ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্টোকসের কণ্ঠে প্রত্যয়ের সুর

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ৪ জুলাই ২০১৫

স্টোকসের কণ্ঠে প্রত্যয়ের সুর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আর কয়েকটা দিন। তারপরই মাঠে গড়াবে ঐতিহ্যের এ্যাশেজ। প্রায় ক্রিকেটের সমান দীর্ঘ এই দ্বৈরথ ঘিরে বইছে অন্য এক আকর্ষণ। একদিকে ওয়ানডের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন-দুর্ধর্ষ অস্ট্রেলিয়া, অন্যদিকে বদলে যাওয়া ইংল্যান্ড। কাক্সিক্ষত সিরিজটা ইংলিশদের মাটিতে হলেও বাস্তবতার বিচারে এগিয়ে অসিরা। বিশ্লেষকরা অন্তত তাই মনে করছেন। তারুণ্য নির্ভর ইংল্যান্ড কি পারবে সমান তালে জবাব দিতে? ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ পেস-সহায়ক কন্ডিশনে পার্থক্য গড়ে দেবেন পেস বোলিং অলরাউন্ডাররা? যেখানে এ্যালিস্টার কুকের তুরুপের তাস হয়ে আবির্ভূত হতে পারেন বেন স্টোকস। সম্প্রতি দারুণ খেলা নিউজিল্যান্ড বংশোদ্ভূত এই অলরাউন্ডার এবার বেশি কিছু করতে তৈরি। ‘অনেকে অনেক কিছু ভাবছেন। অস্ট্রেলিয়াকে ফেবারিট বলছেন, এটা প্রত্যেকের স্বতন্ত্র চিন্তা। আমরা নিজেদের নিয়ে ভাবছি, কিভাবে বদলে যাওয়া ইংল্যান্ডের সামর্থ্য ঠিকঠাক মাঠে প্রয়োগ করা যায়, সবার মাথায় সেটাই কাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে আমি নিজেও আমার সেরাটা দিতে চাই। সবাই যেমনটা আশা করছে।’ বলেন ২৪ বছর বয়সী বাহাতি পেস বোলিং অলরাউন্ডার। গত দুই বছর ইংল্যান্ডের ক্রিকেট মোটেই ভাল অবস্থার মধ্য দিয়ে আসেনি। ধারাবাহিক ব্যর্থতায় বিশ্বকাপের দল (ওয়ানডে) থেকেই বাদ পড়েন অধিনায়ক এ্যালিস্টার কুক। বাংলাদেশের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় ইয়ন মরগানের দল। টেস্টে কুক নেতৃত্বে থাকলেও আসে ব্যাপক পরিবর্তন। গত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সিরিজ ড্র করে মান রক্ষা। ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গেও সিরিজ ড্র করে ১-১এ। এরপর ওয়ানডে জেতে ৩-২ ব্যবধানে। যেখানে দুর্দান্ত নৈপুণ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা স্টোকসের। টেস্ট দলে এসেছেন দুই বছরও হয়নি। ২০১৩ সালে এ্যাডিলেড ওভালে এ্যাশেজ সিরিজ দিয়ে সাদা পোশাকে আবির্ভাব। দল ব্যর্থ হলেও ব্যাটে-বলে এরই মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কেবল তাই নয়, অলরাউন্ড নৈপুণ্যে গ্রেটদের কাতারে জায়গা করে নিয়েছেন স্টোকস। অভিষেকের পর ১১ টেস্টে পারফর্মেন্সের বিচারে টনি গ্রেগ, এন্ড্রু ফ্লিনটফদের পাশে তিনি! ৬৮৩ রানের পাশাপাশি, বল হাতে শিকার ২৯ উইকেট। ক্যারিয়ারের সূচনালগ্নে টনি গ্রেইগের ৭৮৩ রানের সঙ্গে ছিল ২৭ উইকেট। গ্রেট ইয়ান বোথাম ৬৪ উইকেটের সঙ্গে ঝুলিতে পুড়েছিলেন ৫০০ রান। এ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ, যাকে ইংল্যান্ডের সর্বশেষ স্বীকৃত তারকা অলরাউন্ডার ভাবা হয়, সেই তাকেও ছাড়িয়ে স্টোকস। ১১ টেস্টে ২৫৯ রান করা ফ্লিনটফের উইকেট ছিল ৯। তবে এসব নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চান না স্টোকস, ‘এটা দারুণ সম্মানের, যখন দেখবেন দলের জয়ে আপনি সামনে থেকে ভূমিকার রাখছেন, আর পেছনে সতীর্থরা বাহবা দিচ্ছে। তবে আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। কারণ দল হিসেবে আমরা পরিবর্তনের ধারায় রয়েছি। এ সময় ফর্মে থাকা একজনের কাছে প্রত্যাশা বেশি। আমি চাইব ঐতিহ্যবাহী এ্যাশেজে দলকে আরও ভাল কিছু উপহার দিতে। এটা ঠিক মাঠে আমাদের কঠিন চ্যালেঞ্জ জানাতে মাইকেল ক্লার্ক ও মিচেল জনসনরা প্রস্তুত। সেøজিং থাকবে, হয়ত প্রশংসাও। কিন্তু শেষ কথা মাঠের পারফর্মেন্স। আমরা সেটাই করতে চাই। দলে দারুণ কিছু খেলোয়াড় রয়েছে। আশা করছি সিরিজটা উপভোগ্য হবে।’ বুধবার কার্ডিফে প্রথম ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে পাঁচ টেস্টের এ্যাশেজ দ্বৈরথ।
×