ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অনিয়ম বন্ধে একগুচ্ছ পরিকল্পনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ২ জুলাই ২০১৫

অনিয়ম বন্ধে একগুচ্ছ পরিকল্পনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং সব ধরনের অনিয়ম বন্ধে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের ক্রয়সংক্রান্ত সব কার্যক্রম ই-টেন্ডারিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া সব ধরনের অনিয়ম বন্ধে এবং মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে গঠন করা হয়েছে কয়েকটি শক্তিশালী কমিটিও। বুধবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। মন্ত্রী জানান, এখন থেকে সিএমএসডি এবং মন্ত্রণালয়ের সকল অধিদফতর, মেডিক্যাল কলেজ, জেনারেল হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতালসহ স্থাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল টেন্ডার কার্যক্রম পূর্বের এনালগ পদ্ধতির পরিবর্তে ডিজিটাল পদ্ধতি অর্থাৎ ই-টেন্ডারিংয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। বুধবার থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ক্রয়সংক্রান্ত সকল কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও এর সকল অধিদফতর, পরিদফতরে ই-টেন্ডারিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঠিকাদাররা ঘরে বসে দরপত্র সংক্রান্ত সব কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে দরপত্রের প্রস্তাবসহ সংশ্লিষ্ট অনেক কাজই স্বল্প সময়ে, সহজে ও সমন্বিতভাবে করা সম্ভব হবে। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কার্যক্রম নজরদারির মধ্যে আনতে পৃথক কয়েকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ, পদায়ন, বদলি, পদোন্নতির জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ দীন মোহাম্মদ রুহুল হকসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা ওই কমিটিতে রয়েছেন। অপরদিকে হাসপাতালে ভারি ও এমএসআর যন্ত্রপাতি ক্রয়সংক্রান্ত কার্যক্রমের জন্য স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নেতৃত্বে অপর একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি হাসপাতালের চাহিদার ভিত্তিতে এমএসআর সামগ্রী ও ভারি যন্ত্রপাতির প্রয়োজনীয়তা নিরূপণ ও তালিকা তৈরি করবেন। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়া চিকিৎসকদের কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আইয়ুবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা প্রতিমাসে অন্তত একবার সরেজমিন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে সচিবের কাছে রিপোর্ট দেবেন। কর্মস্থলে চিকিৎসকদের উপস্থিতি তদারকি ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের সমস্যা ও সমাধানে করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ করবেন।
×