ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে ৬২ ভাগ কোম্পানির দর কমেছে

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৬ জুলাই ২০১৫

পুঁজিবাজারে ৬২ ভাগ  কোম্পানির দর কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের পুঁজিবাজারে আবারও সূচকের নেতিবাচক প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। গত সপ্তাহে উভয় বাজারেই সূচক ও লেনদেন বাড়ার পর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবারেই বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার প্রবণতা দেখা দেয়। যার কারণে শুরুতে সূচক বাড়লেও দিনশেষে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই সূচকের মাঝারি ধরনের পতন ঘটেছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৬২ ভাগের দর কমার দিনে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের লেনদেন কমেছে প্রায় ৭ শতাংশ। অপেক্ষাকৃত বড় মূলধনী কোম্পানিগুলোর দর কমলেও চাহিদার শীর্ষে ছিল ছোট মূলধনী কোম্পানি। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, রবিবার ডিএসইতে ৪৬৮ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা আগের দিনের চেয়ে ৩৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা কম লেনদেন। আগের দিন এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৫০৪ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩১২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৪টির, কমেছে ১৯৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির শেয়ার দর। সকালে ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর কিছুক্ষণ পরেই ডিএসইর সার্বিক সূচকটি কমতে থাকে। সারাদিন সূচকের পতন শেষে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ৩৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৫৩৬ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ১১১ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৬১ পয়েন্টে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রবিবারে ডিএসইতে খাতভিত্তিক লেনদেনে এগিয়ে ছিল ওষুধ এবং রসায়ন খাত। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৩ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ২০ ভাগ। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাতটি। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৮ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের প্রায় ১৯ ভাগ। তৃতীয় অবস্থানে ছিল জ্বালানি এবং শক্তি খাতটি। সারাদিনে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৮ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৫৪ ভাগ। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হচ্ছেÑ লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, অলিম্পিক এক্সেসরিজ লিমিটেড, বেক্সিমকো, এসিআই, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, ফার কেমিক্যাল, বেক্সিমকো ফার্মা, এসিআই ফরমুলেশন এবং ইফাদ অটোস। ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, হাক্কানী পাল্প, মুন্নু সিরামিক, ফার ইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এসিআই, ঢাকা ডাইং, এপেক্স স্পিনিং, বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিক, এ্যামারেল্ড ওয়েল ও সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ ফাস্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড, তুং হাই নিটিং, মাইডাস ফাইন্যান্স, বিডি অটোকারস, ৭ম আইসিবি, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ইফাদ অটোস, তসরিফা ইন্ড্রাস্টিজ ও ন্যাশনাল ফিড মিলস লিমিটেড। রবিবারে ঢাকার মতো দেশের অপর বাজার চট্টগ্রামেও সব ধরনের সূচকই কমেছে। সারাদিনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৩১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ১১৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৯৭৬ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২২৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৭টির, কমেছে ১৫৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ইউনাইটেড এয়ার, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, বেক্সিমকো, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, ফার কেমিক্যাল, তসরিফা ইন্ড্রাস্টিজ, বিএসআরএম লিমিটেড, ফ্যামিলি টেক্স ও কেয়া কসমেটিকস।
×