঠে নামেন গোলরক্ষক মাকসুদুর রহমান। প্রথমার্ধে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি জামাল। ফলে ১-১ এর সমতায় থেকেই বিশ্রামে যায় দুই দল। ৬০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে জামাল। যা করেন হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড ওয়েডসন এ্যানসেলমে (২-১)। পরের মিনিটেই আবারও গোলের সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি জামাল। ডার্লিংটনের তীব্র শট আস্থার সঙ্গে ধরে ফেলেন বিজেএমসির গোলরক্ষক। ৬৭ মিনিটে জামালের সোহেল রানার ক্রসে বল পেয়ে দুর্দান্ত শটে লক্ষ্যভেদ করেন এমেকা (৩-১)। লীগে এটা তার দ্বাদশ গোল। ইনজুরি টাইমে (৯০+২ মিনিট) মিডফিল্ডার ল্যান্ডিং ডার্বোয়ের কাছ থেকে বল পেয়ে বিজেএমসির জালে পাঠিয়ে তাদের পরাজয়ের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন আবারও সেই ওয়েডসন এ্যানসেলমে (৪-১)।
×