ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আলীকদম-থানচি সড়কের দুয়ার খুলছে কাল

উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১৩ জুলাই ২০১৫

উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ আগামীকাল মঙ্গলবার দুয়ার খুলছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আলীকদম-থানচি সড়কের। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দুই হাজার পাঁচ শ’ ফুট উচ্চতায় ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৩৩ কিলোমিটারের এ সড়কের নির্মাণ কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। সেনাবাহিনীর নির্মাণ প্রকৌশল ব্যাটালিয়ন সড়কটি নির্মাণ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সড়কটি উদ্বোধন করবেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত থাকবেন। গত মে মাসে সড়কটি উদ্বোধনের কথা থাকলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সড়কটির বেশকিছু অংশের মাটি সরে যাওয়ায় তা আর হয়নি। সড়কটির ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কারের পর এটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। তবে যানবাহন চলাচলের জন্য সড়কটি খুলে দিতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। সড়কটি চালু হলে দুই উপজেলার লক্ষাধিক পাহাড়ী-বাঙালীর ভাগ্যোন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। ২০১০ সালে সেনাবাহিনীর নির্মাণ প্রকৌশল ব্যাটালিয়ন ১৬ ইসিবি আলীকদম-থানচি সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু করে এবং ১৭ ইসিবি এটির কাজ শেষ করে। সড়কটি চালু হলে এখানকার অর্থনৈতিক চিত্রও পাল্টে যাবে। থানচি-আলীকদম সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের প্রধান লে. কর্নেল মনোয়ারুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯৯১ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থানচি-আলীকদম অভ্যন্তরীণ সড়কের কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে ২০০১ সাল পর্যন্ত সড়কটির মাত্র চার কিলোমিটার কাজ সমাপ্তির পর পুরো নির্মাণ কাজের দায়িত্ব দেয়া হয় সেনাবাহিনীর নির্মাণ প্রকৌশল ব্যাটালিয়নকে। ২০০৬ সালে অর্থবরাদ্দ পাবার পর পুনরায় সড়কের কাজ শুরু করা হয়। ২০১৫ সালের জুনে সড়কের পুরো কাজ শেষ করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই সড়কের নির্মাণ হয়। তিনি বলেন, একসময় থানচি-আলীকদম উপজেলার হাজার হাজার মানুষের একমাত্র যাতায়াত মাধ্যম ছিল বান্দরবান জেলা সদর হয়ে থানচি এবং আলীকদম থেকে থানচি আসতে ১৯০ কিলোমিটার পাহাড়ী পথ পাড়ি দিতে হত। সড়কটি নির্মাণের ফলে থানচি সদর থেকে আলীকদম উপজেলা যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪০ মিনিট। এ সড়কের জিরোপয়েন্ট থেকে মাঝখানে অবস্থিত অন্যতম পর্যটন স্পট ‘ডিমপাহাড়’। এ ডিমপাহাড়কে সাজানো গেলে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের জন্যে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে খ্যাতি অর্জন করবে। সবুজ পাহাড়ের মাঝখানে উঁচুনিচু, আঁকাবাঁকা এ সড়কপথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেই দেশী-বিদেশী পর্যটকরাও দেখার সুযোগ পাবেন।
×