ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইফতারে আমন্ত্রিত মমতা-সীতারামসহ বিরোধী নেতৃবৃন্দ

বিজেপিবিরোধী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে নয়া উদ্যোগ সোনিয়ার

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ১২ জুলাই ২০১৫

বিজেপিবিরোধী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে নয়া উদ্যোগ সোনিয়ার

লোকসভার বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে ২১ জুলাই। তার আগে বিজেপিবিরোধী দলগুলোকে একজোট করতে ইফতারকে অস্ত্র করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। আগামীকাল সোমবার দশ জনপথে নিজের বাসভবনে ইফতারের দাওয়াতে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে আমন্ত্রণ জানালেন সোনিয়া। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, মমতা-সীতারাম কেউই আসবেন না। তবে দু’দলই জানিয়েছে, দলের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিরা ইফতারে উপস্থিত থাকবেন। সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে বিজেপিকে বিচ্ছিন্ন করতেই এই কৌশলী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন সোনিয়া। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইনের। কংগ্রেস সূত্রের খবর, মমতা-ইয়েচুরি ছাড়াও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে লালুপ্রসাদ, মায়াবতী, মুলায়মের মতো বিজেপিবিরোধী নেতা-নেত্রীদের। লোকসভায় বিজেপিকে একজোট হয়ে মোকাবিলা করতে ইতোমধ্যেই পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস। প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে বিজেপিবিরোধী দলগুলোর সঙ্গে। সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরিও লোকসভার ভেতরে অন্য বিরোধী দলগুলোকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছেন। পার্লামেন্টের উভয়কক্ষ মিলিয়ে প্রায় ৬৫টি বিলে সিলমোহর বসাতে চায় কেন্দ্র। বিরোধী দলগুলো একজোট হলে এই বিলগুলোর ভবিষ্যত কী হবে তা নিয়ে চিন্তায় সরকার পক্ষ। সুষমা-বসুন্ধরার দুর্নীতি ও ব্যপম-কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে আসন্ন অধিবেশনে বিজেপি যে বিরোধীদের প্রবল আক্রমণের মুখে পড়বে সে বিষয়ে নিশ্চিত তারা। এখন কিভাবে বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরানো যায় সেই কৌশল তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। এই রণকৌশলে সরকারের লক্ষ্য জয়ললিতা, মমতা, মুলায়ম, মায়াবতী, নবীন ও শারদ পাওয়ারের মতো নেতাদের সমর্থন আদায় করা। অরুণ জেটলিও সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। একই সঙ্গে ব্যপম- কাণ্ডের তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পরেই প্রতি আক্রমণে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। কেন্দ্র তথা সরকার কিভাবে অভিযোগ ওঠা মাত্রই যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে সেই উত্তর দিয়ে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার কৌশল নিয়েছেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপির কাছে আপাত স্বস্তির বিষয় হলো আমন্ত্রণ এলেও শেষ পর্যন্ত ওই বৈঠকে সম্ভবত থাকছেন না লালুপ্রসাদ-মুলায়ম বা মায়াবতীরা। যাবেন দলের প্রতিনিধিরা। একই ছবি তৃণমূল শিবিরেও। শুক্রবার তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন দাবি করেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও আমন্ত্রণ এসেছে। কিন্তু দলীয় কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি দলের কোন শীর্ষস্তরের নেতাকে সোনিয়ার ইফতারে পাঠাবেন।’
×