ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন ঠিকানায় পার্সি

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ১৪ জুলাই ২০১৫

নতুন ঠিকানায় পার্সি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ লুইস ভ্যান গাল কোচ হয়ে আসার পরই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ে রবিন ভ্যান পার্সির। আসছে নতুন মৌসুমে কোচের পরিকল্পনাতেও ছিলেন না তিনি। যে কারণে ওল্ডট্রাফোর্ড না ছেড়ে উপায় ছিল না ডাচ্ তারকার। তাই বলে কি তুরস্কে পাড়ি জমাতে হবে! এমন প্রশ্ন এখন পার্সি ভক্তদের। কেননা ম্যানইউ ছেড়ে তুর্কী ক্লাব ফ্যানারবাকে নাম লিখিয়েছেন ৩১ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। অবশ্য ফ্যানারবাকে ভ্যান পার্সির যোগ দেয়ার বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, তিন বছরের জন্য তুর্কী ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন পার্সি। এ জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে তিনি সপ্তাহে পাবেন ২ লাখ ৪০ হাজার ইউরো। এখনও আনুষ্ঠানিক চুক্তির খবর পাওয়া যায়নি। তবে তুরস্কে পৌঁছানোর পর ফ্যানারবাকের সমর্থকরা পার্সিকে ফুলেল অভ্যর্থনায় বরণ করে নিয়েছেন। যার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্তদের জানিয়ে দিয়েছেন তারকা এই ফরোয়ার্ড। গত মৌসুমে ম্যানইউর হয়ে ভাল পারফর্ম করতে না পারায় কয়েক মাস ধরেই নতুন ঠিকানার সন্ধানে ছিলেন তিনি। অবশেষে ঠিকানা বদল করলেন পার্সি। অথচ আর্সেনাল ছেড়ে ২০১২ সালে ম্যানইউতে নাম লেখানোর পর শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল পার্সির। দ্বিতীয়বারের মতো ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের সর্বোচ্চা গোলদাতার পুরস্কার ‘গোল্ডেন বুট’ জিতে নিয়েছিলেন অসাধারণ পারফর্মেন্স প্রদর্শন করে। ২০১১-১২ মৌসুমের পর প্রিমিয়ার লীগের ২০১২-১৩ মৌসুমেরও সেরা গোলদাতা হান ডাচ্ তারকা। ২০১১-১২ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ৩৮ ম্যাচে ২৬ গোল করেন ভ্যান পার্সি। পরের মৌসুমে দুটি হ্যাটট্রিকসহ ২৬ গোল করেন সাবেক গানার্স তারকা। ভ্যান পার্সির হ্যাটট্রিকের সুবাদে ৩-০ গোলে এ্যাস্টন ভিলাকে হারিয়ে চার ম্যাচ হাতে রেখে ২০তম লীগ শিরোপা নিশ্চিত করেছিল ম্যানইউ। ওই ম্যাচে তার দুর্দান্ত ভলি থেকে করা গোলটি ম্যানইউর মৌসুমের সেরা গোলও নির্বাচিত হয়। সেই পার্সি আচমকাই হারিয়ে ফেলেন ছন্দ। আর্সেনালে টানা আট বছর খেলেছেন পার্সি। এরপর মায়াজাল ভেদ করে ২০১২ সালে পাড়ি জমান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। এ নিয়ে কম সমালোচনা সইতে হয়নি ডাচ্ তারকাকে। ওল্ডট্রাফোর্ডে যোগ দেয়ার পর পার্সি দলের সেরা তারকায় পরিণত হন। ওয়েন রুনি, হার্নান্দেজদের পেছনে ফেলে পার্সিই হয়ে উঠেন দলের মূল ত্রাতা। প্রতি ম্যাচেই গোল পাওয়াটা তার অভ্যাসে পরিণত হয়। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতনে আকাশ থেকে পতন হয়েছে তার। যে কারণে ছাড়তে হলো পছন্দের ক্লাব। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, ফুটবলার না হয়ে অন্যকিছুও হতে পারতেন পার্সি। মা জোশে রাস ছিলেন চিত্রশিল্পী। বাবা বব ছিলেন ভাস্কর। কিন্তু দু’টোর কোন পথেই হাঁটেননি সময়ের অন্যতম সফল সুপারস্টার। ফুটবলের সঙ্গে তার প্রেম শৈশব থেকেই। রাস্তায় বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে খেলতেই ফুটবলকে ভাললাগা।
×