ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিম্ন মধ্য আয়ের বাংলাদেশ ॥ প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন

প্রকাশিত: ০৬:৫৭, ১০ জুলাই ২০১৫

নিম্ন মধ্য আয়ের বাংলাদেশ ॥ প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন

পবিত্র রমজান মাসে, ঈদকে সামনে রেখে ভারি খুশির একটি খবর পাওয়া গেল। ভীষণ আনন্দের খবর। ক্রিকেট খেলায় বিজয়ানন্দের খবর এখন বেশ কিছুটা ডাল-ভাতই। নিকট অতীতে ভারি আনন্দের খবর ছিল ‘ছিটমহল’ বিনিময়ের। আটষট্টি বছরের সমস্যার সমাধান। এবার যে আনন্দের খবরটি পাওয়া গেল তা ক্রিকেটে জয়ের নয়, কূটনৈতিক ক্ষেত্রেরও নয়। এবারের খবরটি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের। কোন দরখাস্ত নেই, তদ্বির নেই, কারোর সুপারিশও নেইÑ নিতান্তই নিজ শক্তিতে দাঁড়ানোর খবর। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশ থেকে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। স্বীকৃতিটি আর কারও নয়, খোদ বিশ্বব্যাংকের, যারা কিনা গরিব দেশের বন্ধু বলে পরিচিত নয়; বাংলাদেশেরও না। এই স্বীকৃতি কি তারা খাতির করে দিয়েছে? অবশ্যই নয়। বিশ্বব্যাংক তাদের ঋণ বিতরণের সময়ে পৃথিবীর সব দেশকে উন্নয়নের স্তরভেদে শ্রেণী বিন্যাসিত করে। এর ওপর নির্ভর করে ঋণের ওপর সুদের হার কত হবে, ঋণ পরিশোধের মেয়াদ কত হবে, গ্রেস পিরিয়ড কী হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। বস্তুত সকল ব্যাংকই দেশীয় ভিত্তিতে তাদের গ্রাহকদের আজকাল শ্রেণী বিন্যাসিত করে। কিন্তু বিশ্বব্যাংক করে অনেক আগে থেকেই এবং করে খুব কড়াকড়ি ভাবেই। যেখানে পান থেকে চুন খসার উপায় নেই। তাদের শ্রেণী বিন্যাসকরণ নীতি শর্তাদি কঠোর থেকে কঠোরতর। সে এক ভীষণ পরীক্ষা, বলাবাহুল্য সেই পরীক্ষায় আমরা উত্তীর্ণ। এ খবরটি এসেছে রোজার ঈদের মাসে। স্বীকৃতিটি কি হঠাৎ পাওয়া গেল? না, হঠাৎ নয়। তারা তিন বছর আমাদের পারফর্মেন্স দেখেছে, তারপর ঘোষণা। তাদের নিয়মানুসারে একটি দেশকে নিম্ন আয়ের দেশ হতে হলে সেই দেশের মাথাপিছু আয় লাগে ১০৪৬ ডলারের ওপর। বার্ষিক ১০৪৭ ডলার মাথাপিছু আয় অর্জন করলে এবং তা অব্যাহতভাবে তিন বছর ধরে রাখতে পারলেই তবে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ হওয়া যায়। বাংলাদেশের মাথাপিছু বার্ষিক আয় ২০১২-১৩ অর্থবছরেই ছিল ১০৫৪ ডলার। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ১১৮৪ ডলার। সর্বশেষ ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তা দাঁড়িয়েছে ১৩১৪ ডলারে। শুধু বিশ্বব্যাংকের সর্বনিম্ন স্তর অর্জন নয়, তা আমরা ধরে রেখেছি, তার চেয়ে আরও বেশি করেছি এবং করে দেখিয়েছি ‘আমরাও পারি’। বিনা দোষে বিশ্বব্যাংকের অঘোষিত নিয়ন্ত্রক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের মতের বিরুদ্ধে দেশ স্বাধীন করায় আমাদের অপবাদ দিয়েছিল ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে। এই অপবাদ আমরা মোচন করেছি বহু আগে। এখন অব্যাহতভাবে এগিয়ে যাওয়ার পালা। যে কারণে আমাদের এই অর্জনÑ সেগুলো কী? প্রধানত চারটি উপাদান