নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২৯ জুন ॥ তিস্তা, ঘাঘট, করতোয়া, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়তে শুরু করায় সোমবার গাইবান্ধার নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে। পানির প্রবল চাপে জেলার ফুলছড়ি উপজেলার ২০টি পয়েন্টে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে টানা বর্ষণে নদীগুলোর স্রোতের তীব্রতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীতে ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের চন্দনস্বর, উত্তর খাটিয়ামারী, পূর্ব খাটিয়ামারী, পশ্চিম খাটিয়ামারী, কুচখালী, কাউয়াবাঁধা গ্রাম জুড়েই ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। একই উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের সিংড়িয়া, উড়িয়ার রতনপুর, কালাসোনা, গজারিয়ার কামারপাড়া, জিয়াডাঙ্গা, কঞ্চিপাড়ার রসুলপুর, পূর্ব কঞ্চিপাড়া, জোড়াবাড়ি, সাতারকান্দি, ফজলুপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর ও খাটিয়ামারী গ্রামেও নদী ভাঙ্গন অব্যাহত আছে।
এছাড়া তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদী তীরবর্তী সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুরসহ ৬টি ইউনিয়নের নিজাম খাঁ, খোদ্দারচর, চরচরিতাবাড়ি, কানিচরিতাবাড়ি, রিয়াজ মিয়ারচর, উজান বুড়াইল, ভাটি বুড়াইল, কেরানির চর, কালাইসোতার চর, চর বিরহীম, ভোরের পাখি, কালিরখামার চর এলাকায় ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় গৃহহীন পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
ময়মনসিংহে বাঁধ মেরামতে ধীরগতি
স্টাফ রিপোর্টার ময়মনসিংহ থেকে জানান, শহররক্ষা বাঁধ মেরামতে কোন তোড়জোড় নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের। কেবল জয়নুল উদ্যানের সামনের একটি পয়েন্টে বালুর বস্তা ফেলে ভাঙ্গন মেরামতের চেষ্টা চলছে। এতে করে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে রয়েছে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা ও অনেক স্থাপনাসহ জয়নুল উদ্যান এলাকা। অভিযোগ উঠেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ঠিকাদারদের তড়িঘড়ি করে দায়সারা বাঁধ নির্মাণ ও পানি নিষ্কাশনে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না রাখায় গত ১৪ জুলাই একদিনের ভারি বৃষ্টিতে বাঁধের ২৯টি পয়েন্টে ধস ও ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ভারি বৃষ্টিতে শহরের বিডিআর ক্যাম্প, পুলিশ লাইন, খাগডহর, কাঠগোলা বাজার, কাচিঝুলি, জয়নুল আবেদিন উদ্যানসহ বিভিন্নœ স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে ঢোলাদিয়ার প্রাণিসম্পদ বিভাগের একটি স্থাপনার পেছনের আরসিসি দেয়াল ভেঙ্গে গেছে মারাত্মকভাবে। ঢোলাদিয়া বালুরঘাট, কবরস্থান ও পেশকার বাড়ির এই ভাঙ্গন আরও ভয়াবহ। অথচ গত ১৫ দিনেও এসব ভাঙ্গন মেরামতে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের। চলতি বর্ষণে বাঁধের আরও অংশে ভাঙ্গনের আশঙ্কা স্থানীয়দের।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: