ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকা আবাহনী ৩- ফেনী সকার মুক্তিযোদ্ধা ১-১ চট্টগ্রাম আবাহনী

আবাহনীর অনায়াস জয় মুক্তিযোদ্ধার ড্র

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৪ জুলাই ২০১৫

আবাহনীর অনায়াস জয় মুক্তিযোদ্ধার ড্র

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথম পর্বের মোকাবেলায় মিলেছিল হেসে-খেলে জয়। দ্বিতীয় পর্বের সাক্ষাতেও এসেছে আয়েশী জয়। বলা হচ্ছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড বনাম ফেনী সকার ক্লাবের দ্বৈরথের কথা। শুক্রবার ‘মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’ ফুটবলের দ্বিতীয় পর্বের খেলায় ‘দ্য স্কাই ব্লু ব্রিগেড’ খ্যাত ঢাকা আবাহনী লিমিটেড হারায় ফেনী সকার ক্লাবকে। ম্যাচের স্কোরলাইন ছিল ৩-০। ম্যাচের প্রথমার্ধে ছিল গোলশূন্য। আবাহনীর পক্ষে জোড়া গোল করেন নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা। অপর গোল করেন মিডফিল্ডার শাহেদুল আলম শাহেদ জুনিয়র। নিজেদের দ্বাদশ খেলায় এটা আবাহনীর সপ্তম জয়। ২৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ থেকে তৃতীয় স্থানে উঠে এলো। টপকে গেল ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিমিটেডকে। ফেনী সকারের এটা সপ্তম হার। ৯ পয়েন্ট নিয়ে আগের নবম স্থানেই রয়ে গেল দল। একই দিনে বিকেল সোয়া ৪টায় লীগের অপর ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের সঙ্গে। গোল করেন মুক্তিযোদ্ধার ফয়সাল মাহমুদ এবং চট্টগ্রাম আবাহনীর পক্ষে চৌমরিন রাখাইন। খেলাটি অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে। ১২ খেলায় এটা মুক্তিযোদ্ধার তৃতীয় ড্র। ২১ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ থেকে তারা উঠে আসে চতুর্থ স্থানে। আবাহনী-সকার ম্যাচে আসা যাক। ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে সচেষ্ট হয় আবাহনী। তবে ফেনী সকারের রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় আবাহনীর ফরোয়ার্ডদের মুহুর্মুর্হু আক্রমণগুলো পর্যবসিত হয় ব্যর্থতায়। তবে খেলার প্রথম উল্লেখযোগ্য আক্রমণটি কিন্তু শাণায় সকারই! ম্যাচের তখন ১১ মিনিট। বল নিয়ে ঢাকা আবাহনীর সীমানায় ঢুকে পড়েন ফেনীর ফরোয়ার্ড সোহেল মিয়া। বাঁ প্রান্ত থেকে সতীর্থদের উদ্দেশে দারুণভাবে বল বাড়িয়ে দিলেও সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি ফেনীর কোন খেলোয়াড়। পারলে গোল করার সমূহ সম্ভাবনা ছিল। ১৮ মিনিটে গোল করার সুযোগ পায় আবাহনীও। বার পোস্টের খুব কাছ থেকে করা ঘানাইয়ান ফরোয়ার্ড ওসেই মরিসনের শট জালে ঢোকেনি চুল ব্যবধানের জন্য। ২৫ মিনিটে আরও একটি দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন এই ফরোয়ার্ড। বক্সে বল পেয়ে শট নেন। কিন্তু বিধি বাম! বল বারের অনেক ওপর দিয়ে যায়। আক্ষেপে পোড়েন মরিসন এবং আবাহনী। ২৬ মিনিটে সবচেয়ে চমৎকার সুযোগ অমার্জনীয়ভাবে নষ্ট করেন আবাহনীর সানডে চিজোবা। বক্সের কাছে ফ্রি কিক পান। অল্পের জন্য ভাঙ্গতে পারেননি ফেনীর ডিফেন্স। ৩৮ মিনিটে বল নিয়ে সকারের বক্সে ঢুকে শট নেন মরিসন। কিন্তু ফেনীর গোলরক্ষক গোলাম মোস্তফা বল ধরে ফেললে গোলবঞ্চিত হয় আকাশী-হলুদ শিবির। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থেকেই বিশ্রামে যায় উভয় দল। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হলে গোলের সুযোগ হারায় সকার। ম্যাচের তখন ৫০ মিনিট। আবাহনীর ডিফেন্ডার মামুন মিয়ার ভুলে বল পেয়ে আগুয়ান গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে ছিলেন সোহেল মিয়া। কিন্তু দুর্ভাগ্য, ফাঁকা গোলপোস্ট পেয়েও গোল করতে নিদারুণ ব্যর্থতার পরিচয় দেন সোহেল মিয়া। এরপরই গোল করে এগিয়ে যায় আবাহনী। ম্যাচের তখন ৫৮ মিনিট। শাকিলের থ্রু পাসে বল পেয়ে সতীর্থ ফরোয়ার্ড আবুল বাতেন মজুমদার কোমল স্কয়ার পাসে প্রেসিং করে সকারের জালে পাঠান সদ্য আবাহনীতে যোগ দেয়া নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা (১-০)। উল্লাসে ফেটে পড়ে আবাহনী। ৬৭ মিনিটে আবারও ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই সানডে। যদিও এই গোলটিতে ছিল সৌভাগ্যের পরশ! তার শট বারে লেগে ড্রপ খেয়ে গোললাইন অতিক্রম করে, গোলরক্ষক সেই বল ধরে এমন ভাব করেন যেন এট গোল হয়নি। কিন্তু লাইন্সম্যান ও রেফারির চোখ এড়ায়নি তা। তারা এটাকে গোল হিসেবেই ঘোষণা করেন (২-০)। ৬৮ মিনিটে আরও একবার সকারের জালে বল পাঠায় জর্জ কোটানের শিষ্যরা। বাঁ প্রান্ত থেকে ওসেই মরিসনের নিখুঁত পাসে পা ছুঁইয়ে লক্ষ্যভেদ করেন মিডফিল্ডার শাহেদুল আলম শাহেদ জুনিয়র (৩-০)। খেলা শেষের পূর্ণ পয়েন্ট পাওয়ার পরিতৃপ্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের ফুটবলাররা।
×