ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জলাবদ্ধতার আশঙ্কায় ৩ গ্রামের মানুষ

সাতক্ষীরায় ফসলী জমিতে বাঁধ দিয়ে চিংড়ি চাষ

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ১২ জুলাই ২০১৫

সাতক্ষীরায় ফসলী জমিতে বাঁধ দিয়ে চিংড়ি চাষ

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ জেলা শহর সংলগ্ন মাছখোলার ডাইয়ের বিলের ছয় হাজার বিঘা দুই ফসলী জমিতে বেড়িবাঁধ দিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করা হয়েছে। জেলা নাগরিক উদ্যোগের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে সরকারী খাল দখল করে নোনা পানির চিংড়ি চাষ ও এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টির প্রতিবাদ জানিয়ে অবৈধ চিংড়ি ঘের বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ। লিখিত বক্তব্যে জেলা নাগরিক উদ্যোগের পক্ষ থেকে বলা হয়, সাতক্ষীরার মাছখোলার দো ফসলী ডাইয়ের বিলের পরিবেশ ধ্বংস করে জেলা সদরের পৌর এলাকায় নোনা পানির চিংড়ি ঘের শুরু করেছে একশ্রেণীর প্রভাবশালী। তারা এক মাসের ব্যবধানে ছয় হাজার বিঘার এই বিল ছোট বড় বেড়িবাঁধ দিয়ে ঘিরে ফেলেছে। দখল করে নিয়েছে সাড়ে চার কিমি দীর্ঘ খাস খালটিও। বিলের চারধারের পাঁচটি ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামের মানুষ এখন আতঙ্কিত জলাবদ্ধ হয়ে পড়ার আশঙ্কায়। মৌসুমী বৃষ্টিতে এরই মধ্যে বেশ কিছু আবাসিক এলাকায় পানি জমেছে। এছাড়া গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে শহরের নিম্নাঞ্চলসহ কয়েকটি বিল ও গ্রামে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর সম্প্রতি একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এতে তারা বলেছেন ‘অচিরেই এই বেড়িবাঁধ অপসারণ না করা হলে সাতক্ষীরা পৌরসভা, ধুলিহর, লাবসা, বল্লী ও ব্রম্মরাজপুর ইউনিয়নের তিন লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়বে।’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা নাগরিক উদ্যোগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট ফাইমুল হক কিসলু, অধ্যাপক আবু আহমেদ, মাধব দত্ত, এ্যাডভোকেট শাহানাজ পারভিন মিলি, ওবায়দুস সুলতান বাবলু, অপরেশ পাল প্রমুখ। সিলেটে অবৈধ মদের চালানসহ আটক তিন স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ সিলেট নগরীর ধোপাদিঘীরপাড়ে সাবেক পানামা হোটেলের গোডাউনে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ মদ ও সিগারেট চোরাচালান চক্রের তিন সদস্যসহ ৫ কার্টন বিদেশী মদ ও সিগারেট আটক করেছে র‌্যাব-৯। দীর্ঘদিন ধরে পানামার মালিক আনোয়ার খান আনু অবৈধভাবে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ডিউটি ফ্রি শপ থেকে মদ এনে চড়া দামে বিক্রি করাতেন। জানা যায়, ওসমানী বিমানবন্দরের নিচতলার ডিউটি ফ্রি শপ-এর ম্যানেজার ওয়াহিদ অবৈধভাবে বিদেশী মদ ও সিগারেট সরবরাহ করে আসছেন চোরাকারবারিদের কাছে। এদেরই একজন ধোপাদিঘীরপাড়ের সাবেক হোটেল পানামার মালিক আনোয়ার খান আনু। দীর্ঘদিন ধরে আনু ওসমানী বিমানবন্দরের সাবেক স্টাফ ইউনুছকে (বর্তমানে পর্যটন মোটেলে কর্মরত) দিয়ে নগরীতে মদের চালান আনছেন। এসব মদ অত্যন্ত চড়া মূল্যে অবৈধভাবে বিক্রি করা হচ্ছে। এমনই একটি চালান পানামার গোডাউনে রয়েছে খবর পেয়ে শুক্রবার ইফতারের পর র‌্যাবের বিশেষ টিম অভিযান চালায়। অভিযানে পানামা হোটেলের অফিসের সামনে থেকেই একটি মাইক্রোবাসের (সিলেট ছ-১১-০০৬১) মধ্যে থেকে ৫ কার্টন বিদেশী সিগারেট ও মদসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
×