ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় ভাঙ্গন রক্ষা প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম

প্রকাশিত: ০৭:২৮, ২ জুলাই ২০১৫

গাইবান্ধায় ভাঙ্গন রক্ষা প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ১ জুলাই ॥ সাঘাটায় যমুনা নদীর ভাঙ্গন রক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরাদ্দকৃত ১৩৫ কোটি টাকায় বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পের কাজে নিম্নমানের বালু, পাথরসহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। এদিকে সিসি ব্লক নির্মাণেও নিম্নমানের বালু ও পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া জিও টেক্সটাইল ব্যাগেও মোটা বালুর পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঁদা চিকন বালু। জানা গেছে, যমুনা নদীর ভাঙ্গন থেকে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা বাজার, সাঘাটা থানা ভবন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রক্ষায় ভাঙ্গন প্রতিরোধ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১৩৫ কোটি টাকা। এই টাকা দিয়ে যমুনা নদীর চার দশমিক আট কিলোমিটার এলাকায় সিসি ব্লক, বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ স্থাপন করে সাঘাটা বাজারের উত্তরে মুন্সিরহাট হতে দক্ষিণে চিনিরপটল পর্যন্ত তীর সংরক্ষণ কাজ চলছে। তিন পর্যায়ে দরপত্র আহ্বান করে ১৩ জন ঠিকাদার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। ২০১০ সালের জুলাই মাসে কাজ শুরু হয়। গত ৩০ মে পর্যন্ত ৭০ ভাগ কাজ হয়েছে। প্রাক্কলন অনুযায়ী সিসি ব্লক তৈরিতে সিমেন্ট, বালু ও পাথর ব্যবহারের অনুপাত হবে ১ঃ৩ঃ৬ (একভাগ সিমেন্ট, তিন ভাগ মোটা বালু ও ছয় ভাগ পাথর মিশ্রণ)। ৩৫. ৪০ ও ৪৫ ঘন সেন্টিমিটারের তিন আকারের সিসি ব্লক তৈরি হচ্ছে। কালকিনিতে গ্যারেজ কর্মচারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন মোবাইল চুরির অপবাদ নিজস্ব সংবাদদাতা, কালকিনি (মাদারীপুর), ১ জুলাই ॥ মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে বুধবার সকালে কালকিনিতে মোঃ রকিব চৌকিদার-(২৩) নামের এক অসহায় গ্যারেজ কর্মচারীকে গাছের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে গ্যারেজ মালিকের ভাই। এ অসহায় শ্রমিককে নির্যাতনের ঘটনায় এলাকায় টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে এ ব্যাপারে ব্যাপক নিন্দা জানিয়েছেন সুশীল সমাজ। জানা গেছে, উপজেলার গোপালপুর এলাকার পূর্ববনগ্রামের তালেব চৌকিদারের ছেলে রকিব চৌকিদার পৌর এলাকার ফারুক সরদারের গ্যারেজে ৭/৮ মাস ধরে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে আসছে। এ গ্যারেজের মালিক ফারুক সরদারে ভাই সাগিরের ১টি ও কর্মচারী রকিবের মোবাইলসহ মোট দুটি মোবাইল চুরি হয়ে যায়। এ চুরির অপবাদে সাগিরের নেতৃত্বে মনির সরদার ও তামিম হাওলাদার মিলে রকিবকে মোটরসাইকেলে করে সমিতির হাটের একটি নির্জন বাগানে নিয়ে প্রথমে গাছের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে গোপন অঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয় তারপর লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে জখম করে ফেলে রাখে। স্থানীয় লোকজন রকিবের চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ নির্যাতনের ঘটনায় কালকিনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে নির্যাতিতার পরিবার।
×