আমাদের এই বিরল সম্মান অর্জনের পেছনে কাজ করছে। এগুলো হচ্ছেÑ মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, রেমিটেন্স বৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার মানে স্থিতিশীলতা, জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ। বার্ষিক মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে জিডিপির উচ্চতর প্রবৃদ্ধির হার অর্জনের জন্য। তথ্যে দেখা যায়, ২০০১-০৬ এই পাঁচ বছরে বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। সেই স্থলে ২০০৯-১৪ এই পাঁচ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ১৩ শতাংশ। পাঁচ থেকে ছয়ের ঘরে। মনে হয় কিছুই নয়, না তা নয়। এই অর্জন অনেক এশীয় দেশের তুলনায় ঈর্ষণীয় অর্জন। জিডিপির উচ্চতর প্রবৃদ্ধির জন্য বাজেটের আকার বড় করতে হয়েছে। উচ্চাকাক্সক্ষা সংবলিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী এডিপি করতে হয়েছে। এর কত সমালোচনা। কিন্তু দৃঢ়ভাবে তা করার ফলে এবং বাজেট বাস্তবায়নের ফলে অব্যাহতভাবে প্রবৃদ্ধির হার ছয় শতাংশের ওপরে রাখা গেছে। এ ছাড়া নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ হওয়া সম্ভব হতো না। এর সহযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হচ্ছে কৃষকের ‘পোলারা’। আমাদের দেশের দরিদ্র কৃষকের ‘পোলারা’ বিদেশে যে আয়-রোজগার করছে, তা বিদেশে রেখে না দিয়ে দেশে পাঠাচ্ছে রেমিটেন্স হিসেবে। এটি এক ব্যতিক্রমী ঘটনা। ধনী ও মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্তরা দেশের টাকা বাইরে নিয়ে যায়। আর গরিবের ছেলেরা ডলার কামাই করে দেশে পাঠায়। ফলে আমাদের মাথাপিছু আয় ভালভাবে বেড়েছে। এতে সাহায্য করেছে আরেকটি উপাদান, আর সেটা হচ্ছে ডলারের মূল্য। এক সময় মনে হয়েছিল ডলারের দাম বাড়তে বাড়তে এক ডলার সমান এক শ’ টাকা হবে। না, শক্ত মুদ্রানীতি, দেশের উন্নয়নের ফলে এবং রফতানি ধরে রাখার ফলে টাকার দরে কোন ধস নামেনি। বহুদিন ধরে ৭৭-৭৮ টাকায় এক ডলার পাওয়া যাচ্ছে। কার্ব মার্কেটে বরং কিছু কম। টাকার বিনিময় হারে এই স্থিতিশীলতা নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে দারুণভাবে সাহায্য করেছে। কারণ কী? আমাদের জাতীয় উৎপাদন যা, তার হিসাব টাকায়। বিশ্বব্যাংক তা করে না। তারা টাকার হিসাবকে ডলারে রূপান্তরিত করে। যদি টাকার দাম অবমূল্যায়ন হতো তাহলে রূপান্তরের সময়ে বাংলাদেশ ঠকে যেত। সৌভাগ্যবশত তা করতে হয়নি। সর্বোপরি জনসংখ্যা বৃদ্ধিও সেভাবে ঘটেনি। এটিও নিয়ন্ত্রিত। এভাবে দেখলে একটা বিষয়ে পরিষ্কার হয়ে ওঠেÑ আর তা হলো সরকারের পারফর্মেন্স। এখানে কোন দৈব ঘটনা নেই, নেই কোন লুকোচুরি। আমি ছয় শতাংশের ওপরে অব্যাহতভাবে প্রবৃদ্ধির হার অর্জন, রেমিটেন্স বৃদ্ধি টাকার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা এবং নিম্ন জন্মহারের মতো বিশাল অর্জনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাই এবং তাঁর মাধ্যমে তাঁর সরকারকে। বর্তমান সরকার প্রথমবার ক্ষমতায় আসার শুরুতেই ঘটে বিডিআর বিদ্রোহ, যার প্রধান টার্গেট ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এরপর কত বিপত্তি কাটিয়ে তিনি দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ফলেই আজকের এই অর্থনৈতিক অর্জন। চল্লিশ বছরের সাধনা আমরা পূরণ করলাম। একটি আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতিতে পরিণত হলাম। