ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিশ্চিত টাইগারদের

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৩ জুলাই ২০১৫

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিশ্চিত টাইগারদের

মোঃ মামুন রশীদ ॥ সব শঙ্কা, জল্পনা-কল্পনা শেষ। ক্রিকেট পরাশক্তি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ জিততেই হবেÑ এমন একটি হিসাবে আটকে ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা নিশ্চিত করা। রবিবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। আগামী ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ দল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) র‌্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে থাকা প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে এক ম্যাচ জেতাই দুরূহ এক মিশন ছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ দলের জন্য। তাছাড়া সিরিজের শুরুটা যেভাবে হয়েছিল এতে শঙ্কায় থাকতে হবে আর দোলাচলেই দুলতে হবেÑ এমনটাই মনে হচ্ছিল। কারণ দুই ম্যাচের টি২০ সিরিজ এবং ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বিন্দুমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই হেরে গেছে বাংলাদেশ। তবে সেই কঠিন কাজটা করে ফেলেছে বাংলাদেশ। আর কোনভাবেই বাংলাদেশকে ২০১৭ সালের পরবর্তী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এবার অষ্টম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার লড়াই শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের মধ্যে। ৩০ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ যে র‌্যাঙ্কিং ঘোষিত হবে সেখানে শীর্ষ আটে থাকা এ জয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ দল। গত মাসে শক্তিশালী ভারতের বিরুদ্ধেই কঠিন চ্যালেঞ্জের শুরু হয়েছিল। সে সময় আইসিসি থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল এ বছর ৩০ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ যে র‌্যাঙ্কিং ঘোষিত হবে সেখানে শীর্ষ আট দলের মধ্যে থাকতে হলে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের ৬ ওয়ানডের অন্তত দুটিতে জিততে হবে। তবে বাংলাদেশ দল অপেক্ষায় থাকেনি। ভারতের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচ জিতেই নিশ্চিত করে ফেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। কিন্তু সমস্যার সৃষ্টি হয় জিম্বাবুইয়ের প্রস্তাব! আইসিসির এফটিপিতে না থাকলেও জিম্বাবুইয়ে একটি ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ খেলার আহ্বান জানায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানকে। র‌্যাঙ্কিংয়ে আটে থাকলেও পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা সিরিজে পাকরা জিতলে ছিটকে যেতে হবে ক্যারিবীয়দের। এ কারণে তারা আগেভাগেই জিম্বাবুইয়ের প্রস্তাবে সাড়া দেয়। আর নতুন করে শঙ্কা তৈরি হয় বাংলাদেশের। যদিও বর্তমানে আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে ৭ নম্বরে আছে বাংলাদেশ এবং রেটিংয়েও অনেক এগিয়ে ক্যারিবীয় ও পাকদের বিরুদ্ধে। তবে ত্রিদেশীয় সিরিজ হলে হিসেব-নিকেশ পাল্টে যেতে পারে যদি লঙ্কানদের ওয়ানডে সিরিজে হারিয়ে দেয় পাকিস্তান। সেক্ষেত্রে র‌্যাঙ্কিংয়ে এ দুই দল ওপরে এবং বাংলাদেশ নিচে নেমে যেতে পারে। এ কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগেই আইসিসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে হলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও একটি ম্যাচ জিততে হবে বাংলাদেশকে। নতুন করে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ দল। অনিশ্চিত হয়ে পড়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জয়ের কঠিন চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে আবার যেন পুরনো চেহারায় ফিরে আসে বাংলাদেশ। জয় দূরে থাক অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশ। এ কারণে জয়ের স্বপ্নটা অসম্ভব চিন্তার নামান্তর হয়ে ওঠে। কিন্তু বদলে গেল দৃশ্যপট দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৬২ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশের বোলিং বিভাগ। এরপর জয় ছিনিয়ে নেয় ২৭.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান তোলে।
×