ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রুটে ডেমু ট্রেনের যাত্রা শুরু

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ৫ জুলাই ২০১৫

চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রুটে ডেমু ট্রেনের যাত্রা শুরু

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ এই প্রথম চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রুটে যাত্রীদের জন্য ডিজেল ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট (ডেমু) ট্রেনের যাত্রা শুরু হলো। রেলমন্ত্রী মজিবুল হক শনিবার সকালে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে এ ট্রেন যাত্রার উদ্বোধন করেন। মন্ত্রী সবুজ পতাকায় গ্রীন সিগন্যাল দিয়ে ট্রেনের চলাচলে সঙ্কেত প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী মজিবুল হক বলেছেন, চট্টগ্রামের কালুরঘাটের রেল সেতুর পাশে দ্বিতীয় রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কোরিয়ান সরকার এ সেতু নির্মাণে অর্থায়নের আশ্বাস দিয়েছে। অচিরেই কোরিয়ার একটি বিশেষজ্ঞ ও পর্যবেক্ষক দল এ স্থান পরিদর্শন করবে। দোহাজারি থেকে ঘুনধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ৫ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করবে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ২ লাখ ৩৫ কোটি টাকার প্রায় ৪৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে রেলের উভয় জোনে। এছাড়াও রেলের মালিকানাধীন ৬৫ হাজার একর জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার পরিকল্পনা চলছে। রেল মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমল কৃষ্ণ ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও এবিএম ফজলে করিম এমপি, রেলের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, পূর্বাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক মোজাম্মেল হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে হাটহাজারী ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে, নাজিরহাট রুটে আরও ৫ জোড়া ট্রেন যাত্রী সাধারণের জন্য বরাদ্দ দেয়ার। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে কয়েক জোড়া ডেমু ট্রেন চালু রয়েছে। এসব ট্রেনেও নাজিরহাট রুটের যাত্রীরা চৌধুরীহাট স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করত। তবে চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রুটে সরাসরি ডেমু ট্রেন চালু হওয়ায় ওই এলাকার যাত্রীদের মধ্যে আনন্দধারা বইছে। এছাড়াও নাজিরহাট রুটে একজোড়া লোকাল ট্রেনও চলাচল করছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের ওই এলাকায় এক সময় কয়েকজোড়া ট্রেন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে চালু থাকলেও কোচ ও ইঞ্জিন সঙ্কটের কারণে এবং ট্রেন চলাচল ব্যবস্থাপনায় চরম অনিশ্চয়তা ও অবহেলার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। ২৫ ও ২৬ জুলাই ছাত্রলীগের সম্মেলন বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আসন্ন ২৮তম সম্মেলন উপলক্ষে প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ২৫ ও ২৬ জুলাই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক শেখ রাসেল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত বিভিন্ন উপকমিটির আহ্বায়ক ও যুগ্ম-আহ্বায়কবৃন্দকে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের নিয়ে স্ব স্ব উপকমিটি পূর্ণাঙ্গ করে কেন্দ্রীয় দফতরে আগামী ৬ জুলাই সোমবারের মধ্যে জমা দিতে হবে। বিভিন্ন উপকমিটিসমূহ ॥ সংগঠনের সহ-সভাপতি জয়দেব নন্দিকে আহ্বায়ক করে তৈরি করা হয়েছে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি। এতে যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে আরও রয়েছেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান তারেক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম। সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের মহিউদ্দিন মাহীকে আহ্বায়ক করে তৈরি করা হয়েছে অভ্যর্থনা উপকমিটি। এতে যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে আরও রয়েছেন সহ-সভাপতি চঞ্চল কর্মকার এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি। সহ-সভাপতি মোর্শেদুল আলম চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে গঠন করা হয়েছে মঞ্চ উপ-কমিটি।
×