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ আগেই। বলতে কোন দ্বিধা থাকার কাজ নয়Ñ ভারতও নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ, বাংলাদেশও তাই। এতে সন্তুষ্টি প্রকাশ আমরা করতেই পারি। কিন্তু এ কথাও আমাদের মনে রাখতে হবে সামনে আমাদের অনেক পথ। এই পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়। আমাদের সংগ্রাম এখন উচ্চ-মধ্য আয়ের দেশ হওয়ার। অবশ্য প্রথমেই বর্তমান অবস্থা স্থিতিশীল রাখতে হবে। কারণ বিশ্বব্যাংকের হিসাব চূড়ান্ত। চূড়ান্তভাবে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশের স্বীকৃতি দেবে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের ক্রাইটেরিয়া শুধু অর্থনৈতিক হয়; অর্থাৎ শুধু মাথাপিছু আয় নয়। তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি ইত্যাদি বিবেচনায় নেবে, যাকে বলে ‘হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনডেন্স (এইচডিআই)। এটা আরও কঠিন ক্রাইটেরিয়া। আমাদের আরও দুই তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন। এর মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টিতে আরও দৃশ্যমান অগ্রগতি দরকার হবে। বলাবাহুল্য এসব ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগতি অনেক দেশের তুলনায় ভাল। প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি, মেয়েদের শিক্ষা, সুপেয় পানীয় জল, মাতৃমৃত্যু, শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, গৃহায়ন ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের অর্জন বলা যায় অসামান্য। নামকরা অর্থনীতিবিদরা এসবের প্রশংসা করছেন। তবু এসব ক্ষেত্রে আমাদের আরও অনেক করণীয় আছে। করণীয় আছে অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাসের ক্ষেত্রেও। কারণ টেকসই উন্নয়নে ধনী-গরিব বৈষম্য বাধার সৃষ্টি করে। দেখা যাচ্ছে, এই বৈষম্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিকল্পনা কমিশন প্রায়শই এসব তথ্য প্রকাশ করছে। তথ্যের ভিত্তি বিবিএসের জরিপ। এসব আমলে নিয়ে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০১৫-২০) কালে ধনী দরিদ্র বৈষম্য দূরীকরণের উদ্দেশ্যে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। কাগজে দেখতে পাচ্ছি সরকার এ ব্যাপারে সজাগ এবং পরিকল্পনায় তার সুষ্পষ্ট দিকনির্দেশনা থাকবে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়াটা যেমন আনন্দের সংবাদ, তেমনি এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে কিছু বিষয়; যার প্রতি নজর দিয়েই আমাদের এখন থেকে এগোতে হবে। মধ্যবিত্তরা যেমন মানুষের কাছে হাত পাততে পারে না, তেমনি নিম্ন মধ্য আয়ের দেশেরও ভবিষ্যতে কিছু অসুবিধা হতে