ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদে ঘরে ফেরা

টিকেট সংগ্রহের বিরামহীন চেষ্টা সর্বত্র

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১২ জুলাই ২০১৫

টিকেট সংগ্রহের বিরামহীন চেষ্টা সর্বত্র

রাজন ভট্টাচার্য ॥ দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। হন্যে হয়ে টিকেটের খোঁজে মানুষ। লঞ্চ টার্মিনাল, বাস টার্মিনাল ট্রেন স্টেশন, বিমানবন্দরসহ সব খানের চিত্রই এক। টিকেট চাই। টাকা বিষয় নয়। আগে ভ্রমণ নিশ্চিত করা। যতি তা নিরাপদ করা যায়, তাহলে তো কথাই নেই। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে কেনাকাটার প্রস্তুতি যেমন তুঙ্গে তেমনি টিকেট সংগ্রহে বিরামহীন চেষ্টা। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ইতোমধ্যে বাসের টিকেট শেষ। তবুও কাউন্টারে কাউন্টারে টিকেটের খোঁজ চলছে। ট্রেনের টিকেট পেতে কমলাপুরে রাতজাগা মানুষের অপেক্ষা শুরু হয়েছে তিনদিন থেকে। তবুও অর্ধেকের বেশি লোক প্রতিদিন সোনার হরিণ টিকেটের নাগাল না পেয়ে শূন্য হাতে বাড়ি ফিরেছেন। তবে সরকারী বিআরটিসি বাসের টিকেট পর্যাপ্ত থাকলেও মানুষের সাড়া নেই। যাত্রীদের অভিযোগ, সেবার মান খারাপ হওয়ায় বিআরটিসি থেকে সবাই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। ১৪ জুলাই থেকে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের জন্য লঞ্চের কেবিনের টিকেট ছাড়ার কথা। আগে থেকেই কেবিন বুকিংয়ের চেষ্টা চলছে। আর্থিকভাবে সচ্ছল যারা তারা অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানের টিকেট সংগ্রহ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। অনেকে ঘরে ফিরতে নিজস্ব পরিবহন, মাইক্রো বা বাস বুকিং দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে টিকেটের জন্য হাহাকারই চলছে বলা যায়। কারণ, প্রায় দেড় কোটি মানুষের মধ্যে আসন্ন উৎসবে রাজধানী ছাড়বেন প্রায় ৮০ লাখ মানুষ। এর মধ্যে শেষ দিনে যাবে ৭০ ভাগের বেশি যাত্রী। তাই ১৫-১৭ তারিখের টিকেটের চাপ সবচেয়ে বেশি। ই-টিকেট পেতে বিড়ম্বনা ॥ শনিবার দেয়া হয় ট্রেনের অগ্রিম টিকেট। এদিন ১৫ জুলাইয়ের টিকেট বিক্রি হয়। গেল দু’দিন অনলাইন টিকেট পেতে বিড়ম্বনা না হলেও তৃতীয় দিনে অনেক যাত্রী ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। এক কথায় বললে, বিরক্তির অপর নাম হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-টিকেটিং। ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করেও যাত্রীরা অনলাইনে টিকেট না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। অনলাইনে টিকেট কাটতে গিয়ে যাত্রীরা দেখছেন কখনও সার্ভার অফলাইনে, আবার কখনও অচল কম্পিউটার। সাময়িকভাবে কোন কোন যাত্রীর কার্ডের টাকাও খোয়া যাচ্ছে। সহজ ও ঝামেলামুক্তভাবে টিকেট কাটার জন্য রেলওয়ে অনলাইনে এ সুবিধাটি চালু করে। এজন্য ঈদ উপলক্ষে ২৫ ভাগ টিকেট বরাদ্দ দেয়া হয়। অর্থ্যাৎ প্রতিদিন অনলাইনে তিন হাজার ২৭৯টি টিকেট সংগ্রহ করতে পারেন যাত্রীরা। একটি বায়িং হাউসের কর্মকর্তা সোহেল জানান, ঈদের ই-টিকেট কাটতে গিয়ে দেখি কখনও সার্ভার নেই। কখনও অফলাইন। সহজ ও ঝামেলামুক্ত টিকেট বিক্রির জন্য ই-টিকেটিং হলেও অনলাইনে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেট কাটতে গিয়ে যাত্রীদের ঘাম ঝরে যায়। রেলওয়ে সূত্র জানায়, ট্রেনের ‘কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত আসন সংরক্ষণ ও টিকেটিং (সিএসআরটি)’ ব্যবস্থা পরিচালনা করছে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস)। ই-টিকেট বিক্রি পরিচালন, রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন কাজও করছে এ প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি সেলফোন ও ইন্টারনেটে টিকেট বিক্রি এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের বিদ্যমান ওয়েবসাইট ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের দায়িত্বও পালন করছে তারা। বাংলাদেশ রেলওয়ে কম্পিউটারাইজড টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করে ১৯৯৪ সালে। ওই সময় এর কাজ পায় টেকনোহ্যাভেন। পরে দায়িত্ব পায় ড্যাফোডিল সফটওয়্যার্স। এর পর সিএনএস ও ড্যাফোডিল যৌথভাবে কাজ করে। বর্তমানে আট বছর ধরে সিএনএস অনলাইনে টিকেটসহ পুরো টিকেটিংয়ের কাজ এককভাবে করছে। অভিযোগ রয়েছে, ঠিকমতো কমিশন নিলেও রেলের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার শর্ত পালন করেনি সিএনএস। তৃতীয় দিনে দীর্ঘ লাইন ॥ ট্রেনের ১৫ জুলাইয়ের টিকেট নিতে শুক্রবার বিকেল থেকেই লাইনে দাঁড়ান শত শত মানুষ। সূর্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শত শত মানুষের লাইন আরও দীর্ঘ হয়। পরিণত হয় হাজার হাজারে। লাইনে দাঁড়িয়ে প্রথম কাজ সিরিয়াল দেয়া। কখনও দাঁড়িয়ে, কখনও বসে রাত কাটে। গল্প আর গল্প। চা খাওয়া। কেউ কেউ পত্রিকা বিছিয়ে প্ল্যাট ফর্মে ঘুমিয়েছেন। দাবা খেলেও রাত পার করেছেন কেউ কেউ। সেহরি খেয়েছেন এখানেই। কিন্তু এ রাত যেন শেষ হয় না। ঘড়ির কাঁটার দিকে নজর সবার। কখন নয়টা বাজে। কাউন্টার খোলা মাত্রই মাস্টারের হাতে সিøপ দেয়ার চেষ্টা। কার আগে কে দেবেন। আর যদি মিলে যায় টিকেট তাহলে তো কথাই নেই। একগাল হাসি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন যাত্রীরা। হাতে টিকেট পেলে রাতভর ক্লান্তিহীন সব কষ্টই ভুলিয়ে দেয় মুহূর্তের মধ্যে। যারা কাঙ্ক্সিত টিকেট পাননি তারা কষ্ট নিয়ে ফিরছেন। তাদের চোখে-মুখে অনিশ্চয়তার ছাপ। কিভাবে পাড়ি দেবেন দূরের পথ! টিকেট বিক্রি শুরুর পর পিঁপড়াগতিতে লাইন চলে। এ নিয়ে বিরক্তির শেষ নেই যাত্রীদের। কারণ, তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না স্টেশনজুড়ে। তাই কাউন্টার বাড়ানোর দাবি যাত্রীদের। পাশাপাশি সাধারণ যাত্রীরা আরও একঘণ্টা আগে কাউন্টার খোলার দাবি জানিয়ে আসছেন শুরু থেকে। তৃতীয় দিনেও টিকেট বিক্রিতে ধীরগতি, কেবিন না পাওয়া, প্রথম শ্রেণীর চেয়ারও পাননি বেশিরভাগ যাত্রী। এমন অভিযোগ ছিল অনেকের মুখে। কল্যাণপুর থেকে আসা যাত্রী নিহার জানান, সিলেটের টিকেট কাটতে শুক্রবার সন্ধ্যায় কমলাপুরে আসেন তিনি। সকাল ১০টার পর টিকেট হাতে পান। তবে এসি বগির টিকেট না পেলেও যা পেয়েছেন তাতেই যেন খুশি ধরে না। মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরের ব্যবসায়ী সিদ্দিক বলেন, কষ্ট হচ্ছে লাইনে দাঁড়াতে। কিন্তু টিকেট পেলে কষ্ট ঘুছে যাবে। সকাল ১০টায় লাইনে দাঁড়িয়ে রাজশাহীর টিকেটের দেখা পাননি বাবুবাজারের আশরাফ। তিনি বলেন, কাউন্টার থেকে টিকেট না থাকার কথা জানানো হয়েছে। কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, ৯টা থেকে ৫টা এটাই আদর্শ সময়। সামগ্রিক অবস্থা চিন্তা করেই টিকেট বিক্রির জন্য এ সময় নির্ধারিত হয়েছে। তিনি জানান, সার্ভার সংক্রান্ত জটিলতায় ই-টিকেট দিতে সময় হয় কিছুটা। তাছাড়া সাধারণ টিকেট বিক্রিতে যাত্রীদের কোন অভিযোগ নেই। বেশিরভাগ যাত্রী টিকেট নিয়েই বাড়ি ফিরছেন। এবারও রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঈদের অগ্রিম টিকেট বিক্রির সময় ৫দিন। ৯ ও ১০ জুলাই বিক্রি হয়েছে ১৩ ও ১৪ তারিখের টিকেট। এছাড়া ১১ জুলাই বিক্রি হয় ১৫ জুলাইয়ের টিকেট। আজ ১২ জুলাই বিক্রি হবে ১৬ জুলাইয়ের এবং ১৩ জুলাই ১৭ জুলাইয়ের টিকেট দেয়া হবে। স্ট্যান্ডিং টিকেট দেয়া হবে যাত্রার দিন। ১৩ জুলাই থেকে ট্রেনে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা শুরু হবে। ঈদপরবর্তী রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় অগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হবে। ফিরতি টিকেট বিক্রি হবে ১৬ জুলাই থেকে। পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে বিক্রি হবে ফিরতি টিকেট। ওইদিন বিক্রি হবে ২০ জুলাইয়ের টিকিট, ১৭ জুলাই ২১ জুলাইয়ের, ১৮ জুলাই ২২ জুলাইয়ের, ১৯ জুলাই ২৩ জুলাইয়ের, ২০ জুলাই হবে ২৪ জুলাইয়ের ফিরতি অগ্রিম টিকেট বিক্রি। এ ছাড়া ঈদের তিন দিন আগে (১৫-১৭ জুলাই) এবং ঈদের পাঁচ দিন পরে (২০-২৬ জুলাই চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল) ৫ জোড়া ও ঈদের দিন শোলাকিয়া স্পেশাল ২ জোড়া মোট ৭ জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। ঈদে আন্তঃনগরস ট্রেনের অফ-ডে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একজন যাত্রীকে সর্বাধিক চারটি টিকেট দেয়া হচ্ছে। বিক্রি হওয়া টিকেট ফেরত নেয়া হবে না। স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন বাংলাদেশ রেলওয়েতে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হয়ে থাকে। ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে প্রতিদিন সারাদেশে ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি যাত্রী পরিবহনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০টি কাউন্টার থেকে একযোগে ট্রেনের টিকেট বিক্রি হয়। এরমধ্যে একটি কাউন্টার নারীদের জন্য। তবে যে কোন কাউন্টার থেকেই নারীরা টিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন। শনিবার নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্ধারিত কাউন্টারে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। টিকেট পেতে অনেকেই এসেছেন মধ্যরাতে। তবে বেশিরভাগ নারীই টিকেট পেয়েছেন। কমলাপুর থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট আছে ১৪ হাজার ৫১২টি। এরমধ্যে ২৫ ভাগ ই-টিকেট, ৫ ভাগ ভিআইপি, ৫ ভাগ স্টাফ বাদে সাধারণ যাত্রীর জন্য বরাদ্দ নয় হাজার ৩৫টিকেট। ঈদে জলপথে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে আনফিট লঞ্চ চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এছাড়া ঈদে যাত্রীবাহী লঞ্চের ছাদে ‘লোড লেভেল’ বা বিপদসীমা ছাড়িয়ে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানো এবং অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা যাবে না। বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর মোজাম্মেল হক জানান, সারাদেশে