অতশী রহমান ॥ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার (ফিফা) প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগের পর আতঙ্কের মধ্যে আছেন সেপ ব্লাটার। তার পদত্যাগ নিয়ে এখনও ধ্রুমজাল আছে। তবে ভেতরে ভেতরে এখন তিনি গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন বলে জানা গেছে। এ কারণেই তিনি জন্মভূমি সুইজারল্যান্ডের বাইরে যেতে চাচ্ছেন না। ফিফা নির্বাচনের আগে দুর্নীতির অভিযোগে কয়েকজন কর্মকর্তা আটক হন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের তদন্তের ভিত্তিতে এ ঘটনা ঘটে। এরপর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়লেও ব্লাটার ঠিকই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। অবশ্য চারদিনের মধ্যেই তিনি এ পদ থেকে সরে দাঁড়ান। সম্প্রতি সাক্ষাতকারে ব্লাটার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের হেফাজতে যেতে আমার ভয় হয়। তাই কানাডায় নারী বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে যাওয়ার ঝুঁকি নেয়নি। আমেরিকানরা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেও তার জন্য আমি চিন্তিত নই। কিন্তু আমাকে গ্রেফতার করলে জনমনে বিরূপ প্রভাব পড়বে। তিনি আরও বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না সবকিছুর সুষ্ঠু সমাধান হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি বিদেশ ভ্রমণে যাব না। আমি আশঙ্কা করছি, সুইজারল্যান্ডের বাইরে গেলে ?আমাকে গ্রেফতার করা হতে পারে। ব্লাটার বলেন, আমি নিজের জন্য নয়, ফিফার স্বার্থেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। আমার বিরুদ্ধে অনেক সমালোচনা হলেও তাতে কষ্ট পাইনি। মানুষ ফিফাকে ধ্বংস করতে চাইছে ভেবে আমি ভীত। সবাই আতঙ্কিত। যেমনটি মৃত্যুর আগে হয়। ফিফার প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছি। তাই এ দিকটি নিয়ে আমি মোটেই ভীত নই। ব্লাটার আরও জানিয়েছেন, ২০১৮ ও ২০২২ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক চাপ ছিল। তার দাবি কাতার ও রাশিয়াকে বিশ্বকাপের স্বাগতিক নির্বাচিত করতে ২০১০ সালে হওয়া ভোট প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছিলেন ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি ও জার্মানির সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুলফ। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে ফিফা নির্বাহী কমিটির ২২ সদস্যের গোপন ভোটে রাশিয়া ২০১৮ সালের ও কাতার ২০২২ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচিত হয়। এ প্রসঙ্গে ব্লাটার বলেন, এই কারণেই এখন কাতারে একটি বিশ্বকাপ হবে। বর্তমানে সুইস কর্তৃপক্ষ ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচনের ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্ত করছে। তিনি আরও বলেন, যারা এটা নির্ধারণ করেছিল তাদের এখন দায় নেয়া উচিত। গত মাসের শুরুতে ব্লাটার ঘোষণা দেন, আগামী ডিসেম্বর ও মার্চে ফিফা কংগ্রেসে সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি। তার আগে গত ২৯ মে পঞ্চম মেয়াদে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সুইজারল্যান্ডের এই ফুটবল কর্মকর্তা।
শীর্ষ সংবাদ: