ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশের অগ্রগতি ওইসিডির রেটিংয়ে

প্রকাশিত: ০৭:৩৪, ৩ জুলাই ২০১৫

বাংলাদেশের অগ্রগতি ওইসিডির রেটিংয়ে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত ২৯ জুন ২০১৫ সুইজারল্যান্ডের জুরিখে অনুষ্ঠিত সুইস এক্সপোর্ট ক্রেডিট এজেন্সির (এসইআরভি) সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ যেন একটি না বলা গল্প’। এসইআরভির পরিচালক মি. হার্বার্ট ওয়াইট ও একটি উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দল এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এএনএম আবুল কাশেম ও তাঁর দল এ সভায় অংশগ্রহণ করে। সভার শুরুতেই মি. ওয়াইট জানান, ১৭ জুন ২০১৫ তারিখে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র, পশ্চিম ইউরোপ ও স্ক্যান্ডেনেভিয়ার দেশগুলো সুইজারল্যান্ড ও জাপানের মতো দেশের সমন্বয়ে গড়া ‘অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন এ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের’ (ওইসিডি) বিন্যাসকরণ কমিটির সভায় বাংলাদেশের সার্বিক কান্ট্রি রেটিং ৬ থেকে ৫-এ উন্নীত করা হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দুর্বল বহিঃচাহিদা বিরাজমান সত্ত্বেও এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের সহনশীল অর্থনীতির সঙ্গে উচ্চ ও স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের রেটিং উন্নীতকরণের মূল কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এই বিন্যাসকরণে আশপাশের দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। যেমন পাকিস্তান (৭/৭), শ্রীলঙ্কা (৬/৭), নেপাল (৬/৭), মিয়ানমার (৬/৭) এবং মঙ্গোলিয়ার (৭/৭) উপরে রয়েছে। একমাত্র ভারতের (৩/৭) পেছনে বাংলাদেশ। দীর্ঘ সময় ধরে চলমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে বাংলাদেশ একটি অতিমাত্রায় উন্নয়ন সাহায্যপ্রার্থী দেশ থেকে একটি নতুন অগ্রসরমান বাজারে পরিণত হয়েছে। গবর্নর ড. রহমান ওইসিডির শ্রেণীবিন্যাসে বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এটি বাংলাদেশী উদ্যোক্তা এবং ব্যাংকগুলোর গ্যারান্টি ও ঋণপত্রের খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশই তরুণ হওয়ায় তা দেশকে জনমিতিক সুবিধা প্রদান করেছে। এ জনগোষ্ঠীকে সঠিকভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সহজেই দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব, যা বাংলাদেশকে বৈদেশিক মুদ্রার একটি বড় মজুদ গড়তে সাহায্য করবে। ইউরোপের দেশগুলো এ উন্নয়নের সুযোগ নিতে পারে। তিনি আরও আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশের এ উন্নত শ্রেণীবিন্যাসকরণ ধীরে ধীরে উন্নত অর্থনীতির ইসিএভুক্ত দেশগুলোকে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিনিয়োগ প্রকল্প যেমন অবকাঠামো, তৈরি পোশাকশিল্প, ওষুধ ও চামড়াশিল্পÑ এসব খাতে ঋণ দিতে উদ্বুদ্ধ করবে। গবর্নর আশ্বস্ত করেন যে, বাংলাদেশের উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সহায়ক নীতিমালা বজায় রাখবে। তিনি বিনিয়োগকারীদের সকল বিদ্যমান এবং নতুন সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্পর্কে এক নতুন দিগন্ত সূচনার জন্য স্বাগত জানান।
×