ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সন্ধ্যা ও গাবখানের ভাঙ্গনে নিশ্চিহ্ন কাউখালীর আশোয়া গ্রাম

প্রকাশিত: ০৭:২৫, ৯ জুলাই ২০১৫

সন্ধ্যা ও গাবখানের ভাঙ্গনে নিশ্চিহ্ন কাউখালীর আশোয়া গ্রাম

নিজস্ব সংবাদদাতা, পিরোজপুর, ৮ জুলাই ॥ কাউখালী উপজেলার আশোয়া গ্রামের মানচিত্র নদীর তীব্র ভাঙ্গনে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার উপক্রম। প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলায় ওই গ্রামের বিভিন্ন জনপদ বিধ্বস্ত হওয়ার পর নতুন করে আবার ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় আশোয়া গ্রামের প্রায় তিন হাজার অধিবাসী উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। সরেজমিন দেখা গেছে, আশোয়া গ্রামের দু’পাশ দিয়ে বয়ে গেছে প্রমত্তা সন্ধ্যা ও গাবখান নদী। যৌথ নদীর মাঝখানে অবস্থিত আমরাজুরি ইউনিয়নের প্রায় তিন হাজার জনবসতি নিয়ে গঠিত আশোয়া গ্রামটি। প্রচ- স্রোতে বেড়িবাঁধসহ প্রচুর আবাদি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফেরিঘাট, জনপদ ও বনজসম্পদসহ জনবসতি দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফলে আশোয়া গ্রামের জনসাধারণ পরিণত হচ্ছেন নদী শিকস্তি ও ছিন্নমূল মানুষে। জানা যায়, এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষই সাধারণ কৃষক ও দিনমজুর, যাদের প্রধান পেশা ক্ষুদ্র ব্যবসা, জেলে, দিনমজুর ও ক্ষেত-খামারে কাজ করে। ভাঙ্গনকবলিত আশোয়ার গ্রামবাসী জানিয়েছেন, সিডর ও আইলায় এই এলাকার অসংখ্য ঘরবাড়িসহ জলোচ্ছ্বাসে বহু জনপদ আর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গ্রামটি রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন বেড়িবাঁধও নেই। আংশিক যে বেড়িবাঁধটি ছিল তাও যথাসময়ে মেরামতের অভাবে আইলায় পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরাজুরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণলাল গুহ জানান, বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সরকারীভাবে কোন বরাদ্দ দেয়া হয়নি। স্থানীয়ভাবে কিছু অংশ মেরামত করা গেলেও অধিকাংশ বেড়িবাঁধ থেকে গেছে অরক্ষিত। ফলে ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আগেই এই বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ পুনর্মেরামতসহ ভাঙ্গন এলাকায় প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করা না হলে আশোয়া গ্রামসহ ওই জনপদ এবং সেখানের জনবসতি কাউখালীর মানচিত্র থেকে একেবারেই হারিয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। সাভারে ভার্কের আইএটি রেজাল্ট শেয়ারিং ওয়ার্কশপ নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার, ৮ জুলাই ॥ ইউএসআইডির আর্থিক সহযোগিতায় এবং সেভ দ্য চিলড্রেনের কারিগরি সহযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত ৫টি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে রিড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে চলছে ‘ভার্ক’ (ভিলেজ এডুকেশন রিসোর্স সেন্টার) নামক বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা। ভার্কের মাধ্যমে ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সাভার, ধামরাই, মির্জাপুর এবং মানিকগঞ্জ জেলার ৭টি উপজেলায় ২১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই কার্যক্রম চালু রয়েছে। রিড প্রকল্পভুক্ত বিদ্যালয়গুলোর ১ম শ্রেণী থেকে ৩য় শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বছরে তিন বার পঠন দক্ষতা যাচাই করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মে ২০১৫ সাভার, ধামরাই এবং মির্জাপুর এরাকার ৬০টি বিদ্যালয়ের ৮ হাজার ১৭৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬ হাজার ৭৩৭ জন শিক্ষার্থীর আইটি (ইনস্ট্রাকশনাল এ্যাডজাস্টমেন্ট টুলস) ব্যবহার করে শিক্ষর্থীদের পঠন দক্ষতা মূল্যায়ন করা হয়।
×