স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজারে পেকুয়ায় গভীর রাতে জামায়াত-শিবিরের গোপন বৈঠকে সরকারী পদস্থ এক কর্মকর্তার যোগদান নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ায় গোয়েন্দা সদস্যরাও এ ঘটনায় ব্যাপক খোঁজখবর নিচ্ছে বলে জানা গেছে। সোমবার দিবাগত রাতে পেকুয়া বাজারে অবস্থিত জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রিত প্যান ইসলামিক হাসপাতাল ভবনের তৃতীয় তলায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে তথ্য মিলেছে। ওই হাসপাতালের পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান হচ্ছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা এইচএম হামিদুর রহমান আজাদ। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত বারোটার পর পেকুয়ার সাত ইউনিয়নের জামায়াত-শিবিরের সভাপতি ও সেক্রটারিসহ সংগঠনটির অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মীদের নিয়ে এক গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি-জামায়াতের গত তিন মাসের অবরোধ-হরতালে ট্রাকে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ মামলার আসামি এবং সদ্য জামিনে মুক্ত পেকুয়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাস্টার আবুল কালাম আজাদ। ওই গোপন বৈঠকে পেকুয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান রব্বানী উপস্থিত ছিলেন বলে একটি সূত্র দাবি করেছে। তবে বৈঠকে সরকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে পেকুয়া উপজেলা জামায়াত-শিবিরের নেতারা কী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা না গেলেও ওই কৃষি কর্মকর্তা জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রিত প্যান ইসলামিক হাসপাতালে প্রায় সময় যাওয়া আসা করে থাকেন বলে পেকুয়া বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন। সূত্র আরও জানায়, প্রায় ১ বছর পূর্বে মনিরুজ্জামান রব্বানী পেকুয়ায় যোগদান করার পর থেকে মৌলবাদীদের সঙ্গে সখ্য থাকার বিষয়টি রহস্য জনক বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। পেকুয়ায় বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ও অবরোধে নাশকতা কর্মকা- পরিচালনার পেছনে স্থানীয় জামায়াত-শিবির নেতাদের গোপনে ওই কৃষি কর্মকর্তা অর্থ সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে এ বিষয়টি অস্বীকার করে পেকুয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান রব্বানী মাঝে মধ্যে তাবলীগ জামায়াতে যান স্বীকার করে মঙ্গলবার জনকণ্ঠকে বলেন, জামায়াত-শিবিরকে আমি ঘৃণা করি। তাদের বৈঠকে যাওয়ার বিষয়টি ভুয়া বলে দাবি করেছেন তিনি।