পারে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এক সময় সহজশর্তে আর ঋণ দেবে না। সাহায্য অনুদান দেবে না। সুদের হার তখন হবে অনেক বেশি। শর্ত আরও কঠোর হবে। বাণিজ্য সুবিধা পেতেও অনেক জুট-ঝামেলা হতে পারে। আশার কথা অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এই মুহূর্তে এসবের সম্ভাবনা নেই; অতএব আপাতত শঙ্কামুক্ত। কিন্তু ভবিষ্যতের প্রস্তুতি দরকার। সঙ্গে এখন ‘কনফার্মড’ মধ্য আয়ের দেশ হতে হলে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার আমাদের যে কোন মূল্যে ৭ শতাংশের উর্ধে তুলতে হবে। এটা এখন একটা জাতীয় সমস্যা। আমরা ছয় শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জন করছি অনেক দিন থেকে। সাত শতাংশে ওঠাই এখনকার চ্যালেঞ্জ। এর জন্য বিনিয়োগ দরকার। সরকারী বিনিয়োগ বাড়ছে কিন্তু বেসরকারী বিনিয়োগ স্থবির। এর প্রতিকার দরকার। দেশের টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও দুদকের সমন্বিত প্রয়াস দরকার; দরকার এক্ষুণি। এক্ষেত্রে বিলম্বের কোন সুযোগ নেই। রেমিটেন্সের বাজার সীমিত হয়ে পড়েছে, একইভাবে রফতানির বাজার। এসব বাজার বহুমুখীকরণের উদ্যোগ দরকার। ডলারের বাজারে মনে হয় স্বস্তি পাওয়া যাবে। আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসপত্রের মূল্য মনে হয় বর্তমান স্তরে স্থিতিশীল থাকবে। আবার একটা খারাপ খবরও আছে। বলা হচ্ছে, বিশ্ব অনেকটা মন্দার কবলে পড়তে যাচ্ছে। এই মন্দার খবরটা এখন বেশ আলোচিত। চীনের প্রবৃদ্ধি সাত শতাংশে নেমে এসেছে। তাদের আর্থিক খাত চরম বিশৃঙ্খলায়। অবকাঠামোগুলো সব কাজে লাগছে না। হোটেল মোটেল রেস্তরাঁ রাস্তাঘাটের অনেকটাই অব্যবহৃত বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে গ্রীসের দেউলিয়াত্ব ইউরোপের অস্থিতিশীলতার খবর জানান দিচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি অশান্ত নয় শুধু, ক্রমেই তা জটিল হচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর বলছে সেখানে সৌদি আরব বনাম ইরান সমস্যা দিনে দিনে প্রকট হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীত এখনও স্থির হয়ে দাঁড়াতে পারছে না। সেখানকার মধ্যবিত্ত চাপের মধ্যে ডেমোক্রেটরা মধ্যবিত্তদের সঙ্গে দাঁড়াচ্ছে। তারা বলছে, গণতন্ত্র মানে কর্পোরেট গণতন্ত্র নয়। এদের সম্ভাব্য দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, আয় বাড়া মানে ম্যানেজিং ডিরেক্টরদের বেতন বাড়া নয়। আয় বাড়াতে হবে মধ্যবিত্তের। তারাই বাজার ও অর্থনীতি। এসব খবরে কিন্তু বিশ্ব পরিস্থিতি স্থিতিশীল বলা যায় না। গেল মন্দার সময় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। আমরা তখন মন্দায় সেভাবে আক্রান্ত হইনি। এখনও সেভাবে আক্রান্ত হইনি। বরং আন্তর্জাতিক বাজারের মন্দাভাব আমাদের অনেকটা সাহায্যই করেছে। ভর্তুকি হ্রাসে, ঘাটতি হ্রাসে সাহায্য করেছে। কিন্তু এই অবস্থাকে স্থায়ী অবস্থা ধরে নিয়ে এগোনো যাবে না। সদাসতর্ক থাকতে হবে। যে সম্মান আমরা অর্জন করেছি তা ধরে রাখাই এখনকার চ্যালেঞ্জ। লেখক : ম্যানেজমেন্ট ইকোনমিস্ট ও সাবেক শিক্ষক ঢাবি
×