ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঈদের বাজারে উপচে পড়া ভিড়

প্রকাশিত: ০৭:১০, ৮ জুলাই ২০১৫

ঈদের বাজারে উপচে পড়া ভিড়

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ৭ জুলাই ॥ গাইবান্ধায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। রমজানের শুরু থেকেই প্রতিটি দোকানে বেড়ে গেছে বেচাকেনা। রমজানের অর্ধেক পার হয়ে গেলেও সিট ও থান কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় চলছেই। অপরদিকে নানা বাহারি পোশাক সাজিয়ে প্রতি বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে রমজানের বেশ আগে থেকেই ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে প্রস্তুত শহরের প্রতিটি দোকান। শহরের সালিমার সুপার মার্কেট, খান প্লাজা, তরফদার ম্যানসন, রেজিয়া ম্যানসন, ইসলাম প্লাজা, পৌর মার্কেট, শাপলা মার্কেট, গোবিন্দ প্লাজা, ইসলামী ব্যাংক মার্কেট, সবুজ মার্কেট, থান পট্টিসহ স্টেশন রোডের বিভিন্ন এলাকার মার্কেটগুলোতে এখন সাজ সাজ রব। অনেক মার্কেটে অতিরিক্ত আলোকসজ্জাসহ ডিসকাউন্ট অফার দেয়া হয়েছে। প্রতিটি দোকানেই দীর্ঘ রাত পর্যন্ত কর্মচারী ও মালিকদের কাটছে ব্যস্ত সময়। অনেকে আগে ভাগেই অতিরিক্ত কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে দোকানে বেচা বিক্রির আয়োজন করেছে। শহরের স্টেশন রোডের রঙ্গন গার্মেন্টেসের স্বত্তাধিকারী মাসুম আহম্মেদ বললেন, শিশু, মহিলা ও পুরুষদের অত্যধুনিক পোশাকের সমাহার ঘটানো হয়েছে। পাখি, ফ্লোর টাচ, লং ফ্রগ, বোঝে না সে বোঝে না, লুঙ্গি ড্যান্স, বাহা, জিপসী, ফ্রক, বিজ কটন, ঝিলিক বিভিন্ন নামের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। শিশুদের পোশাক এক থেকে ১০Ñ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকা হচ্ছে। নতুন নামে ও ডিজাইনে জিন্স প্যান্ট, সর্ট পাঞ্জাবি ও গেঞ্জি রাখা হয়েছে দোকানে। শাড়ির দোকানগুলোতেও এসেছে নতুন ডিজাইনের কাপড়। আবির বস্ত্র বিতানের স্বত্তাধিকারী জানালেন, জামদানি, বুটিক, তসর, টাঙ্গাইল, পাবনা, রাজশাহী সিল্ক শাড়ির পসরা সাজানো হয়েছে পর্যাপ্ত। সাড়ে তিন থেকে ১৬Ñ১৯ হাজার টাকা করে দাম হাঁকা হচ্ছে ডিজাইন অনুযায়ী শাড়ির। তিনি আরও বলেন, এবারে বিক্রি অনেকটা ভাল। নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, থেকে জানান, কিশোরগঞ্জে বিপণিবিতানসহ সব মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড়ে ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে। ঈদের কাপড় মানেই বাহারি নামের চমক। এ ঈদে বেশির ভাগ তরুণীর ভারতীয় অভিনেত্রী বা বলিউড মাত করা নায়িকাদের পরিহিত কিরণমালা থ্রিপিস কিনতে দেখা গেছে বেশি। এছাড়া পাখি, মাসাককালি, কারিনা, কারিশমা আর আনারকলি তো রয়েছে। সরেজমিনে বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, শহরের ঈশাখাঁ শপিং কমপ্লেক্সে অভিজাত কাপড়ের দোকানে একেকটি কিরণমালা থ্রিপিস বিক্রি হচ্ছে পাঁচ থেকে ২০ হাজার টাকায়। এছাড়া তরুণীদের পছন্দের তালিকায় আরও রয়েছে ভারতীয় জোবেদা, গঙ্গা, ল্যাকমি ও চেন্নাই-৩ নামের থ্রিপিস। জোবেদা ৬ হাজার, গঙ্গা সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার ২০০, ল্যাকমি ১২ থেকে ১৭ হাজার, চেন্নাই-৩, আট থেকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাখি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৮ থেকে ১৯ হাজার টাকায়। শহরের ব্যবসায়ী সুজিত দেবনাথ জানান, এ বছর ঈদে তরুণীরা সবচেয়ে বেশি কিনছে ‘কিরণমালা’। প্রতিদিন ৪০Ñ৫০ পিস কিরণমালা বিক্রি হচ্ছে। এরপরই রয়েছে ‘ল্যাকমি’ ও ‘পাখি’ থ্রিপিস।
×