ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

সাকা চৌধুরীর আপীল শুনানি অব্যাহত

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ৩০ জুন ২০১৫

সাকা চৌধুরীর আপীল শুনানি অব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মৃত্যুদ-প্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা ) চৌধুরীর আপীল শুনানি অব্যাহত রয়েছে। সোমবার অষ্টম দিনের মতো শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী সাক্ষীদের জবানবন্দী ও আসামিপক্ষের জেরার অংশ পড়ে শেষ করেছেন। আজ মঙ্গলবার সাকার মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপীল বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেনÑবিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। সাকার পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান । রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন এ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম। ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় সালাউদ্দিন কাদেরের খালাস চেয়ে আপীল দায়ের করেন তার আইনজীবীরা। আপীল আবেদনে মোট ১ হাজার ৩শ’ ২৩ পৃষ্ঠার নথিপত্রের ডকুমেন্টসহ দাখিল করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে কোন আপীল দায়ের করা হয়নি। ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। সর্বমোট ১৭২ পৃষ্ঠার রায়ে তাকে এ শাস্তি দেয়া হয়। ট্রাইব্যুনালে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনা মানবতাবিরোধী অপরাধের মোট ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ১৭টির পক্ষে সাক্ষী হাজির করেন রাষ্ট্রপক্ষ। এগুলোর মধ্যে মোট ৯টি অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে। বাঁকি আটটি অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষ যে ছয়টি অভিযোগের পক্ষে সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করেনি সেগুলো থেকেও সাকা চৌধুরীকে খালাস দেয়া হয়েছে। প্রমাণিত অভিযোগগুলোর মধ্যে চারটিতে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে। তিনটি অভিযোগের প্রত্যেকটিতে ২০ বছর এবং আরও দু’টি অভিযোগের প্রতিটিতে পাঁচ বছর করে কারাদ- দেয়া হয়েছে সাকা চৌধুরীকে। যে চারটি হত্যা-গণহত্যার দায়ে সাকা চৌধুরীকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছে সেগুলো আনা হয় ৩ নম্বর অভিযোগেরÑঅধ্যক্ষ নুতন চন্দ্র সিংহকে হত্যা, ৫ নম্বর অভিযোগে-রাউজানের সুলতানপুর গ্রামে সংখ্যালঘুদের গণহত্যা, ৬ নম্বর অভিযোগে রাউজানের ঊনসত্তরপাড়ায় ৫০Ñ৫৫ জনকে গণহত্যা এবং ৮ নম্বর অভিযোগেÑচট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মোজাফফর আহম্মদ ও তার ছেলে শেখ আলমগীরকে হত্যা। ২, ৪, ৭ অভিযোগে ২০ বছর করে কারাদ- দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১৭ এবং ১৮ নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছর করে কারাদ- দেয়া হয়েছে।
×