ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আবারও জোকোভিচ-ফেদেরারের দ্বৈরথ

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ১২ জুলাই ২০১৫

আবারও জোকোভিচ-ফেদেরারের দ্বৈরথ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আরও একবার ফেদেরার-জোকোভিচের লড়াই দেখার সুযোগ পেল টেনিসপ্রেমীরা। শুক্রবার উইম্বলডনের সেমিফাইনালে দারুণভাবেই জয় পেয়েছেন টেনিসের সাবেক এবং বর্তমান র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দুই তারকা। সুইজারল্যান্ডের জীবন্ত কিংবদন্তি রজার ফেদেরার এদিন সহজেই হারান ব্রিটেনের এ্যান্ডি মারেকে। অন্যদিকে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নোভাক জোকোভিচ রিচার্ড গ্যাসকুয়েটকে পরাজিত করে উইম্বলডনের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেন। দুই তারকারই লক্ষ্য এখন উইম্বলডনের ফাইনালের মঞ্চে নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিয়ে শিরোপা জেতা।উইম্বলডনের ফাইনালে ওঠার পথে ফেদেরারের বাধা ছিলেন লোকাল হিরো এ্যান্ডি মারে। সেমিতে ব্রিটিশ তারকাকে সরাসরি সেটে পরাজিত করে ফাইনালে ওঠেন। আর সাতবারের চ্যাম্পিয়ন রজার ফেদেরার মারের বিপক্ষে এই ম্যাচটিকেই ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফর্মেন্স হিসেবে মন্তব্য করেছেন। এদিন অসামান্য এক কীর্তিও গড়েন তিনি। কেন রোসওয়ালের পর ৩৩ বছর বয়সী সুইস তারকা ফেদেরারই সবচেয়ে বেশি বয়সে অল ইংল্যান্ড ক্লাবে ফাইনালে পৌঁছানোর কৃতিত্ব দেখালেন। তার আগে কেন রোসওয়াল ১৯৭৪ সালে বেশি বছর বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডনের ফাইনালে উঠেছিলেন। শুক্রবারের সেমিফাইনালে ফেদেরার ৭-৫, ৭-৫ এবং ৬-৪ গেমে পরাজিত করেন ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন মারেকে। শিরোপা জয়ের পথে ফেদেরারের প্রতিপক্ষ এখন নোভাক জোকোভিচ। গত বছরের ফাইনালেও এই দুই তারকার মোকাবেলায় ফেদেরার পাঁচ সেটের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত হার মেনেছিলেন। এবার তাই সুইস তারকার সামনে সেই হারের প্রতিশোধ নেয়ারও দারুণ সুযোগ। শেষ চারের লড়াইয়ে মারেকে হারিয়ে ক্যারিয়ারের ১০ম উইম্বলডন এবং ২৬তম গ্র্যান্ডসøামের ফাইনালে উঠলেন ফেদেরার। এবার নিয়ে রেকর্ড আটবারের মতো তিনি অল ইংল্যান্ড ক্লাব এবং ১৮তম মেজর শিরোপার জন্য কোর্টে নামবেন। মারের বিপক্ষে ফেদেরারের জয়টা ছিল সাম্প্রতিক সময়ে তার সবচেয়ে সেরা পারফর্মেন্স। পুরো ম্যাচে তিনি ২০টি এস মেরেছেন, ৫৬টি শটে জয়ী হয়েছেন এবং মাত্র ১১টি আনফোর্সড এরর করেছেন। বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বরে অবস্থান করছেন মারে। আর এদিন মারে হার মানায় স্কটিশ এই তারকার বিপক্ষে ফেদেরার এখন ছয়টি গ্র্যান্ডসøামের মোকাবেলায় পাঁচটিতেই জয়ী হলেন। এদিন লড়াই হয় দীর্ঘ দুই ঘণ্টা সাত মিনিট। শুধুমাত্র উদ্বোধনী গেমে ফেদেরার মারেকে মাত্র একটি ব্রেক পয়েন্ট দিয়েছিলেন। এরপর আর মারে কোন ব্রেক পয়েন্ট অর্জন করতে পারেননি। উন্মুক্ত যুগে সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডনে শিরোপা জয়ের থেকে আর মাত্র একটি ম্যাচ দূরে রয়েছেন ফেদেরার। সেমিফাইনাল শেষে তাই উচ্ছ্বসিত ফেদেরার। এটাকে নিজের সেরা পারফর্মেন্স হিসেবেই মন্তব্য করেন তিনি। এ বিষয়ে ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ক্যারিয়ারে এটা আমার অন্যতম সেরা পারফর্মেন্স। প্রথম সেটে আমি পয়েন্ট বাই পয়েন্ট চিন্তা করে খেলিনি, কিন্তু সেখানেই আমি নিজের শক্তিমত্তার পরিচয় দিই। শুরু থেকেই আমি ভাল খেলতে থাকি। ম্যাচের শুরুটা যদি ভাল হয় তবে সেটা পুরো ম্যাচের জন্যই ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আমি প্রথমে ব্রেক পয়েন্ট রক্ষা করার লক্ষ্য স্থির করেছিলাম। কার্ডিফে জয় দেখছে ইংল্যান্ড স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কার্ডিফে এ্যাশেজের প্রথম টেস্টে জয়ের খুব কাছাকাছি স্বাগতিক ইংল্যান্ড। চতুর্থ দিন এ রিপোর্ট লেখার সময় জয়ের জন্য স্বাগতিকদের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৪টি উইকেট। ৪১২ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ১২২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছে অস্ট্রেলিয়া! হার দেখা অতিথিদের হয়ে বৃথা চেষ্টা করছিলেন শেন ওয়াটসন (১০*) ও মিচেল জনসন (৪*)! প্রথম ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ছিল ৩০৮ রান। ইংল্যান্ড করে ৪৩০ ও ২৮৯। বিশ্বকাপ জয়ের পর এবার প্রতিপক্ষের মাটিতেও তাই ফেবারিট তারা। কিন্তু অসিরা সফরের শুরুতেই কোণঠাসা হয়ে পড়ল। বিশাল চাপ মাথায় নিয়ে দলীয় ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার ক্রিস রজার্স। ৫২ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ স্টিভেন স্মিথের। ২৫ রানের ব্যবধানে আরও ৪ উইকেট হারিয়ে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ক্লার্কের দল। অধিনায়ক নিজে ফেরেন ৪ রানে। ১ ও ৭ রান করে আউট হন এ্যাডাম ভোগস ও ব্র্যাড হ্যাডিন। স্টুয়ার্ট ব্রড ৩ ও মঈন আলি নিয়েছেন ২টি উইকেট।
×