স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর শ্যামপুরে চাঁদার দাবিতে ইমাম ডাইং গার্মেন্টসে তা-ব চালানোর অভিযোগে যুবলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেলে শ্যামপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, শ্যামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইমাম ডাইং গার্মেন্টসের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) শাহীন আহমেদের কক্ষে ঢুকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে তাঁকে মারধর করে। এ সময় কদমতলী থানার ওসি আব্দুস সালামকে ফোনে বিষয়টি জানানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে যুবলীগের নেতা আলমগীর হোসেনকে আটক করে।
ঘটনার পর শাহীন আহমেদ জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শ্যামপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে চার যুবক আমার কক্ষে ঢুকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমি তাদের গার্মেন্টস মালিকের সঙ্গে কথা বলে টাকা দেয়ার ব্যবস্থা করছি বলে জানাই। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী গার্মেন্টস শ্রমিকরা জানান, চাঁদার দাবিতে গার্মেন্টসের জিএমকে মারধর করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় যুবলীগ নেতাকর্মীদের ঘিরে ফেলা হয়। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীদের তারা মারধর করে। পরে তারা পিস্তল উঁচিয়ে পালিয়ে যায়। কদমতলী থানার ওসি আব্দুস সালাম জানান, আমি চাঁদাবাজির ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ফোর্স পাঠিয়েছি। তারা গিয়ে শ্যামপুর থেকে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেনকে আটক করে। আর তার সঙ্গে চাঁদা আদায় করতে যাওয়া বাকিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, রবিবার চাঁদাবাজির অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না এই মর্মে ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়। যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যুবলীগে কোন চাঁদাবাজ, ধান্দাবাজের স্থান নেই। এ ধরনের অভিযোগ এলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।