ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সদরঘাটে নিরাপত্তা জোরদার

ঈদ উপলক্ষে বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস ১৪ জুলাই থেকে

প্রকাশিত: ০৬:১২, ৮ জুলাই ২০১৫

ঈদ উপলক্ষে বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস ১৪ জুলাই থেকে

হাসান ইমাম সাগর ॥ ঈদ এলেই ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। এ ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য এবারও নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ, লঞ্চ মালিক সমিতি এবং বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিশেষ নিরাপত্তার স্বার্থে ১৪ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ভিক্টোরিয়া পার্ক, বাদামতলী, শ্যামবাজার থেকে সদরঘাটের দিকে কোন ধরনের যান চলাচল করতে দেয়া হবে না এবং ওই এলাকায় ফুটপাথের দোকান বা কোন হকার অবস্থান করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা। এছাড়া ওই এলাকা সর্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করা হবে বলেও জানান তারা। এদিকে ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ সার্ভিস চালু করা হবে ১৪ জুলাই। এ সেবা শুরুর আগেই বিআইডাব্লিউটিসি’র নতুন যাত্রীবাহী জাহাজ এমভি মধুমতি এবং লঞ্চ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে নতুন ১১টি জাহাজ উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকেই গুলিস্তান, বাবুবাজার, সদরঘাট এলাকা যানজটে নাকাল হয়ে পড়ে। তাই যাত্রীদের সুবিধার্থে ওই এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এবং যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে ঈদ উপলক্ষে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ও বরিশাল নৌ-বন্দর এলাকার আশপাশের এলাকাজুড়ে থাকবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। বরাবরের মতো এবারও বাড়ানো হবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতা। লঞ্চের কয়েকজন যাত্রী জানান, ঈদের সময় নৌ-বন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা হলেও স্পেশাল সার্ভিসের অজুহাতে মূলত লঞ্চ ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়। এতে যাত্রী দুর্ভোগ আরও বাড়ে। লঞ্চ মালিকরা কেবিনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রি করে। এতে একটি টিকিট ডাবল দামেও কিনতে পাওয়া যায় না। দুই ঈদের সময় লঞ্চের একটি টিকেট যেন সোনার হরিণ হয়ে যায়। এদিকে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের ৪৩টি রুটে বেসরকারী কোম্পানির ডাবল ডেকার লঞ্চ চলাচল করে। তারা ২০ রমজানের পর থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি করবে বলে জানিয়েছেন। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল কর্তৃপক্ষের নৌ-নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মোঃ শহীদুল্লাহ বলেন, যাত্রীদের সর্বাত্মক নিরাপত্তা দিতে সদরঘাট নদীবন্দরে ২০টির অধিক সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। যাত্রীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য বরিশালের বড় জাহাজগুলো ১ নং গ্যাংওয়ে থেকে ছাড়া হবে এবং নিয়মিতগুলো ২নং গ্যাংওয়ে থেকে ছাড়া হবে। লঞ্চগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করতে না পারে সে জন্য বিআইডব্লিউটিসির ট্রাফিক বিভাগের পাশাপাশি কোস্টগার্ডের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত মনিটরিং সেল তদারকি করবে। কোন জাহাজ যদি অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে তাহলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জাহাজঘাট ছাড়ার পর কিংবা জাহাজের পেছন থেকে কেউ যদি নৌকা বা ট্রলারের মাধ্যমে যাত্রী ওঠানোর চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রশাসনও বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক করে এ সমস্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া টার্মিনাল ও নদীপথে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য বরাবরের মতো এবারও মাঠে থাকবে র‌্যাব, পুলিশ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টিম।
×