ফিট সার্টিফিকেধারী ৫৯০টি লঞ্চ চলাচল করবে। আর ঢাকা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল অভিমুখে প্রতিদিন ৬০ টি লঞ্চ ছেড়ে যাবে। ঈদের আগে ৫ দিন ও পরে ৫দিন দেশের প্রতিটি নৌঘাটে বিশেষ পরিদর্শক টিম মোতায়েন থাকবে। ঈদের সময় নদীর মাঝপথ থেকে নৌকা দিয়ে লঞ্চে যাত্রী ওঠানো যাবে না। এ বিষয়ে কোস্টগার্ড দেখাশোনা করবে। লঞ্চে পর্যাপ্ত বয়া থাকতে হবে। আবহাওয়া খারাপ থাকলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। ১৪ জুলাই থেকে দেয়া হবে লঞ্চের অগ্রিম টিকেট। সরকারী নৌযানগুলোতে যাত্রী পরিবহন করবে। বাস-ট্রাক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক তালুকদার সোহেল জানান, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের টিকেট দেয়া শেষ। প্রায় ৬০টি রুটে অগ্রিম টিকেট দেয়ার কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। রাস্তায় যানজট না থাকলে আবার যাত্রী ভোগান্তি হবে না। তিনি জানান, টিকেট দেয়া শেষ হলেও প্রতিদিন মানুষ কাউন্টারে আসছেন। টিকেট না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরছেন তারা। শ্যামলী, কল্যাণপুর, গাবতলী এলাকায় কাউন্টার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন নামীদামী পরিবহন কাউন্টারে অসংখ্য মানুষ টিকেটের জন্য ভিড় করছেন। অনেকে তদবির করিয়েও টিকেট পাচ্ছেন না। শনিবার সদরঘাটে অগ্রিম লঞ্চের টিকেট কাটতে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। খুলনা, সিলেট, রাজশাহী, কক্সবাজারসহ অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিমান রুটে টিকেটের চাহিদা এবারও বেশ। বিআরটিসির টিকেট নিতে তুলনামূলক যাত্রী বেড়েছে ॥ ঈদে ঘরমুখো মানুষের প্রতিবছরের মতো এবারও অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (বিআরটিসি)। শুক্রবার প্রথম দিনে বিক্রি হয় ১৪ জুলাইয়ের টিকেট। শনিবার দিনভর বিক্রি হয় ১৫ জুলাইয়ের। তবে দ্বিতীয় দিনের আশানরূপ যাত্রী টিকেট কাটতে আসেনি। তবে প্রথম দিনের চেয়ে বেশি। সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধেক টিকেট এখনও অবিক্রীত। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, ঈদের বিশেষ সার্ভিসের জন্য ৫০৬টি স্পেশাল বাস বিআরটিসি বহরে যুক্ত করা হয়েছে। ৫৬টি বাস আপদকালীন সমস্যার জন্য রাখা হয়েছে। সড়ক সচিব এম এন সিদ্দিক জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষে ৬৪ জেলায় বিআরটিসির বিশেষ সার্ভিস চলবে। ৯০০ বাস বিভিন্ন রুটে পর্যায়ক্রমে যাত্রা করার কথা জানান তিনি। এরমধ্যে ঢাকা থেকে বিভিন্ন রুটে ছাড়বে ৪০০বাস। কমলাপুর, কল্যাণপুর, ফুলবাড়িয়া, জোয়ারসাহারা, গাবতলী, নারায়ণগজ্ঞ ও গাজীপুর বাস ডিপো থেকে একযোগে বিআরটিসি বাসের টিকেট বিক্রি চলছে। কমলাপুর বিআরটিসি ডিপো ম্যানেজার নায়েব আলী বলেন, প্রথম দিনের চেয়ে শনিবার দ্বিতীয় দিন টিকেট বিক্রি বেড়েছে। নিম্ন ও মধ্য আয়ের লোকজন মূলত বিআরটিসি বাসের যাত্রী। তাই টিকেটের চাপ কিছুটা কম। তিনি বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের রুটগুলোর পর্যাপ্ত টিকেট আছে। ডিপো থেকে বেলা পাঁচটার পরও সাশ্রয়ী মূল্যে যাত্রীরা টিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন। কমলাপুর ডিপো থেকে দ্বিতল বাস ছেড়ে যাবে বলে জানান তিনি।
×