ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রোজার শুরুতেই মসলার একদফা মূল্য বৃদ্ধি

প্রকাশিত: ০৭:১২, ৪ জুলাই ২০১৫

রোজার শুরুতেই মসলার  একদফা মূল্য বৃদ্ধি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রমজান শুরুর সপ্তাহখানেক আগেও খুচরা বাজারে প্রতিকেজি জিরা বিক্রি হতো ৩২০ টাকা থেকে ৩৩০ টাকায়। আর রোজা শুরুর এক সপ্তাহ পর খুচরা বাজারে প্রতিকেজি জিরার দর ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায়। সে সময় প্রতিকেজি এলাচির দর ছিল ১১৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকায়। এখন রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে প্রতিকেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ১৬৫০ টাকা থেকে ১৭০০ টাকায়। অর্থাৎ কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি এলাচের দর বেড়েছে সাড়ে ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানিয়েছেন, রমজান মাসের মাত্র এক সপ্তাহ পার হয়েছে। রোজা শুরুর সপ্তাহখানেক আগে থেকে মসলার বাজার এক দফা বেড়েছে। রোজা শুরুর পর তার প্রভাব বাজারে পড়েছে। দিন যতই যাচ্ছে ঈদের দিন ততই ঘনিয়ে আসছে। আর এই ঈদকে সামনে রেখে মসলার বাজার আরও একদফা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। তবে পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানিয়েছেন, ঈদকে সামনে রেখে নয়, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মসলার বাজার উঠানামা করছে। ঈদের সময় বাজারের প্রতি সকলের নজর থাকে বলে বোঝা যায় মসলার বাজার দর বাড়ছে। তবে সব মসলার দর বেড়েছে এমনটি নয়। কিছু মসলার দর আগের চেয়ে কমেছে বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে আফগানিস্তান থেকে আমদানি করা পেস্তা বাদাম প্রতিকেজি ১৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে বিক্রি হতো ১৯০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায়। শাহী জিরার দাম আগের চেয়ে কমে প্রতিকেজি ৬৭০ টাকা বিক্রি হলেও কালো জিরার দাম আগের চেয়ে বেড়ে প্রতিকেজি ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চলতি মাসের শুরুতে প্রতিকেজি কালো জিরা বিক্রি হতো ১২০ টাকায়। তবে ধনিয়ার দর আগের চেয়ে অনেকটা কমেছে। বর্তমানে প্রতিকেজি ধনিয়া বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, যার পূর্বমূল্য ছিল ২২০ টাকা। এদিকে বাজারে প্রতিকেজি চীনা বাদাম ৮৫ টাকায়, তোকমা দানা ৭০-৮০ টাকায়, তালমাখনা ৩২০ টাকা (পূর্বে ছিল ১৬০ টাকা), পাঁচপোড়ন ৩০০ টাকায়, তুর্কি জিরা ৫৬০ টাকায়, রাঁধুনি ঘি ৭২০ টাকায়, বাঘাবাড়ী ঘি ৭৬০ টাকায়, মিল্কভিটার ঘি ৮৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে একাধিক ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, রমজানের আগে থেকে সরকারের মন্ত্রীরা ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছে বাজার মনিটরিং করা হবে, পণ্যের দর বাড়বে না। কিন্তু মসলার বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেই মনিটরিং কমিটি। যদি বাজারে সরকারের কঠোর নজরদারি থাকত তাহলে মসলার দর এত বাড়ত না বলে মনে করছেন তারা। বাংলাদেশ গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী এনায়েতুল্লাহ বলেন, আসলে মসলার দর ওঠানামা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মসলার দর বাড়ে কমে। এগুলোর দর বছরের বেশির ভাগ সময় ওঠানামা করে। তবে রোজায় বাজারের ওপর মনিটরিং কিংবা নজর বেশি থাকে তাই মসলার দর অনেকটা বেড়েছে বলে মনে করেন অনেকে। তবে বর্তমান বাজারে কিছু পণ্যের দর বাড়লেও আবার অনেক পণ্যের দর কমেছে।
×