ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাজনীতিকদের সঙ্গে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর ইফতার

প্রকাশিত: ০৭:৩৪, ৭ জুলাই ২০১৫

রাজনীতিকদের সঙ্গে গণভবনে  প্রধানমন্ত্রীর ইফতার

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারী বাসভবন গণভবনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনীতিকদের মিলনমেলা বসেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে সোমবার ইফতার মাহফিলে শামিল হয়ে নেতারা মেতেছিলেন খোশগল্পে। তাদের ব্যক্তিগত আলোচনায় যেমন স্থান পেয়েছে দেশের সর্বশেষ রাজনীতি, তেমনি পরস্পরের কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন অনেকে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ৬টা ২৮ মিনিটে ইফতার মাহফিল স্থলে উপস্থিত হন। তিনি বিভিন্ন টেবিলে ঘুরে ঘুরে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন। আমন্ত্রিত অতিথিরাও তাদের কুশলাদি জানতে চান। রাজনীতিবিদদের সম্মানে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর ইফতার মাহফিলে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল এবং প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা যোগ দেন। তবে বিএনপির বিরোধী জোটের কোন নেতা যোগ দেননি প্রধানমন্ত্রীর ইফতার মাহফিলে। ইফতার মাহফিলের শুরুতেই দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সব শহীদ, শহীদ চার জাতীয় নেতা এবং ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ ও সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান। ইফতার মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মঞ্চে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশ ন্যাশনাল এলায়েন্সের (বিএনএ) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। এদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ডান পাশে ছিলেন এইচএম এরশাদ এবং বামপাশে ছিলেন স্পীকার। জানা গেছে, বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ ইফতার মাহফিলে অংশ নিতে গণভবনের সামনে আসলেও সামনে প্রচ- ভিড় দেখে তিনি ফিরে যান। এছাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগ নেতা লে. কর্নেল (অব) ফারুক খান, জাতীয় পার্টির রুহুল আমিন হাওলাদার, গণতন্ত্রী পার্টির নুরুর রহমান সেলিম, শহীদুল্লাহ শিকদার, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আনিসুর রহমান মল্লিক, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুর বশর মাইজভা-ারী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, সিপিবি নেতা মঞ্জুরুল আহসান খান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান শওকত হোসেন নিলু ছাড়াও সংসদ সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাঁতীলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতৃবৃন্দ ইফতারে শরীক হন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীরাও ইফতারে যোগ দেন।
×