ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাতক্ষীরায় ১৯ লাখ টাকার কাজ ভাগ-বাটোয়ারা

প্রকাশিত: ০৭:১৫, ৩ জুলাই ২০১৫

সাতক্ষীরায় ১৯ লাখ টাকার কাজ ভাগ-বাটোয়ারা

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় এডিপির ১৯ লাখ ৩৭ হাজার টাকার ১৫টি প্যাকেজের কাজ কোন বিজ্ঞাপন বা প্রচার ছাড়াই ভাগ-বাটোয়ারা করা হয়েছে। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন-২০০৬ ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা-২০০৮ অমান্য করে আরএফকিউ’র নামে নিয়মিত ও পেশাদার ঠিকাদারকে বাদ দিয়ে কয়েকজন অপেশাদার ঠিকাদারের মধ্যে অতি গোপনে ওই কাজ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে জনকণ্ঠকে বলেন, শতভাগ নিয়ম মেনেই এই কাজ ঠিকাদারদের দেয়া হয়েছে। আওয়ামী যুবলীগের অনেক নেতাকর্মীকে কাজ দেয়া হলেও স্বল্প সময়ের মধ্যে তারা কাজ করতে পারবে না বলে কাজ ছেড়ে দিয়ে এ ধরনের অভিযোগ ও প্রচার করছে বলে তিনি দাবি করেন। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে এডিপির আওতায় সংশোধিত কিস্তিতে তালা উপজেলায় ২৭ লাখ ৩৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে আরএফকিউ’র আওতায় ১৯ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ১৫ জন ঠিকাদারের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে এবং বাকি টাকা প্রকল্প কমিটি কাজ করেছে। স্থানীয় ঠিকাদার ও তালা উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সরদার জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের যোগসাজশে সময় স্বল্পতার কারণ দেখিয়ে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন-২০০৬ ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা-২০০৮ অমান্য করে আরএফকিউ’র আওতায় ১৯ লাখ ৩৭ হাজার টাকা তার পছন্দের ১৫ জন ঠিকাদারের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে। জয়পুরহাট গুদামে ভাঙ্গা ও খুদ মিশ্রিত চাল ক্রয় নিজস্ব সংবাদদাতা, জয়পুরহাট, ২ জুলাই ॥ জয়পুরহাটের সদর খাদ্যগুদামে চলতি বোরো মৌসুমে চাতাল ব্যবসায়ীদের (মিলার) কাছ থেকে চাল সংগ্রহ নিয়ে ঘটেছে কেলেংকারি। অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভাঙ্গা ও খুদ মিশ্রিত চাল সরকারী গুদামে ঢুকিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট গুদাম কর্মকর্তা। জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাট জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে খাদ্য বিভাগ চাল ক্রয়ের লক্ষমাত্রা ধার্য করেছে ২৩ হাজার ৬শ’ ৪৩ মেঃ টন। এর মধ্যে জয়পুরহাট সদর খাদ্যগুদাম কেন্দ্রে ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে ৫ হাজার ৩শ’ ৭৫ দশমিক ১শ’ মেঃ টন। এ ব্যাপারে সদরের ১০৩ চাতাল ব্যবসায়ীর (মিলার) সঙ্গে খাদ্য বিভাগ চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এবার বাজারে ধানের দাম কম থাকায় ব্যবসায়ীরা চালে কেজিপ্রতি ১০ টাকা লাভ করবে এমন হিসাবে সদর খাদ্যগুদাম সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা চাল গুদামে উঠিয়ে নেয়ার জন্য মোটা অংকের বাণিজ্য শুরু করেছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪ হাজার বস্তা চাল চালনি দ্বারা নেটিং করে ভাঙ্গা দানা বের করে পুনরায় বস্তাজাত করে গুদামে খামাল দেয়া হয়েছে। ক্রয়কৃত চালে মাত্রাতিরিক্ত ভাঙ্গা চাল ও খুদ পাওয়ার ঘটনায় জেলার খাদ্য বিভাগে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, সদর খাদ্যগুদামে ক্রয়কৃত চাল আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক তদন্ত করে দেখার পর পরিদর্শক বহিতে তিনি তার পর্যবেক্ষণে যা লিখেছেন সেই মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং সেভাবে কাজ শুরু হয়েছে।
×