ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভাঙ্গনের কবলে রূপসা বাগেরহাট সড়ক

প্রকাশিত: ০৭:২১, ১০ জুলাই ২০১৫

ভাঙ্গনের কবলে রূপসা বাগেরহাট সড়ক

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ ভৈরব নদীর ভাঙ্গনে রুপসা-বাগেরহাট পুরাতন সড়ক ও সংলগ্ন এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ নদী ভাঙ্গনে ওই এলাকার বসতবাড়িসহ স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের ফলে যে কোন সময় বিছিন্ন হতে পারে বাগেরহাট জেলা সদরের সাথে ফকিরহাট, যাত্রাপুর হয়ে খুলনা-রুপসার যোগাযোগ ব্যবস্থা। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বর্ষার মৌসুমে ভৈরব নদীর ভাঙ্গন তীব্র হওয়ায় বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর, চাপাতলা, চাপাতলা পূর্বপাড়া, লাউপালাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের দিন কাটছে আতঙ্কে। এলাকাবাসী এই নদী ভাঙ্গন রোধ এবং সড়কটি রক্ষার জন্য সরকারের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত মোঃ আব্দুল মালেক এ প্রতিবেদকে বলেন, ভৈরব নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে বাপ-দাদার সম্পত্তি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। বর্তমানে সড়কের পাশে একটি জায়গায় বসবাস করছিলাম তাও আবার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। যে কোন সময় সবকিছু হারাতে হবে। আমরা এখন কোথায় যাব? চলতি বর্ষা মৌসুমে আবারও ভাঙ্গন বেড়ে গেছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে যে কোন সময় এখানকার সড়কসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের সাধরণ মানুষের বসতঘর বিলীন হয়ে যাবে। যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, জেলা সদরের সঙ্গে রুপসার এ পুরাতন সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন অন্তত অর্ধ লক্ষ লোক যাতায়াত করে। ঢাকাগামী পরিবহনসহ প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের প্রায় সহস্র্রাধিক যানবাহন চলাচল করে এ সড়ক দিয়ে। ভাঙ্গনের কারণে বর্তমানে সড়কটির যে অবস্থা তাতে এখনই কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে যে কোন সময় তা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হবে। এতে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতিসহ এ অঞ্চলের জনসাধারণকে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হবে। বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাইনদ্দীন বলেন, ভাঙ্গন রোধে গত বছরও আমরা ওই এলাকায় বালুর বস্তা ফেলে অস্থায়ী প্রতিরক্ষার কাজ করেছি। কিন্তু বছর না পেরুতেই আবারও সেখানে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গনরোধে সড়ক সংলগ্ন এক কিলোমিটার এলাকা রক্ষায় একটি স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ জরুরী। তিস্তার শতপরিবার নিঃস্ব নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট থেকে জানান, পাটগ্রামের আঙ্গোরপোতা ও হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, চর গডিডমারী, চরধুরনী, হলদিবাড়ি, বিছন দই, ডাউয়াবাড়ি গ্রামে প্রতিদিন তিস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, ফসলের মাঠ, বাঁশঝাড় ও গাছপালা। এভাবে ভাঙতে থাকলে পাটগ্রামের বহুল আলোচিত দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা ছিটমহলটির বিলীন হয়ে যাবে। হাতীবান্ধায় গ্রামের পর গ্রাম নদীগর্ভে হারিয়ে যাবে। ইতোমধ্যে নদীর ভাঙ্গনে পড়ে বিচ্ছিন্ন রয়েছে তালের মোড় বড়খাতা হাতীবান্ধা বাইপাস সড়কটি। গত কয়েকদিন ধরে খরার কবলে পড়েছে লালমনিরহাট জেলা। খরার কারণে বুধবার তিস্তা নদীর পানি স্বাভাবিক স্রোতের চেয়ে অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বর্ষা মৌসুমে কমতে থাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙ্গন।
×